সংক্ষিপ্ত
যে কোনও দেব-দেবীর পুজোর আগে গণেশের পুজো করা হয়। যে কোনও শুভ কাজ শুরুর আগে গণেশের সংকল্প করা হয়। এমনকী, শুভ কাজে যাওয়ার আগে গণশ মন্ত্র উচ্চারণের কথা উল্লেখ আছে শাস্ত্রে। হিন্দু শাস্ত্রে, গণেশ পুজো নিয়ে রয়েছে বিশেষ কাহিনি।
হিন্দু শাস্ত্রে গণেশ (Lord Ganesh) পুজোর গুরুত্ব রয়েছে বিস্তর। যে কোনও দেব-দেবীর পুজোর আগে গণেশের পুজো করা হয়। যে কোনও শুভ কাজ শুরুর আগে গণেশের সংকল্প করা হয়। এমনকী, শুভ কাজে যাওয়ার আগে গণশ মন্ত্র উচ্চারণের কথা উল্লেখ আছে শাস্ত্রে। হিন্দু শাস্ত্রে, গণেশ পুজো নিয়ে রয়েছে বিশেষ কাহিনি। জেনে নিন কেন সবার আগে গণেশের পুজো করা হয়।
গণেশ পুজো নিয়ে কথিত আছে একটি পৌরাণিক কাহিনি। কাহিনি অনুসারে, একবার স্বর্গে দেব-দেবতাদের সভা বসেছিল। সেই সভায় সে শ্রেষ্ঠ দেবতা সেই নিয়ে আলোচনা হয়। দেবতারা নিজেদের নিজেদের মত পোষণ করেন। কিন্তু, কোনও সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো বেশ কঠিন ছিল। এমন সময় ভগবান শিব (Lord Shiv) দেব-দেবতাদের পরীক্ষা করেন। ঠিক হয়, যিনি সবার আগে মহাবিশ্বের চারদিক ঘুরে শিবের কাছে আগে এসে পৌঁছাবেন, তাঁকেই শ্রেষ্ঠ দেবতা নির্বাচন করা হবে। ভগবান শিবের এই নির্দেশ শুনে সকল দেব-দেবতারা তাঁদের বাহন নিয়ে মহাবিশ্ব পরিক্রমে বেরিয়ে পড়েন। এমন সময় ভগবান গণেশ মহাদেব ও দেবী পার্বতীর চারিদিক পরিক্রম করেন। তিনি বলেন, ত্রিলোকের সকল সুখ তাঁর মাতা-পিতার মধ্যে বিরাজমান। তাঁদের চরণেই আছে গোটা বিশ্ব। আর এই কারণেই তিনি ত্রিভুবন পরিক্রম না তাঁর মাতা-পিতাকে পরিক্রম করেন। এরপরই থেকেই সব পুজোর আগে গণেশ পুজোর রীতি প্রচলিত হয়।
হিন্দু ধর্মে ভগবান গণেশ হলেন সঙ্কটমোচন দেবতা। বলা হয়, গণপতির আরাধনা করলে সমস্ত বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। বছরে একাধিকবার মর্ত্যে আসেন গণপতি। যে কোনও সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিংবা যে কাজে জয় লাভ করতে গণেশ পুজো (Lord Ganesh) করতে পারেন। সপ্তাহে বুধবার (Wednesday) দিনটি গণেশকে উৎসর্গ করা হয়ে থাকে। এই দিন গণেশ পুজো করলে সকল মনষ্কামনা পূরণ হবে। বুধবার সকালে ও সন্ধ্যায় শ্রী গণেশের (Sree Ganesh) ১২টি নাম ১০৮ বার পাঠ করুন। বুধবার গরুকে সবুজ ঘাস খাওয়ান। এইদিন ২১টি দূর্বা অর্পণ করে গণেশের পুজো করুন। হিন্দু ধর্মে সিদ্ধিদাতা গণেশের মাহাত্ম্য বিস্তর। সব পুজোর আগে তাঁর পুজো করা জরুরি। মনে করা হয়, যে কোনও শুভ করার শুরুর আগে গণেশকে স্মরণ করলে সকল বাধা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।