সংক্ষিপ্ত
- গুরুতর অসুস্থ সিপিএম-এর বর্ষীয়ান নেতা তথা জুন আন্টি'র বাবা শ্যামল চক্রবর্তী
- ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে তাকে তড়িঘড়ি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে
- অভিনেত্রী উষসী চক্রবর্তী নিজের সোশ্যালে একথা জানিয়েছেন
- আগামীকাল শ্যামল চক্রবর্তীর করোনা পরীক্ষা করা হবে
করোনার দাপট যেন থামছে না। ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। করোনা সঙ্কটের মধ্যেই আচমকা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন সিপিএম-এর বর্ষীয়ান নেতা তথা জুন আন্টি'র বাবা শ্যামল চক্রবর্তী। ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে তাকে তড়িঘড়ি করে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিনেত্রী উষসী চক্রবর্তী নিজের সোশ্যালে একথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-রিয়ার পরই সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছলেন সুশান্তের বাবা, ক্যাভিয়েট দাখিল পরিবারের...
অভিনেত্রী উষসী চক্রবর্তী জানিয়েছেন, 'জ্বর, ফুসফুসে সংক্রমণ, নিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি লিখেছেন, 'অনেকেই সকাল থেকে বার বার ফোন করে খোঁজ নিচ্ছেন ধরতে পারিনি তাই জানাচ্ছি আমার বাবা শ্রী শ্যামল চক্রবর্তী কাল থেকে নর্থ সিটি হাসপাতালে ভর্তি। কোভিড কিনা জানা যায়নি, কারণ টেস্ট কাল হবে। তবে যেহেতু ওঁর ফুসফুসের সংক্রমণ রয়েছে (যেটা ওঁর এর আগে অনেক বারই হয়েছে) তাই বর্তমান চিকিতসা প্রটোকল অনুসারে ওঁকে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভোগা অন্য রুগীদের সাথে একই ফ্লোরে রাখা হয়েছে।তাঁদের মধ্যে কোভিড পেশেন্ট ও আছেন। যদিও বাবার কেবিন আলাদা তবুও যেহেতু একই মেডিকেল ও নার্সিং স্টাফ ওঁর দেখাশোনা করছেন তাই ওঁর হাসপাতাল বাহিত কোভিড হওয়ার সম্ভবনা বাতিল করা যাচ্ছে না। যাই হোক, এ নিয়ে অভিযোগ করে তো লাভ নেই। বর্তমান সময়ে লোকে যখন অক্সিজেনের অভাবে স্রেফ মরে যাচ্ছে সেখানে উনি অন্তত একটা আলাদা কেবিন পেয়েছেন এটাই যথেষ্ট। আমার বাবা হোলটাইমার। বাবার সূত্রে টাকা পয়সা বিষয় আশয় কিছুই আমি পাইনি। মা যেহেতু পরিবারের একমাত্র রোজেগেরে মানুষ ছিলেন উনি চলে যাবার পর বাবা বহু কষ্টেই আমায় মানুষ করেছেন। আমি সরকারি স্কুলে লেখাপড়া করতাম সেখানে মাইনে ছিল সাড়ে আট টাকা। লেখাপড়ায় খারাপ ছিলাম না তাই উচ্চশিক্ষায় অসুবিধা হয়নি। বাবার খুব ইচ্ছে ছিল মেয়ে যতই অভিনয় করুক পি এইচ ডি যেন কমপ্লিট করে। আগামী ১২ আগস্ট আমার পি এইচ ডি-র প্রি-সাবমিশন। যাই হোক, যেটা বলার সেটা হল বাবার কাছ থেকে টাকা পয়সা বিষয় আশয় কিছু না পেলেও যেটা পেয়েছি বলা ভাল ইনহেরিট করেছি সেটা হল ওঁর লড়াই করার ক্ষমতা। ফাইটিং স্পিরিট. সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করার জেদ আর কোনও কিছু একবার শুরু করলে শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া –হাল না ছাড়া। উনি এখন লড়াই করছেন। আমার ধারণা ওঁর ফাইটিং স্পিরিট যা আমি জন্মসূত্রে করেছি, ওঁর কাছ থেকেই পেয়েছি তা ওঁকে এই যুদ্ধেও হারতে দেবে না। আইসোলেশন ওয়ার্ডে ঢোকা যায় না- তাই দূর থেকে বলছি ফাইট বাবা ফাইট। যাই হয়ে যাক তুমি হাল ছেড়ো না।'
পুনশ্চঃ শুভানুধ্যায়ী অনুরাগীরা দুশ্চিন্তা করবেন জানি। বিনীত অনুরোধ ওঁকে সরাসরি ফোন করবেন না। ওঁর বেশি কথা বলা বারণ কষ্ট বাড়বে। অক্সিজেন চললে ফোন ধরতেও পারবেন না। আমি এখানেই আপডেট দেব। যাঁরা সুদীপদা বা বিপুলদাকে শতরূপ বা প্রশান্ত নন্দী চৌধুরি কে চেনেন ওঁদের কাছ থেক জেনে নেবেন বাকিটা।'
আরও পড়ুন-'করোনায় আক্রান্ত অমিতাভ, কার ভরসাতে বসে খাবেন আপনি', নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখে অভিষেক...
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যেই শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। আগামীকাল শ্যামল চক্রবর্তীর করোনা পরীক্ষা করা হবে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি উষসী। করোনা পরীক্ষার পরই সবটা জানা যাবে, এর আগেও বেশ কয়েকবার শ্যামল চক্রবর্তী ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালের একটি আলাদা কেবিনেই রাখা হয়েছে শ্যামল চক্রবর্তীকে। কিন্তু সেখানেও কোভিড রোগী রয়েছে। তাই হাসপাতাল বাহিক কোভিডে রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেন নি অভিনেত্রী। তিনি আরও জানিয়েছেন, বাবার থেকেই ফাইটিং স্পিরিট জন্মসূত্রে পেয়েছেন তিনি। আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ঢোকার অনুমতি না মিললেই বাবাকে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা দূর থেকেই বলে চলেছেন উষসী।