সংক্ষিপ্ত
একাধিক সম্পর্কের অভিযোগের পাশাপাশি খুনের অভিযোগেও জড়িয়ে গেছেন সাগ্নিক। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন পরিচারিকা সেলিমা সর্দার। গড়ফা থানায় হাজিরা দিয়ে সেলিমা সর্দার জানিয়েছেন, পল্লবীর অনুপস্থিতিতে ফ্ল্যাটে সাগ্নিকের সঙ্গে ছিল ঐন্দ্রিলা। এবং সেলিমা এদিন ছবি দেখেও শনাক্ত করেছে ঐন্দ্রিলা। ইদের ছুটির পর ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেছিলাম ঐন্দ্রিলা, অন্য একটি মেয়ে, এবং সাগ্নিক ছিল। তারপর বউদি মাছ আনতে বলে কাজে বেরিয়ে যায়। মেয়েটি সারাদিন ছিল। মাছ রান্না করল। বিকেলে আমাকে চা-ও করতে বলেছিল। দাদার সঙ্গে চা খাচ্ছিল। তারপর ছাদ থেকে জামাকাপড় এনে দেখলাম ওরা ঘরের ভিতরে দরজা বন্ধ করে রয়েছে। তবে ঘরের মধ্যে কী করছিল তা জানি না। বউদির বান্ধবীদের সঙ্গে বেশি ঘনিষ্ঠ ছিল দাদা, যা মোটেই ভাল লাগত না।
মৃত্যুর ঠিক ১৭ ঘন্টা আগেও যে মেয়ে হাসিখুশি ভাবে রিল ভিডিও পোস্ট করতে পারে তার কয়েক ঘন্টার মধ্যে সবটা শেষ। এটা কি সত্যিই আত্মহত্যা নাকি খুন, এই নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। পল্লবী দে-র মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। কী এমন ঘটল যে একবারে চরম পর্যায়ের সিদ্ধান্ত নিতে হল পল্লবীকে। রবিবার শুটিংয়েও যাওয়ার কথা ছিল পল্লবীর। হাসিখুশি মেয়েটি এমন নির্মম পরিণতি যেন কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না সহ অভিনেতারা। তবে অভিনেত্রীর মৃত্যর পর একের পর এক রহস্য সামনে আসছে। তবে এটাও ঠিক আর পাঁচটা সুখী দাম্পত্যের মতো ছিল না সাগ্নিক ও পল্লবীর সম্পর্ক। তাদের প্রায় কথা কাটাকাটি ও মান অভিমান চলত, যা হাতাহাতির অবধি চলত।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছিল, পল্লবী ও তার প্রেমিকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এবং রবিবারও অশান্তি হয়েছিল । তারপরই সিগারেট খেতে আবাসনের বাইরে গিয়েছিলেন সাগ্নিক। ঘরে ঢুকেই দরজা বন্ধ দেখেই দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পল্লবীর দেহ দেখে চিৎকার করে সকলকে ডাকে। তারপরই পুলিশে খবর দেন পল্লবীর প্রেমিক। পুলিশি জেরায় অশান্তির কথা স্বীকারও করেছে পল্লবীর প্রেমিক। তবে দুজনের মধ্যে যে প্রায়শই কথা কাটাকাটি হতো, মাঝেমধ্যেই কথা বন্ধ থাকত তা কাছের বন্ধুদের জানিয়েছিল পল্লবী দে। ছেলেটি নাকি অন্য সম্পর্কেও জড়িয়েছিল। একাধিক সম্পর্কের অভিযোগের পাশাপাশি খুনের অভিযোগেও জড়িয়ে গেছেন সাগ্নিক। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন পরিচারিকা সেলিমা সর্দার।
গড়ফা থানায় হাজিরা দিয়ে সেলিমা সর্দার জানিয়েছেন, পল্লবীর অনুপস্থিতিতে ফ্ল্যাটে সাগ্নিকের সঙ্গে ছিল ঐন্দ্রিলা। এবং সেলিমা এদিন ছবি দেখেও শনাক্ত করেছে ঐন্দ্রিলা। ইদের ছুটির পর ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেছিলাম ঐন্দ্রিলা, অন্য একটি মেয়ে, এবং সাগ্নিক ছিল। তারপর বউদি মাছ আনতে বলে কাজে বেরিয়ে যায়। মেয়েটি সারাদিন ছিল। মাছ রান্না করল। বিকেলে আমাকে চা-ও করতে বলেছিল। দাদার সঙ্গে চা খাচ্ছিল। তারপর ছাদ থেকে জামাকাপড় এনে দেখলাম ওরা ঘরের ভিতরে দরজা বন্ধ করে রয়েছে। তবে ঘরের মধ্যে কী করছিল তা জানি না। বউদির বান্ধবীদের সঙ্গে বেশি ঘনিষ্ঠ ছিল দাদা, যা মোটেই ভাল লাগত না। পল্লবীর মৃত্যুর পর থেকেই তাকে ঘিরে এখনও উত্তেজনা তুঙ্গে। পল্লবীর রহস্য মৃত্যুতে সন্দেহের তির তার লিভ-ইন পার্টনারের দিকে। গত কয়েকমাস ধরেই লিভ-ইন সঙ্গীর সঙ্গে পল্লবীর সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল, তা জেরেই কি এই সিদ্ধান্ত নিলেন টলি অভিনেত্রী, উঠছে একাধিক প্রশ্ন। পল্লবীর আকস্মিক মৃত্যুকে খুন বলে দাবি করছেন প্রয়াত অভিনেত্রীর বাবা। অভিনেত্রীর লিভ-ইন পার্টনারকেও রাখা হয়েছে ৯ দিনের পুলিশি হেফাজতে। খুন-আত্মহত্যা জল্পনার মাঝেই সাগ্নিকের চরিত্র নিয়ে একাধিক চাঞ্চল্যকর খবর সামনে আসছে। পল্লবী না থাকলেই এক মহিলা নাকি অভিনেত্রীর ফ্ল্যাটে আসত। এবার জানা গেল পল্লবীর অনুপস্থিতিতে যে মেয়েকে গড়ফার গাঙ্গুলী বাগানের ফ্ল্যাটে নিয়ে আসত সাগ্নিক । এই কথা পল্লবী জানতেই তাদের মধ্যে প্রচুর অশান্তিও হয়েছিল। তবে কি পল্লবীর সঙ্গে লিভ-ইনে থেকেও পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিল সাগ্নিক? সহ্য করতে না পেরেই কি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন পল্লবী? রহস্য জট ক্রমশ জটিল হচ্ছে।
আরও পড়ুন-লাস্যে ভরা মাখনের মতো শরীরে উপচে পড়ছে যৌনতা, কিলার লুকে আগুন জ্বালালেন নুসরত
আরও পড়ুন-ঠান্ডা মাথায় ছক কষেই কি পল্লবীকে খুন করেছে সাগ্নিক? গভীর রাতের জেরায় উঠে এল নয়া তথ্য