সংক্ষিপ্ত

  • দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে উত্তেজনা চরমে
  • তার মধ্যেও বাণিজ্য ক্ষেত্রে চলছে চুক্তি স্বাক্ষর
  • মহারাষ্ট্রে বিপুল লগ্নি করতে চলেছে চিনা সংস্থা
  • মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের উপস্থিতিতেই মউ স্বাক্ষর

গত দেড়মাস হল লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা চলছে। যা চরমে পৌঁছেছে গত সোমবার রাতে। গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনা যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন করেছে। চিনা হামলায় প্রাণ গিয়েছে এক সেনা আধিকারিক সহ ২০ জন জওয়ানের। তারপর থেকেই সেনা প্রধানদের সঙ্গে বার বার বৈঠক করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। চিনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বাণিজ্যক্ষেত্রে যে এখনও সেই প্রভাব তেমন পড়েনি তার সাম্প্রতিক উদাহরণ মহারাষ্ট্রে চিনা গাড়ি সংস্থার বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ।

আরও পড়ুন: গালওয়ানকে এখনও নিজের অংশ দাবি চিনের, মধ্যরাতেই কড়া জবাব দিল ভারত

সম্প্রতি মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করেছে চিনা অটোমোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা গ্রেট ওয়াল মোটর। এই রাজ্য়ে গাড়ি উৎপাদনের জন্য় কারখানা গড়ার ব্য়াপারে এই মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যার জন্য চিনা সংস্থাটি বিনিয়োগ করছে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় অর্থে যার পরিমাণ ৭,৬১১ কোটি টাকা। চুক্তি অনুযায়ী পুণের কাছে তেলেগাঁওয়ে হবে এই গাড়ি নিমার্ণ কারখানা। যার ফলে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

আরও পড়ুন: চিন ও পাকিস্তানের সমর্থনেই মিলল সদস্যপদ, ভারতের বড় কূটনৈতিক জয় দাবি মোদী সরকারের

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এবং ভারতে চিনা রাষ্ট্রদূত সান ওয়েইডংয়ের উপস্থিতিতে স্বাক্ষরিত হয় এই চুক্তি। মউ স্বাক্ষরের আগে অনলাইনে ‘ভার্চুয়াল মিটিং’ করেন জিডব্লিউএম-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর জেমন ইয়ং এবং মহারাষ্ট্রের শিল্পমন্ত্রী সুভাষ দেশাই। মউ স্বাক্ষরের পর গ্রেট ওয়াল মোটরের ভারতের ম্য়ানেজিং ডিরেক্টর পার্কার শি জানান, ”অত্য়াধুনিক রোবোটিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে পুনের কাছে তালেগাঁওয়ে উচ্চমানের অটোমেটেড প্ল্য়ান্ট করা হবে”। তিনি আরও জানিয়েছেন, ”ভারতে আমরা ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে অঙ্গীকার করেছি…৩ হাজারেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান করা হবে”।

তেলেগাঁওয়ে আমেরিকার গাড়ি নির্মাতা সংস্থা জেনারেল মোটরসের একটি কারখানা ছিল। জানুয়ারিতে সেটি কিনে নেয় জিডব্লিউএম। সেখানেই অত্যাধুনিক এসইউভি নির্মাণ পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে বলে চিনা সংস্থাটি জানিয়েছে। চলতি বছরের গোড়ায় ‘ইন্ডিয়া অটো এক্সপো ২০২০’-তে অংশ নিয়ে ভারতের গাড়ি-বাজারের অংশীদার হওয়ার বার্তা দিয়েছিল চিনা সংস্থাটি। কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে ইতিমধ্যেই তারা একটি ‘রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার’ গড়ে তুলেছে।