রবিবার রাতে মালিক ও তাঁর ড্রাইভারের দেহ উদ্ধার হয়। গড়িয়াহাটের কাকুলিয়া রোডের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দু'জনের দেহ। সোমবার এই ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। এই ঘটনা ঘিরেই ক্রমশ দানা বাঁধছে রহস্য। ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রফতার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও সূত্র পাওয়া যায়নি বলেই জানাচ্ছে পুলিশ। খুনের পিছনে দালালচক্র থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। মৃত সুবীর চাকির ফোনটাও এখনও পাওয়া যায়নি। ফোন না পাওয়া যাওয়ায় তদন্তে সমস্যা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। খুনিরা তবে খুব শীঘ্রই ধরা পড়বে বলে আশাবাদী গোয়েন্দারা।
 

বাড়ির লক্ষ্মীপুজোয় ব্যস্ত অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী। লক্ষ্মীপুজোয় নিজের হাতে আলপনা দিলেন অভিনেত্রী। ছেলেবেলা থেকেই তিনি আলপনা দেন পুজোয়, জানালেন তনুশ্রী। প্রতি বছরই মূর্তি করে পুজো হয় তাঁদের বাড়িতে। তাঁদের বাড়ির লক্ষ্মীপুজোয় থাকে খিঁচুড়ি আর ইলিশ মাছ ভোগ। বাড়ির পুজোয় শাড়িতে দেখা গেল অভিনেত্রীকে। পুজোয় অসাধারণ সাজে দেখা গেল তাঁকে।

টানা বৃষ্টিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি উত্তরাখন্ডে। মেঘ ভাঙা বৃষ্টি‐ভূমিধসে বিপর্যস্ত উত্তরাখন্ড। সেখনে গিয়েই আটকে পড়ছেন বহু বাঙালি। তাদের অনেকেই হাওড়া এবং কলকাতা থেকে গিয়েছিলেন। সপ্তমীর দিন হাওড়ার কোনা থেকে ১৪ জনের একটি দল উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে যান। বুধবার ফেরার কথা থাকলেও সেখানকার পরিস্থিতিতে আটকে পড়েছেন তাঁরা। তাঁদের চিন্তায় ঘুম উড়েছে পরিবারের সদস্যদের। তাঁদের সঙ্গে ঠিক ভাবে যোগাযোগ করাও যাচ্ছে না। এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
 

চারদিকে যখন হিংসার ছবি উঠে আসছে ঠিক তখনই এক অন্যরকমের ছবি ধরা পড়ল বর্ধমানে। ওপার বাংলায় যখন সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চলছে, তখনই সৌভ্রাতৃত্বের ছবি ধরা পড়ল বাংলায়। বাড়ি বাড়ি ঘুরে লক্ষ্মীপুজোর সামগ্রী পৌঁছে দিলেন মুসলিমরা। এমনই ছবি দেখা গেল বর্ধমান শহরের আলুডাঙায়। সেখানেই হিন্দুদের ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপুজোর সামগ্রী উপহার দিলেন মুসলিম প্রতিবেশীরা। এর মধ্যে দিয়েই সৌভ্রাতৃত্বের নজির গড়লেন তাঁরা। তাঁদের এই উদ্যোগে খুশি সেখানকার মানুষ।
 

