- Home
- Astrology
- Horoscope
- মার্চ মাসে মহাজাগতিক 'বিরল দৃশ্য'! ১৫ দিনের ব্যবধানে চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ, কবে কখন জেনে নিন
মার্চ মাসে মহাজাগতিক 'বিরল দৃশ্য'! ১৫ দিনের ব্যবধানে চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ, কবে কখন জেনে নিন
মার্চ মাসের এই দুটি মহাজাগতিক ঘটনা বিশ্বজুড়ে আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ এই বিরল দৃশ্যের সাক্ষী থাকতে প্রস্তুত। এই ঘটনাগুলি বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন গবেষণা এবং পর্যবেক্ষণের সুযোগ করে দেয়।

চলতি বছরের মার্চ মাসে বিশ্ববাসী এক বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকতে চলেছে। মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে সংঘটিত হতে চলেছে দুটি গ্রহণ।
প্রথমটি চন্দ্রগ্রহণ এবং দ্বিতীয়টি সূর্যগ্রহণ। এই দুটি ঘটনাই জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণটি ঘটবে ১৪ মার্চ, যা হোলির দিন। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, এই গ্রহণ ভারতীয় সময় সকাল ৯টা ২৯ মিনিটে শুরু হয়ে বিকেল ৩টা ২৯ মিনিটে শেষ হবে।
তবে, এই চন্দ্রগ্রহণটি ভারত থেকে দৃশ্যমান হবে না। অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকার কিছু অংশে এই গ্রহণ দেখা যাবে।
বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণটি ঘটবে ২৯ মার্চ, যা চৈত্র অমাবস্যায়। পণ্ডিতদের মতে, এই গ্রহণ শুরু হবে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে এবং শেষ হবে সন্ধ্যা ৬টা ১৬ মিনিটে।
এই সূর্যগ্রহণও ভারত থেকে দেখা যাবে না। অস্ট্রেলিয়া, এশিয়া ও ভারত মহাসাগরের কিছু অংশে এই গ্রহণ দেখা যাবে।
যেহেতু এই দুটি গ্রহণই ভারত থেকে দেখা যাবে না, তাই ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এর কোনো প্রভাব ভারতে পড়বে না।
হিন্দু ধর্মে গ্রহণের সময় ‘সুতক’ পালিত হয়, তখন বিভিন্ন ধর্মীয় ও দৈনন্দিন কাজের উপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় বলেই বিশ্বাস।
তবে, এই ক্ষেত্রে সুতক পালনের প্রয়োজন হবে না বলেই মনে করছেন অনেকেই। জ্যোতির্বিজ্ঞানের গুরুত্ব এই দিনগুলোতে অপরিসীম। কারণ, গ্রহণগুলি জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
যা বিজ্ঞানীদের মহাকাশ সম্পর্কে আরও জানতে সাহায্য করে। এই ঘটনাগুলি বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন গবেষণা এবং পর্যবেক্ষণের সুযোগ করে দেয়।
মার্চ মাসের এই দুটি মহাজাগতিক ঘটনা বিশ্বজুড়ে আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। যদিও ভারত থেকে এই গ্রহণগুলি দেখা যাবে না।
তবুও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ এই বিরল দৃশ্যের সাক্ষী থাকতে প্রস্তুত।
ভারতে এই মহাজাগতিক দৃশ্য দেখা না গেলেও ভারতীয় বিজ্ঞানীরা এদিন গবেষণার বিশেষ রসদ পাবেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। তবে অনেকেই নিষ্ঠা সহকারে এই দিনে বিশেষ কিছু রীতিনীতি মেনে চলেন।

