সংক্ষিপ্ত
- বাংলার কিংবদন্তী পরিচালক মৃণাল সেনের জন্মবার্ষিকী
- সমান্তরাল ছবির জগতে মৃণাল সেন বাংলা ছবিকে আন্তর্জাতিক স্বরে নিয়ে গিয়েছিলেন
- তাঁর সৃষ্টি করা একাধিক ছবির প্রিন্ট আজ নিখোঁজ
- নিজেও কিনতে চেয়েছিলেন, কিন্তু হদিশ পাননি কপির
বাংলার এমন বহু ইতিহাস রয়েছে যা সকলের অলক্ষ্যে হারিয়ে যেতে বসেছে। কালজয়ী সৃষ্টির নেই কোনও খসরা। নেই কোনও কপি। স্বয়ং মৃণাল সেনই হাজার চেষ্টাতেও খুঁজে পাননি নিজের একাধিক ছবির কপি। কিনতে চেয়েছিলেন তা, কিন্তু বাংলার সেই জীবন্ত ইতিহাসের প্রতিচ্ছবি আজ কোথায়, তার উত্তর জানানেই কারুরই। এরমধ্যে অন্যতম ছবি হল পুনশ্চ।
আরও পড়ুনঃ কলকাতার কঠিন বাস্তবকে পর্দায় এঁকেছিলেন মৃণাল সেন, সৃষ্টি হয়েছিল কলকাতা ট্রিলজি
ছবিটি তৈরি করেছিলেন মৃণাল সেন ১৯৬১ সালে। অভিনয়ে ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও কণিকা মজুমদার। জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত এই ছবির প্রিন্ট কিনতে চেয়েছিলেন পরিচালক, এই ছবির পরতে-পরতে ফ্রেমবন্দি রয়েছে তৎকালিন সমাজের সামাজিক, অর্থনৈতিক ছবি। মৃণাল সেন, যিনি বাংলা চলচ্চিত্রকে আন্তর্জাকিত স্তরে নিয়ে গিয়েছিলেন, সত্যজিৎ রায় ও ঝৃত্বিক ঘটকের সঙ্গে স্থান পায় যাঁর সৃষ্টি, বাংলার সমান্তরাল ছবির ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের বেশ কিছু ছবি আজ সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে গিয়েছে।
কেবল পুনশ্চি ছবিই নয়, প্রিন্ট মেলেনি অবশেষে ছবিরও। এই ছবিটি তৈরি করা হয়েছিল ১৯৬৩ সালে। কিন্তু সেই ছবির কপি কোথায় রয়েছে, তা আজও অজানা। মৃণাল সেন একবার এক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তিনি পুনশ্চ পেলে যে কোনও দাম দিয়ে তা কিনে নিতে প্রস্তুত। কিন্তু কোথায় সেসব ছবি, নষ্ট হয়ে গিয়েছে কি না, তাও কারুর জানা নেই। কেবল ছবিই নয়, মৃণাল সেনের প্রতিটা ফ্রেমই ছিল তাঁর প্রতিবাদের ভাষা, ছিল সমাজের দর্পন, তা হারিয়ে যাওয়ার অর্থ ইতিহাসের এক অধ্যায় অদেখা থেকে যাওয়া।
করোনা মোকাবিলায় রক্ষা করুন নিজেকে, মেনে চলুন 'হু' এর পরামর্শ
সাবধান, করোনা আতঙ্কের মধ্যে এই কাজ করলেই হতে পারে জেল
কী করে করোনার হাত থেকে রক্ষা করবেন আপনার বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের, রইল তারই টিপস