প্রকাশ্যেই সমাজবাদী পার্টির এক নেত্রীর শাড়ি খুলে দেওয়ার চেষ্টাঅভিযোগের আঙুল বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধেভাইরাল হল সেই ঘটনার ভিডিওএই ভিডিওকে কেন্দ্র করেই এখন উত্তাল উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি

সামনে বছরের শুরুতেই উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন। তার আগে প্রকাশ্যেই সমাজবাদী পার্টির এক নেত্রীর শাড়ি টেনে খুলে নেওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। সমাজবাদী পার্টির নেত্রী রিতু সিং-এর অভিযোগ, আসন্ন উত্তরপ্রদেশ ব্লক প্রমূখ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাওয়ার সময়, তাঁর যিনি প্রস্তাবকারী ছিলেন, সেই মহিলার শাড়ি টেনে খুলে দেওয়ার চেষ্টা করে কয়েকজন বিজেপি কর্মী। ঘটনটি ঘটে বৃহস্পতিবার। এই নক্কারজনক ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আর সেই ভিডিওকে কেন্দ্র করেই এখন উত্তাল উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি।

রিতু সিং-এর দাবি, বৃহস্পকিবার লখিমপুর খেরি জেলার পাসগাওয়ান ব্লক থেকে তিনি, উত্তরপ্রদেশের ব্লক প্রমূখ ভোটের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়েছিলেন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার অফিসের সামনেই অপেক্ষা করছিল মহম্মদী এলাকার বিজেপি বিধায়ক লোকেন্দ্র প্রতাপ সিংয়ের সমর্থকরা। আচমকাই তারা রিতু সিং ও তাঁর সঙ্গে আসা মহিলাদের উপর চড়াও হয়। বেশ কয়েকজন মহিলার বস্ত্রহরণ করার চেষ্টা করা হয়। পোশাক ধরে টানাটানি করায়, অনেকের পোশাক ছিঁড়েও গিয়েছে। এরপর ওই বিজেপি কর্মীরা তাঁর মনোনয়নপত্রটি কেড়ে নিয়ে, ছিঁড়ে ফেলে এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এমনটাই অভিযোগ করেছেন সপা নেত্রী।

Scroll to load tweet…

ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় এক মহিলার শাড়ি ধরে টানাটানি করতে দেখা গিয়েছে কয়েকজন পুরুষকে। রিতু সিং-এর দাবি, ওই মহিলাই তাঁর নাম প্রস্তাবকারী হিসাবে গিয়েছিলেন। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবও এই ভাইরাল ভিডিওটি টুইট করেছেন। অভিযুক্তদের অখিলেশ 'উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ক্ষুধার্ত গুন্ডা' বলে অভিযোগ করেছেন।

Scroll to load tweet…

আরও পড়ুন - বাংলাদেশেই তৈরি হবে চিনের টিকা - ভারতই দেখালো পথ, ঢাকাও কি হবে ইসলামাবাদ

আরও পড়ুন - 'ড্রাগন ম্যান' - বদলে দিল মানব বিবর্তনের ইতিহাস, খোঁজ মিলল সবচেয়ে কাছের পূর্বপুরুষের

আরও পড়ুন - একাধিক স্বামী রাখতে পারবেন মহিলারা - আইনি স্বীকৃতি দিচ্ছে সরকার, দেশ জুড়ে শোরগোল

তবে এই ঘটনা দ্রুত সামাল দিতে নেমে পড়েছে বিজেপি সরকার। রিতু সিং-এর অভিযোগের ভিত্তিতে যশ ভার্মা নামে ও আরও একজন অজ্ঞাত পরিচয় বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে, অভিযুক্তরা এখনও অধরা।