সংক্ষিপ্ত
- মহারাষ্ট্রের পর বিজেপি বিপাকে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে
- বিজেপির ব্যবহারে অসন্তুষ্ট চিরাগ পাসওয়ান
- আগের নির্বাচনেও বিজেপির ফল আশাপ্রদ নয় বলে মন্তব্য পাসওয়ানের
- এই নির্বাচনে ৫০টি আসনে একাই লড়ার সিদ্ধান্ত এলজেপি
যদিও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালিয়েন্স (এনডিএ) এর অংশ লোকজনশক্তি পার্টি, ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনে একাই লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এলজেপি। এলজেপির নয়া প্রেসিডেন্ট চিরাগ পাসওয়ান মঙ্গলবার টুইটারে জানিয়েছেন, ঝাড়খণ্ডে বিধানসভায় জোট হয়ে নয়, একাই লড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নভেম্বরের ৩০ তারিখ থেকে ডিসেম্বরের ২০ তারিখ পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডে পাঁচ দফায় বিধানসভা নির্বাচন।
টুইটারে এলজেপির প্রেসিডেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের ৫০ জনের তালিকা ঘোষণা করা হবে। এলজেপির এই সিদ্ধান্ত যে বিজেপির জন্য বড় ধাক্কা হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।সম্প্রতি হয়ে যাওয়া হরিয়ানায় ম্যাজিক ফিগার পায়নি। জোট করে সরকার গঠন করতে হয়েছে। অন্য দিকে, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে বিজেপির সঙ্গে শিবসেনার ব্যাপক মতোবিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। অবশেষে কংগ্রেস ও এনসিপির সমর্থন নিয়ে শিবসেনা সরকার গঠন করতে চলেছে।
চিরাগ পাসওয়ান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, বিজেপির সঙ্গে জোটে মোটেই সন্তুষ্ট নয় এলজেপি। ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে এলজেপি ছয়টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার দাবি করেছিল। কিন্তু বিজেপি এলজেপির সেই দাবি মেনে নেননি। সেই কারণেই চিরাগ পাসওয়ান ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে একা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাসওয়ান টুইটারে জানিয়েছন, ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে ছয়টি আসনের প্রার্থীর দেওয়ার দাবি নিয়ে তিনি অমিশ শাহকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। কিন্তু অমিত শাহ সেই চিঠির এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর দেননি। তাই বাধ্য হয়েই তিনি একা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, অমিত শাহের পাশাপাশি তিনি জেপি নন্দা ও ঝাড়খণ্ডের প্রধানমন্ত্রী রঘুবর দাসকেও চিঠি লিখেছিলেন। কিন্তু কোনও উত্তর দেননি।
চিরাগ পাসওয়ান দাবি করেছেন, আগের নির্বাচনগুলোতে বিজেপি অত্যন্ত খারাপ ফল করেছে। সেই তুলনায় মাত্র ছয়টা আসনেই প্রার্থী দাবি করেছিল এলজেপি। পাসওয়ান দাবি করেছেন, চিঠিতে জানানো হয়, এলজেপি বিজেপি কয়েকটি আসন ছেড়ে দেবে বলেও জানিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও কোনও বিজেপির তরফে কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। এরপরে চুপ করে বসে থাকা দলের জন্য ঠিক হবে না তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।