সংক্ষিপ্ত

  • আজ ২৫ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শুভারম্ভ
  • ইতিমধ্যেই উৎসবে যোগ দিতে কলকাতায় এসে উপস্থিত হয়েছেন পরিচালক মহেশ ভাট
  • শনিবার নন্দন ১-এ  ফোলকার স্লোয়েনডর্ফ পরিচালিত ছবি 'টিন ড্রাম' দেখানো হবে
  • ভিআইপি লাউঞ্জ-এ রয়েছে জমিদার বাড়ির সাবেকিয়ানার ছোঁয়া

আজ ২৫ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শুভারম্ভ। সদ্যই শেষ হয়েছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। নেতাজী ইনডোর স্টেডিয়ামে শুভ উদ্ধোধন হবে এই উৎসবের। চলবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। একেই বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। একটা উৎসব শেষ হতে না হতেই আরেকটা উৎসব শুরু। ইতিমধ্যেই সারা শহর সেজে উঠেছে এই আলোর সাজে। অতিথিরাও আসতে শুরু করেছেন ধীরে ধীরে। ইতিমধ্যেই কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে কলকাতায় এসে উপস্থিত হয়েছেন পরিচালক মহেশ ভাট।  আজ সকালেই মুম্বাই থেকে কলকাতা এসেছেন তিনি। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান দমকলমন্ত্রী সুজিত বোস এবং টলি অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত। সূত্র থেকে জানা গেছে সল্টলেকে এক সহকর্মীর বাড়িতে যাবেন মহেশ ভাট । তারপর সেখান থেকে সোজা চলে যাবেন যীশু সেনগুপ্তের বাড়িতে। আর তারপরই তিনি যোগ দেবেন এই উৎসবে।

আরও পড়ুন-অপমানে কি মুখ ফেরাচ্ছেন প্রসেনজিৎ, দুরত্ব তৈরি হচ্ছে মমতার সঙ্গে...

অস্কারজয়ী জার্মান পরিচালক ফোলকার স্লোয়েনডর্ফ  কাল ভোরেই কলকাতায় এসেছেন। আপাতত তিনি ব্যস্ত রয়েছেন উৎসব কমিটির সঙ্গে। ৯  নভেম্বর শনিবার নন্দন ১-এ  তার পরিচালিত ছবি 'টিন ড্রাম' দেখানো হবে। এই পরিচালকের জন্যই তিনি সেরা পরিচালকের অস্কার পেয়েছিলেন। এছাড়াও হলিউডের আরও এক বিশেষ অতিথি অ্যান্ডি ম্যাকডাওয়েলও উপস্থিত থাকবেন এই অনুষ্ঠানে। তিনিও তার হলিউড অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি মাস্টারক্লাস নেবেন।

আরও পড়ুন- বাংলা ছবির রিমেকের ঢল দক্ষিণে, ভিঞ্চিদা পর এবার পরিণীতা...

একদিকে আধুনিক, ঝা-চকচকে  চত্বর আর অন্যদিকে সাবেকিয়ানার  ছোঁয়া। আবার একদিকে 'হরিদাসের বুলবুল ভাজা' আর অন্যদিকে সেলফি জোন ঠিক এইভাবেই নবরূপে সেজে উঠেছে নন্দন চত্ত্বর। প্রবেশ পথের একদম সামনেই পুরোনো প্রজেক্টর, ক্যামেরার ভাঙা অংশ দিয়ে তৈরি হয়েছে একটি  ভাস্কর্য। তারপরেই যেদিকে চোখ যাবে সেটা হল লাউডস্পিকারের তৈরি ডেকোরেশন।  খুব সুন্দর করে সেজে উঠেছে ভিআইপি লাউঞ্জ। সেখানেও রয়েছে জমিদার বাড়ির সাবেকিয়ানার ছোঁয়া। শুধুমাত্র কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের জন্যই এই ভোলবদল নয়, আগামী দিনের জন্য এই বদল করা হয়েছে। কলকাতা শহর মানেই একটা নস্টালজিয়া। আর সেই নস্টালজিয়াকেই  ফুটিয়ে তুলতেই এমন অভিনব রূপ দেওয়া হয়েছে।