ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়ছে হত্যার ঘটনাবিএসএফ-এর আচরণ সংযত নয়সম্প্রতি এমন অভিযোগ করেছে বাংলাদেশপরের মাসে এই নিয়ে বৈঠক হবে বিএসএফ-বিজিবি'র
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়ছে বর্ডার সিকিওরিটি ফোর্স বা বিএসএফ কিংবা ভারতীয় নাগরিকদের গুলিতে হত্যার ঘটনা। সম্প্রতি এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছে বাংলাদেশের বিদেশ দপ্তরের পক্ষ থেকে। গত সপ্তাহেই ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে একটি বৈঠক হয় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন-এর। সেখানেই এই বিষয়টি তোলেন মোমেন বলে জানা গিয়েছে।
বাংলাদেশের বিদেশ দপ্তর দাবি করেছে ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শ্রিংলা-কে জানানো হয়েছে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর সর্বোচ্চ সংযম রক্ষার কথা। কিন্তু, তাদের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ সেই চুক্তি মানছে না। ভারতের পক্ষ থেকে বিষয়টি সংবেদনশিলতার সঙ্গে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আগামী মাসে ঢাকা আয়োজিত বিজিবি ও বিএসএফ-এর মধ্যে একটি ডিজি পর্যায়ের আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত, এমনটাই বলেছে বাংলাদেশ।
ভারতে গত বছর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন জারির পর থেকেই দলে দলে বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ নাগরিকরা রাতের অন্ধকারে বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করছিলেন বলে খবর এসেছিল। কখনও কখনও বিএসএফ-এর নজরে পড়ে গেলে তাদের উপর গুলিও চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে চোরা-পাচারকারীদের উৎপাতও দিন-দিন বেড়ে চলেছে। মাসখানেক আগে তাদের পাল্টা হামলায় জখমও হন বিএসএফ জওয়ানরা।
বুধবার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে বৈঠকে ভারতে লকডাউনের ফলে আটকে পড়া বাংলাদেশ থেকে আসা তাবলীগি জামাতের সদস্যদের দ্রুত বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধও করা হয়েছে। এছাড়া অসমের ধুবরি জেলায় কারাববন্দি থাকা ২৫ জন বাংলাদেশী মৎসজীবীদেরও দ্রুত মুক্তি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
