সংক্ষিপ্ত
৩ জুন মুক্তি পেতে চলেছে রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত হাবজি গাবজি । শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ছবিটি মোবাইলে আসক্ত এক বাচ্চার শৈশব নষ্ট হয়ে যাওয়ার গল্প বলছে।
পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর মতে, হাবজি গাবজি ছবির ভাবনা মাথায় আসে তাঁর নিজের ভাগ্নির মোবাইলে আসক্তি দেখে। সেই গল্পও শোনা গেলো রাজের মুখ থেকে। তিনি জানালেন, 'আমাদের সঙ্গে আমার ভাগ্নি থাকে। কয়েকবছর আগেও ওর প্রচণ্ড মোবাইল গেমে আসক্তি ছিল। আমি রোজ রাতে ইন্টারনেট অফ করে শুয়ে পড়তাম, সকালে উঠে দেখতাম নেট অন রয়েছে। একদিন শুভশ্রী আবিষ্কার করল, আমার ভাগ্নি রোজ মাঝরাতে উঠে ইন্টারনেট অন করে দেয়। তারপর সারারাত পাবজি খেলে। এমনকী সবার সঙ্গে বসে কথা বলার সময়ও দেখতাম ও মোবাইল গেমে মগ্ন হয়ে থাকে। আমি বারণ করাতে ও আমায় এড়িয়ে যেতে থাকে। ওকে দেখেই প্রথম এই ছবির পরিকল্পনা মাথায় আসে। তারপর আমার অনেক সহকর্মীর সঙ্গে গল্প করতে করতে শুনি, বেশিরভাগ বাড়ির ছোটদের নেশাই মোবাইল গেম।'
ছবির প্রচারের জন্য তৈরি একটি প্রমোশনাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটি ঘরে কতগুলো কচিকাঁচা বসে বসে ভিডিও গেম খেলছে। তাদের মাঝখানে শুভশ্রী এসে দাঁড়ালেও তাতে তাদের কোনো ফারাকই পড়ছে না, বরং জনপ্রিয় নায়িকাকে সামনে দেখেও বিরক্ত তারা। কারণ আর কিছুই নয়, মোবাইলের নেশা এতটাই তীব্র যে গেমে ব্যাঘাত ঘটছে বলে তারা বিরক্ত বোধ করছে। শুভশ্রী তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছে মোবাইল কতটা বিপদজ্জনক। কিন্তু তাতেও বাচ্চাদের পাল্টা যুক্তি, মোবাইলে ক্ষতি কি কেবল বাচ্চারা ব্যবহার করলেই হয়? বড়রাও তো সবসময় মোবাইল ব্যবহার করে চলেছে। অনেক কষ্টে শুভশ্রী তাদের রাজি করায় যে ৩ জুন শুভশ্রীর আসন্ন ছবি হাবজি গাবজি দেখার পরই বাচ্চারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিক যে তারা মোবাইল গেম খেলতে চায় কিনা! তবে ছবিটি দেখতেই হবে। বাচ্চারা সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন- টলিউডে বিয়ের সানাই, সাত পাকে বাঁধা পড়লেন ঋতজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা
বর্তমানে বড়দের পাশাপাশি বাচ্চারাও সমান আসক্ত মোবাইলে। বাচ্চাদের শান্ত রাখতে বাবা মায়েরাও তাদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন মোবাইল। এই মোবাইল যে তাদের শারীরিক মানসিক ভাবে কতটা ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছে সেটা বুঝতে বুঝতে একটা বাচ্চার শৈশব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মোবাইলে একটি শিশুর জীবনের ক্ষতি নিয়ে তৈরি হাবজি গাবজি মুক্তি পেতে চলছে ৩ জুন। সব বয়সের দর্শকদের জন্য তৈরি এই সিনেমাটির বর্তমান সময়ে খুবই শিক্ষণীয় একটি সিনেমা হতে চলেছে। তাহলে আর দেরি না করে বাড়ির বাচ্চাদের নিয়ে দেখেই আসুন সিনেমাটি। হয়তো দেখলেন সত্যিই বাচ্চা মোবাইলে ভয় পাচ্ছে!