সংক্ষিপ্ত
- করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই বাবাকে হারালেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী
- দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন বসন্তকুমার চক্রবর্তী
- বাবাকে শেষ দেখা তো দূরের কথা বাবার শেষযাত্রাতেও থাকতে পারলেন না অভিনেতা
- লকডাউনের জন্যই বেঙ্গালুরুতে আটকে রয়েছেন অভিনেতা
সারা দেশেরই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। একটানা দীর্ঘদিনের লকডাউন চলছে। কোনওভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। আর এই লকডাউনের ফলে বিভিন্ন রাজ্যে, বিভিন্ন দেশে আটকে রয়েছে অভিনেতা থেকে সাধারণ মানুষ। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই বাবাকে হারালেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। গতকাল সন্ধ্যেবেলাতেই মিঠুন চক্রবর্তীর বাবা বসন্ত কুমার চক্রবর্তী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। বাবার মৃত্যুতে বাবাকে শেষ দেখা তো দূরের কথা বাবার শেষযাত্রাতেও থাকতে পারলেন না অভিনেতা। কারণ লকডাউনের জন্যই বেঙ্গালুরুতে আটকে রয়েছেন অভিনেতা।
আরও পড়ুন-এই কারণের জন্যই অজয়কে বিয়ে করেছিলেন কাজল, ফাঁস হল গোপন সত্য...
মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মিমো চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মুম্বইয়ের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাদ করেছেন অভিনেতার বাবা। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। বয়সও ৯০ পেরিয়ে গেছে। শারীরিক সমস্যার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। এদিকে বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে বেঙ্গালুরু থেকে মুম্বই পৌঁছানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন মিঠুন। তবে লকডাউনের মধ্যে কতটা আসতে পারবেন অভিনেতা সেটাই সন্দেহের।
আরও পড়ুন-মোদীর পর বাজপেয়ী, লকডাউনে ভাইরাল 'সীতা'র এই ছবি...
মিঠুনের বড় ছেলে মিমো চক্রবর্তী এই মুহূর্তে তার পরিবারের সঙ্গে মুম্বইতে রয়েছেন। মিমো জানিয়েছেন, ছবির শ্যুটিং-এর জন্যই মিঠুন বেঙ্গালুরুতে গিয়েছিলেন। আর সেখানে গিয়ে লকডাউনের কারণেই তিনি আটকে পড়েছেন। উল্লেখ্য, মিঠুন চক্রবর্তীর বাবা বসন্তকুমার চক্রবর্তী একসময়ে ক্যালকাটা টেলিফোনসে চাকরি করতেন। ৪ সন্তানের মধ্যে মিঠুনই বড়। সূত্র থেকে শোনা গেছে, বেশ রাশভারী লোক ছিলেন বসন্তকুমার। কড়া নিয়মানুবর্তিতার মধ্যেই রাখতেন ছেলেমেয়েদের। তাই সাতের দশকে যখন নকশাল আন্দোলনের সঙ্গে মিঠুনের যোগ পেয়েছিলেন, তড়িঘড়ি মিঠুনকে মুম্বইতে পাঠিয়ে দেন। মিঠুনও তারপর নকশাল আন্দোলন ছেড়ে মু্ম্বইতে অভিনয় কেরিয়ারে মন দেন। ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন অফ ইন্ডিয়া থেকে অভিনয় নিয়ে স্নাতক হন মিঠুন। যদিও ছেলের এই ফিল্মি কেরিয়ার বাবা বসন্তকুমারের খুব একটা পছন্দ ছিল না, তবে সময়ে-অসময়ে সর্বদা ছেলের পাশে থেকেছেন বসন্তকুমার। তবে মৃত্যুর আগে একবার ছেলের মুখটা পর্যন্ত দেখতে পারলেন না। আর মিঠুনও শেষবারের মতো বাবাকে আর দেখতে পারলেন না।