বাংলাদেশের ঘটনার প্রতিবাদ চলছে দেশ জুড়ে। ঠিক এই সময়েই দৃষ্টান্তমূলক কাজ করে দেখালেন ৬০ জন মুসলিম যুবক। পশ্চিম মেদিনীপুরের মুসলিম যুবকরা সেখানে প্রতিমা নিরঞ্জন করেছেন। পৌরসভার পক্ষ থেকে নিরঞ্জনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মুসলিম যুবকদের। তিন দিন ধরে টানা চলে সেখানে দুর্গাপুজোর ভাসান। প্রায় ২০০ টি প্রতিমা নিরঞ্জন করেন তাঁরা। পরে তাঁদের কাজের জন্য সেখানে তাঁদের সংবর্ধনাও দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর থেকে শুরু করে গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকটি হিন্দু মন্দিরে হামলা চালানো এমনকি ইসকনের মন্দিরে হামলার প্রতিবাদ চলছে বঙ্গে। মঙ্গলবার বিকেলে মধ্যমগ্রামে এই ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামল মধ্যমগ্রাম ইসকন কর্তৃপক্ষর ভক্তরা। এদিন প্ল্যাকার্ড হাতে সংকীর্তনের মাধ্যমে শান্তির বার্তা দিলেন তাঁরা। ধর্মীয় সন্ত্রাস বন্ধ হোক এই দাবি তুলেই শান্তিপূর্ণ মিছিল হয় মধ্যমগ্রামে। এদিন তাঁরা বলেন বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে নিজেদের ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে মানুষের। তাদের দাবি হিংসা নয় শান্তি চাই বাংলাদেশে। 

সাতবাহন রাজারা খোদাই করে বানিয়েছিলেন গজলক্ষ্মীর মূর্তি। সাঁচি স্তুপে খোদাই করে তৈরি হয়েছিল এই গজলক্ষ্মীর মূর্তি। অনেক ঐতিহাসিক গজলক্ষ্মীকে শ্রী লক্ষ্মী বলে উল্লেখ করেছেন। গান্ধারের শক রাজা আজিলিসের মুদ্রায় গজলক্ষ্মীর ছাপ দেখা যায়। এই লক্ষ্মী তবে বাঙালির ঘরের সেই চিরপরিচিত লক্ষ্মী নন। 'গজলক্ষ্মী' শব্দটির অর্থ “গজ অর্থাৎ হাতিদের দ্বারা পূজিত লক্ষ্মী"। এককভাবে পূজিত হন গজলক্ষ্মী। গজলক্ষ্মীর একহাতে থাকে ঝাঁপি, এক হাতে থাকে ধানের ছড়া। 

বাঁকুড়ায় চলল হাতির তান্ডব। হাতি তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকশো বিঘা জমি। পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমানা পেরিয়ে হাতি গুলি ঢুকে পড়ে। বাঁকুড়া উত্তরের সংগ্রামপুর বীট এলাকায় ঢুকে পড়ে হাতিগুলি। খাবারের খোঁজেই তারা সেখানে ঢুকে পড়ে বলে অনুমান। এরপরেই হাতির তান্ডবে সেখানে ধানের ক্ষতি হয়। এই নিয়েই এদিন বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। হাতিগুলিকে অন্যত্র সরানোর আশ্বাস দিয়েছে বন দফতর।

কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো শুরু হওয়ার পেছনে রয়েছে এক কাহিনী। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো‐র সূত্রপাত জগৎ শেঠে‐এর  হাত ধরে। এই কাহিনির তবে কোনও ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। জগৎ শেঠের মা এই পুজো শুরু করেন বলে মনে করা হয়। আজও ঘরে ঘরে এই পুজো হয়ে আসছে। এই পুজোর দিন গৃহস্থ বাড়িতে সারারাত ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানো হয়। বাড়ির দরজা খুলে বসে থাকেন গৃহিনীরা। বঙ্গে বেশিরভাগ ঘরে মালক্ষ্মী পূজিত হন কোজগরী পূর্ণিমার রাতে।

লক্ষ্মী দেবীর আরাধনার প্রস্তুতি চলছে জেলা জেলায়। লক্ষ্মী পুজোর শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে। তবে পুজোর বাজার করতে গিয়েই মাথায় হাত বাঙালির। লক্ষ্মীপুজোর আগে ফলের বাজারে আগুন। শুধু ফলই নয় সবজির দামও আকাশ ছোঁয়া। অগ্নিমূল্য ফল থেকে সবজি তাই আয়োজনের ফর্দে কাটসাট করে বাজার করছেন অনেকেই। বেড়েছে প্রতিমার দামও। ছোট থেকে বড় সব প্রতিমার দামই বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ফুল ও ফলের দামও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে।