সংক্ষিপ্ত

বাপ্পা-সুকন্যা দত্ত তরজায় বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায় জ্বলন্ত ইস্যু। তাই কি মুখ খুললেন বাধ্য হলেন ‘শহরের উপকথা’র অভিনেত্রী? সপাট দাবি, বোল্ড সিনের মহড়া দিয়ে কাজ পেলে বাপ্পা কেন!

মুখ খুললেন বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়। শ্যুটের অবসরে সামাজিক পাতায় অনুরাগীদের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন অভিনেত্রী। এই প্রথম তাঁর বিরুদ্ধে চর্চা, তিনি নাকি বোল্ড সিনের মহড়া দিয়ে কাজ পান। তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অভিনেত্রীর নিজের স্বপক্ষে যুক্তি, ‘‘আমার এখনও এত খারাপ সময় আসেনি যে বোল্ড সিনের মহড়া দিয়ে কাজ পেতে হবে!’’ একই সঙ্গে এক হাত নেন অভিনেত্রী সুকন্যা দত্তকেও। নাম না করেই বেঁধেন, ১২ বছর অভিনয় দুনিয়ায় কাজ করে ফেললেন। তাঁকে নিয়ে কেউ এই ধরনের মন্তব্য করার সাহস করেননি! এখন সেটাও শুনতে হচ্ছে। এটা তাঁর দুর্ভাগ্য।

সাজিদ খান, অশ্লীলতা, #MeeToo আন্দোলন নিয়ে বলিউড যখন ফের উত্তাল তখনই বোমা ফাটান সুকন্যা দত্ত। একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়ে দাবি করেন, তাঁকে পরিচালক বাপ্পা বি ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার নাম করে অশালীন অপমান করেছেন। সরাসরি তাঁকে অন্তরঙ্গ হওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন। সে প্রস্তাবে রাজি না হতেই নাকি বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়ের নাম নেন পরিচালক। বলেন, ‘‘বাসবদত্তা আমার সঙ্গে সাহসী দৃশ্যের মহড়া দিয়ে কাজ করেছেন। তোমার এত আপত্তি কেন?’’ এও নাকি শোনান, ‘‘সঙ্গমে অক্ষম? ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ কী করে পাবে!’’

এখানেই তীব্র আপত্তি বাসবদত্তার। তাঁর যুক্তি, ‘’১২ বছর হয়ে গিয়েছে। তার পরেও কাজের আগে পরিচালকদের জানাই, আমি কিন্তু সব ধরনের দৃশ্যে স্বচ্ছন্দ নই।’’ একই সঙ্গে তাঁর বিদ্রূপ, তিনি যদি তথাকথিত সাহসী দৃশ্যে অভিনয়ের মহড়া দিয়েই কাজ পাবেন তা হলে বাপ্পা বি কেন? শহরে তো আরও প্রথম সারির পরিচালক, প্রযোজক রয়েছেন! অভিনেত্রীর আক্ষেপ, একুশ শতকেও সবাই সাহসী দৃশ্য মানেই শয্যাদৃশ্য বোঝেন। কেউ মানসিক দিক থেকে দৃঢ়চেতা হলেও তাঁকে সাহসী বলা যায়। বাপ্পার শহরের উপকথা খ্যাতনামী নাট্য নির্দেশক-নাট্যকার বাদল সরকারের ‘বাকি ইতিহাস’ নাটক অবলম্বনে তৈরি। ছবিটি দেখলেই সবাই বুঝবেন, সেখানে কোনও সাহসী দৃশ্য নেই। তার পরেই বাসবদত্তা পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, তা হলে অকারণে তিনি এই ধরনের দৃশ্যের মহড়া দিতে যাবেন কেন?

 

 

পাশাপাশি, অভিনেত্রী সুকন্যার অভিনয় দেখেননি। বাপ্পা বি-কেও কাজের বাইরে চেনেন না। তাই তাঁর দাবি, তাঁকে অকারণ বিতর্কে বোধহয় না জড়ানোই ভাল। তিনি কাজ করেন। টাকা পান। কাজ ফুরোলে চলে আসেন। এই জন্য তাঁকে অনেকে অহঙ্কারি, উন্নাসিকও বলেন। এতে তাঁর কোনও দুঃখ নেই। তাঁর মতে, বাপ্পা নতুন পরিচালক। তাই সম্ভবত তাঁকে এই ধরনের কথাবার্তা শুনতে হচ্ছে। এ দিকে সুকন্যার পোস্টের পরে প্রেক্ষিতে পরে বাপ্পাও একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। সেখানে তাঁর দাবি, সুকন্যার লুক দেখে তাঁকে পরের ছবির জন্য ভেবেছিলেন বাপ্পা। তাই মুখোমুখি বসে কথাও বলেন। কিন্তু ওঁর উচ্চারণ, কণ্ঠস্বর এবং অভিনয় ক্ষমতা তাঁকে ছুঁতে পারেনি। তাই তিনি তাঁর আগামি কাজ থেকে বাদ দেন। সম্ভবত সেই রাগেই তিনি এই নোংরামি করেছেন। পরিচালক ইতিমধ্যেই অল বেঙ্গল মেল ফোরাম এবং থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। সমস্যার সমাধান আইনি পথেই হবে।