সংক্ষিপ্ত
কাশ্মীর নিয়ে নাকি ইমরান কথা বলেছেন হাসিনার সঙ্গে
পাকিস্তানের এই দাবি উড়িয়ে দিল ঢাকা
পাকিস্তান বললেই তাদের মাথায় আসে অত্যাচারের ছবি
তা বাংলাদেশ কখনই ভুলবে না
পাকিস্তানের মিথ্যাচার ফাঁস করে দিল বাংলাদেশ। গত সপ্তাহে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মধ্যে টেলফোনে কথা হয়। এই কথোপকথনের পরই পাকিস্তান দাবি করেছিল দুই রাষ্ট্রপ্রদানের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যা মোটেই ভালোভাবে নেয়নি নয়াদিল্লি। কিন্তু, বাংলাদেশ দাবি করছে ইমরান খান ও শেখ হাসিনার মধ্যে শুধুমাত্র করোনাভাইরাস মহামারি এবং বন্যা নিয়েই কথা হয়েছে।
বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেছেন পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের এই টেলিফোনিক বার্তালাপ ছিল শুধুমাত্র দুই দেশের মধ্যে সৌজন্য সাক্ষাত্কার। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনও কথা হয়নি। তবে কাশ্মীর প্রসঙ্গে বলেছেন, বাংলাদেশ যে ভারতের পক্ষেই থাকবে, তা পরের কথাতেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন বাংলাদেশি বিদেশমন্ত্রী। বাংলাদেশ কখনই তার নাগরিকদের উপর পাকিস্তানি অত্যাচারের কাহিনি ভুলতে পারবে না বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি। আর পাক কর্তৃপক্ষের সেই অত্যাচারের হাত থেকে তাদের নাগরিকদের স্বাধীন করতে বড় ভূমিকা নিয়েছিল ভারত।
আবদুল মোমিন স্পষ্ট বলেছেন, একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামে পাকিস্তান আমাদের ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছিল। খান সেনাদের হাতে ইজ্জত গিয়েছিল হাজার হাজার নারীর। এইসহ অপরাধের জন্য পাকিস্তান সরকার কখনই ক্ষমা চায়নি।
ভারতের মতো বাংলাদেশের সঙ্গেও পাকিস্তানের সুসম্পর্ক নেই। শুধুমাত্র বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে দেখা হয় দুই দেসের রাষ্ট্রনেতাদের। এরমধ্যে ইমরান খানের হঠাৎ ফোন করা বেশ অস্বাভাবিক ঘটনা। পাকিস্তান অবশ্য বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করতে চায়। তবে তা তাদের পক্ষে মোটেই সহজ কাজ নয়। একাত্তরের যুদ্ধে পাক সমর্থকদের বিচার প্রক্রিয়া এবং মৃত্যদণ্ড এখনও চলছে বাংলাদেশে। পাকিস্তান বরাবরই এর বিরোধিতা করে আসছে। বাংলাদেশ সাফ জানিয়ে দিয়েছে এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
এই অবস্থায় অনেকেই শেখ হাসিনা-কে ইমরান খানের ফোনের পিছনে চিনের চাপ রয়েছে বলে মনে করছেন। এমনিতেই এখন ভারতের প্রতিবেশি দেশগুলিরর উপর প্রভাব বাড়াতে চাইছে চিন। পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের লৌহ-দৃঢ় বন্ধুত্বের কথা সোমবারই আরও একবার বলেছে বেজিং। ৫ অগাস্ট আবার ভারতের ৩৭০ ধারা বাতিলের এক বছর পূর্তিকে কেন্দ্র করে ভারত বিরোধী প্রচার গড়ে তুলতে চাইছে পাকিস্তান। এই অবস্থায় হাসিনা-কে সম্ভবত কাশ্মীরে ভারতের পদক্ষেপের বিরোধিতার একমঞ্চে আনার চেষ্টা করেছিলেন ইমরান। কিন্তু, হাসিনা সেই প্রস্তাব বাড়তে দেননি, এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।