সংক্ষিপ্ত

আপনি নিশ্চয়ই দুধ চা, লিকার চা বা আরও নানা প্রকার করে চা বানাতে ও পান করতে দেখেছেন। এ ছাড়া গ্রিন টি, লেবু চা পান করতে দেখেছেন নিশ্চয়ই। কিন্তু আপনি কি কখনো কাউকে চাল দিয়ে তৈরি চা পান করতে দেখেছেন?

অনেকেই আছেন যারা চা পানের বিষয়ে শৌখিন। বেড টি থেকে শুরু করে সকালের নাস্তা, অফিসে কাজের সময়, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার সময়, বাড়িতে অতিথির আগমন, সব অনুষ্ঠানেই চা চলে। সাধারনত আপনি নিশ্চয়ই দুধ চা, লিকার চা বা আরও নানা প্রকার করে চা বানাতে ও পান করতে দেখেছেন। এ ছাড়া গ্রিন টি, লেবু চা পান করতে দেখেছেন নিশ্চয়ই। কিন্তু আপনি কি কখনো কাউকে চাল দিয়ে তৈরি চা পান করতে দেখেছেন? চালের চা সম্পর্কে শুনতে আপনার কিছুটা অদ্ভুত লাগতে পারে, তবে ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের কিছু অঞ্চলে আপনি অনেক লোককে ভাতের চা পান করতে দেখতে পাবেন। চাল দিয়ে তৈরি চা স্বাস্থ্যের দিক থেকে খুবই উপকারী। এখানে জেনে নিন চালের চায়ের উপকারিতা সম্পর্কে।

লাল চাল দিয়ে তৈরি চা-

ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে আপনি সহজেই ভাত চায়ের প্রবণতা দেখতে পারেন। সেখানে আদিবাসী সম্প্রদায়ের সব মানুষ ভাত চা দিয়ে তাদের দিন শুরু করে। কিছু জায়গায় দোকানেও এই চা পাবেন। রাঁচির ডাংরাতলি চকের কাছে ফিল্ড অ্যান্ড ফরেস্ট ক্যাফেতে এই চা উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন। এই চা তৈরিতে লাল চাল ব্যবহার করা হয়।

স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী-

স্বাস্থ্যের দিক থেকেও এই চালের চা খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন বি-টুয়েলভ এর মতো সমস্ত পুষ্টি উপাদান এতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এটি পান করলে হাড় মজবুত হয়, হজমজনিত সমস্যা, ক্লান্তি, পেশীর ক্র্যাম্প ও দুর্বলতা ইত্যাদি দূর হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এই চা খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।

আরও পড়ুন- গর্ভাবস্থায় রক্তপাত কি স্বাভাবিক নাকি বিপদের লক্ষণ, জেনে নিন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

আরও পড়ুন- শরীরে এই অ্যাসিডের অভাবের কারণে এই রোগগুলি হতে পারে, এই খাবারগুলি দিয়ে মেকআপ করুন

আরও পড়ুন- একা থাকা অবস্থায় যদি হার্ট অ্যাটাক আসে, ঠিক সেই মুহূর্তে কি করবেন জেনে নিন

এই চা কিভাবে তৈরি করা হবে-

চালের চা বানাতে লাল চাল একটি পাত্রে রেখে সামান্য ভাজা হয়। এরপর প্রয়োজন মতো জল যোগ করে সিদ্ধ করা হয়। এরপর এতে শুকনো আদা গুড়ো, তেজপাতা ইত্যাদি যোগ করে দুই মিনিট ফুটিয়ে নিন। এর পর চা ছেঁকে নিয়ে পরিবেশন করা হয়। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে এই চা অন্যতম প্রিয় পানীয় হিসেবে বিবেচিত হয়।