সংক্ষিপ্ত
- কৃষ্ণকলির ৭০৪ নম্বর এপিসোডের একটি দৃশ্যের স্ক্রিনশট এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল
- নিখিলের দাদা অরুণকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে
- গুরুতর অবস্থায় তাকে বাঁচানোর জন্য শক দেওয়া হচ্ছে, যাতে তার হৃদযন্ত্র ফের সচল হয়
- কিন্তু এখানে হৃদযন্ত্রের বদলে ফ্লোর ক্রাবার ব্যবহার করা হয়েছে
ঘড়ির কাটায় ৬ টা বাজতে না বাজতেই চায়ের চুমুক সঙ্গে পছন্দের ধারবাহিকে চোখ। বেশিরভাগ বাঙালি ঘরেই ছবি এটাই। বলি থেকে টলি যার যা পছন্দ তাতেই যেন ডুবে থাকে সকলেই। কিন্তু বর্তমানে এমন পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, যেখানে বিজ্ঞান আর বিজ্ঞান নেই, উল্টে চিকিৎসা বিদ্যা, পর্দার্থ বিদ্যা সবকিছুই ঘেটে ঘ। সম্প্রতি এরকমই এক সাংঘাতিক কান্ড ঘটল বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় ধারাবাহিক 'কৃষ্ণকলি'র সেটে। বিষয়টি একটু খোলসা করে বলা যাক,
আরও পড়ুন-'উমরাও জান'কে ছোঁয়ার চেষ্টা, বলি ডিভা রেখার সঙ্গে নিজের তুলনা সারার, পরিণতি কী হয়েছিল...
জনপ্রিয় ধারাবাহিক 'কৃষ্ণকলি'র ৭০৪ নম্বর এপিসোডের একটি দৃশ্যের স্ক্রিনশট এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যেখানে নিখিলের দাদা অরুণ দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এবং গুরুতর অবস্থায় তাকে বাঁচানোর জন্য শক দেওয়া হচ্ছে, যাতে তার হৃদযন্ত্র ফের সচল হয়। কিন্তু এখানে আসল যন্ত্রের বদলে ফ্লোর ক্রাবার ব্যবহার করা হয়েছে। এই ছবিটি ভাইরাল হতে খুব বেশি সময় লাগেনি।
শ্যামার বর নিখিলের দাদা অরুণ ভর্তি হাসপাতালে। তাকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। বাস্তবেও কোনও মরণাপন্ন রোগীকে বাঁচানোর জন্য এই শক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যাতে তার হৃদযন্ত্র ফের সচল হয়। কিন্তু এখানে আসল যন্ত্রের বদলে একজোড়া ফ্লোর ক্রাবার ব্যবহার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রোমাতে দেখা যাচ্ছে, চিকিৎসক বলছেন, আমি জানি না উনি বাঁচবেন কিনা, তাও আমরা সবরকমভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাবে। আর তারপরেই ফ্লোর ক্রাবার দিয়ে বুকের মধ্যে শক দেওয়া হচ্ছে। এইরকম মরণবাঁচন পরিস্থিতিতে এই ফ্লোর ক্রাবার সকলের কাছেই হাসির খোরাক হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি ক্রাবার দুটিকে এমনভাবেই ব্যবহার করা হয়েছে, যা কিনা সকলেরই চোখে পড়েছে। মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমে ভরে গিয়েছে। এক্ষেত্রে ডাক্তার রোগী বাঁচাতে গিয়েই নিজেই ট্রোলড হয়েছে।