সংক্ষিপ্ত
- স্বামীর মঙ্গলকামনায় ও দীর্ঘায়ু কামনায় পালন করেন এই ব্রত পালন করা হয়
- বিশেষ এই তিথিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মহিলারা এই ব্রত পালন করেন
- উৎসবে রীতি অনুযায়ী বিবাহিত মহিলারা নির্জলা থেকে এই ব্রত পালন করেন
- এই দিনে মাতা গৌরীর পুজো করে এই রীতি পালন করা হয়
আজকের দিন হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে একটি বিশেষ দিন। বিশেষ এই তিথিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মহিলারা তাঁদের স্বামীর মঙ্গলকামনায় ও দীর্ঘায়ু কামনায় পালন করেন এই ব্রত। বিশেষ কিছু নিয়ম পালনের মধ্যে দিয়েই আটলা তারি নামক এই ব্রত পালন করে থাকেন মহিলারা। ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব অন্ধ্রপ্রদেশের বিবাহিত হিন্দু মহিলারা পালন করে থাকেন। তেলেগু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী অশ্বীয়ুজা মাসে পূর্ণিমার পর তৃতীয় রাতে এই বিধি পালন করা হয়। এই রিতী করভাচৌথের সমতুল্য।
আরও পড়ুন- রত্ন ধারণ ছাড়াই কাটিয়ে উঠুন সমস্যা, জেনে নিন সহজ উপায়গুলি
এই উৎসবে রীতি অনুযায়ী বিবাহিত মহিলারা নির্জলা থেকে এই ব্রতের নিয়ম পালন করেন। সন্ধ্য়ে বেলা চাঁদ দেখে তারপর এই নিয়মভঙ্গ হয়। এই দিনে মাতা গৌরীর পুজো করে এই রীতি পালন করা হয়। দেবীর সামনে পুজোর নৈবেদ্য রেখে সম্পন্ন করা হয় এই পুজো। এই উৎসবটি সম্পূর্ণরূপে মহিলাদের উৎসব। এই উৎসবে ১১ জন মহিলারা একসঙ্গে সকল আচার-আচরণ পালন করেন।
আরও পড়ুন- বিনা খরচে দুর্ভাগ্যকে বদলে নিন সৌভাগ্যে, শুধু মনে রাখুন এই বিষয়গুলি
স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় হাতে মেহেন্দি পরে নেন আগের দিন। এদিন সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠে এই উৎসবের রীতি পালন করা করেন। পুটারেকুলু নামক এক বিশেষ মিষ্টি বানানো হয়। যা প্রধাণত চাল বা ময়দার গুঁড়োর সঙ্গে দুধ, মিষ্টি দিয়ে বানানো হয়। একই সঙ্গে ডোসার মত ১১টি ছোট ছোট আকারের আটলু নামক এক বিশেষ খাবার বানানো হয়,এর সঙ্গে থাকে ফল। সূর্যাস্তের পর জলাশয় বা হ্রদের সামনে চাঁদ দেখে ব্রত ভঙ্গ করে পরিবারের সকলে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করা এই ব্রত ভঙ্গ করা হয়।