সংক্ষিপ্ত
নতুন বছরে কি দর্শক আবারও নতুন ভাবে শুনবেন সেই বিখ্যাত সংলাপ, ‘‘বিশ্বাস করো মা, আমি চুরি করিনি!’’
টলিউডে ‘চোখ তুলে দেখো না কে এসেছে’র নতুন ভার্সন বাজছে। শুনেছেন নিশ্চয়ই? ‘চোখ তুলে দেখো না কে ফিরছেন’...! না, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের আগামি ছবি ‘বুম্বাদা ওয়েডস ঋতুপর্ণা’র নতুন গান নয়। জোর খবর, আবারও বড় করে বাণিজ্যিক ছবিতে ফিরতে চলেছেন বুম্বাদা। পরিচালনার দায়িত্ব তাঁর অন্যতম প্রিয় পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী এবং তাঁর ছেলে হিন্দোল চক্রবর্তীর কাঁধে। সেই খবর ছড়াতেই নাকি টলিউড গুনগুনিয়ে উঠেছে, ‘চোখ তুলে দেখো না কে ফিরছেন’...!
এই জল্পনায় ঘি ঢেলেছে শুক্রবার রাতে হিন্দোলের ভাগ করে নেওয়া একটি ছবি। সেই ছবিতে প্রসেনজিতের সঙ্গে হরনাথ, হিন্দোল এবং জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক গৌতম ঘোষ। বিষয়টি কী? এই প্রশ্ন দিয়েই হিন্দোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এশিয়ানেট নিউজ বাংলা। তখনই আসল রহস্য-ফাঁস। বিপরীতে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত? স্বাভাবিক ভাবেই পরের প্রশ্ন ছিল এটাই। হিন্দোল শুনেই হেসে ফেলেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘বুম্বাদার বাণিজ্যিক ছবি মানেই সবাই কালজয়ী এই জুটিকেই ভাবেন। ‘বুম্বাদা ওয়েডস ঋতুপর্ণা’ এই ভাবনাকে আরও উসকে দিয়েছে। তবে সবটাই এখনও প্রাথমিক স্তরে। গল্প লেখার কাজ চলছে। তার পর চিত্রনাট্য হবে। তখন আমরা ভাবব বুম্বাদার বিপরীতে কে? ছবির বাকি চরিত্র কারা?’’
হিন্দোলের আরও দাবি, বাংলা ছবির ইন্ডাস্ট্রির এই ভাবনা আজকের নয়। দীর্ঘ অনেক দিন ধরেই তিনি হরনাথের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসছেন। এখনও পর্যন্ত তারকা অভিনেতা এবং পরিচালকজুটি মোট ১৬টি ছবি করেছেন। প্রত্যেকটি ছবিই বাণিজ্যিক ভাবে সফল। তার মধ্যে ব্লকবাস্টার হিট ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’। যে ছবির জনপ্রিয় গান ‘চোখ তুলে দেখো না’-র নতুন সংস্করণ শোনা যাবে খুব শিগগিরিই। প্রসেনজিতের কথায়, ‘‘২২ বছর পরে নতুন করে ইতিহাস তৈরি হচ্ছে!’’ সম্প্রতি মেট্রো স্টেশন চত্বরে গানটির প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ, হরনাথ উভয়েই।
এ দিকে টলিউডের দাবি, সমান্তরাল ছবির দৌলতেই নাকি ‘পোয়েনজিৎ’ তাঁর অনুরাগীদের কাছে ‘প্রসেনজিৎ’ হয়ে উঠেছেন। ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘চোখের বালি’, ‘দোসর’, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘অটোগ্রাফ’, ‘২২শে শ্রাবণ’, ‘জাতিস্মর’, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’ বা ‘দৃষ্টিকোণ’ তার উদাহরণ। এই ধারাতেও বুম্বাদা যথেষ্ট জনপ্রিয়। তার পরেও কেন তাঁর এই মতি? হিন্দোলের যুক্তি, ‘‘এই মুহূর্তে প্রযোজক-অভিনেতা জিৎ ছাড়া আর কেউ বাণিজ্যিক ছবি করছেন না। অথচ, এক সময় এই ধারার ছবিই প্রযোজকের ঘরে লক্ষ্মী আনত। দক্ষিণ ভারতও কিন্তু সমান্তরাল ছবির পাশাপাশি বাণিজ্যিক ছবি সমান তালে বানাচ্ছে। সেই জায়গা থেকেই বুম্বাদার এই ভাবনা। তিনি দুটো ধারাতেই সমান ভাবে কাজ করতে চান।’’ এবং রঞ্জিত মল্লিকের পরেই হরনাথ প্রসেনজিতের সঙ্গে বেশি কাজ করেছেন। সম্ভবত সেই জায়গা থেকেই তিনি নির্ভর করতে চলেছেন প্রবীণ পরিচালকের উপরে।
হিন্দোল নিজে জিতের প্রযোজনায় ছোট ছবি ‘হরে কৃষ্ণ’ বানিয়েছেন। যা বিদেশ থেকে সম্মানিতও। প্রসেনজিৎ-জিত পুজোয় দর্শকদের উপহার দিয়েছেন ‘আয় খুকু আয়’। আবারও কি সেই জুটিই ফিরতে চলেছে? হরনাথ-পুত্রের কথায়, গল্প লেখার কাজের বাইরে আর কিচ্ছু ঠিক হয়নি। প্রসেনজিতের বাণিজ্যিক ঘরানায় প্রত্যাবর্তনের ছবি। তাই গল্পও লেখা হচ্ছে তাঁকে কেন্দ্র করেই। তাঁর কথায়, প্রয়োজনে মুম্বই থেকে গল্পকার এনে নতুন করে গল্প লেখা এবং সাজানো হবে। তার পরে ঠিক হবে বাকি সব।
টলিপাড়া ইতিমধ্যেই দুইয় দুইয়ে চার করার চেষ্টায় ব্যস্ত। নিন্দকদের যুক্তি, এই বিশেষ ভাবনা থেকেই হয়তো ২০২২-এর শেষে রুপোলি পর্দা, বাংলা বিনোদন দুনিয়া নতুন করে বুম্বাদাকে দেখতে চলেছে। তাঁর নভেম্বরের নতুন ছবিতে। নতুন বছরে কি দর্শক আবারও নতুন ভাবে শুনবেন সেই বিখ্যাত সংলাপ, ‘‘বিশ্বাস করো মা, আমি চুরি করিনি!’’ হাসতে হাসতে হিন্দোলের জবাব বুম্বাদা মানেই সব সময় নতুনত্ব। তাই তাঁর বাণিজ্যক ধারায় প্রত্যাবর্তনও হবে একদম তাঁর মতো করে। ভিন্ন ভঙ্গিতে।
আরও পড়ুন-বডি হাগিং পোশাকে সুডৌল স্তনের একাংশই উন্মুক্ত, মনোক্রমে উষ্ণতার পারদ চড়ালেন জাহ্নবী
আরও পড়ুন-সেক্সি টোনড ফিগারে সিজলিং হট নুসরত, সাংসদ অভিনেত্রীর বুকের ট্যাটুতে চোখ আটকে ভক্তদের
আরও পড়ুন-চোখের পলকে কেটে গেল বলিউডে দশ বছর,বিশেষ দিনে আবেগঘন পোস্ট 'মম টু বি' আলিয়ার