সংক্ষিপ্ত

  • একঘেঁয়েমি জীবন থেকে সবাই বেরতে চায় 
  •  এসব কিছু থেকে মুক্তি দিতে পারে হয়তো 'ছুটি'
  • সম্প্রতি শহরে 'ছুটি' ছবির পোস্টার রিলিজ হল
  • মুখ্য় ভূমিকায় অভিনয় করছেন, ঋতুপর্ণা ও শাশ্বত
     

একঘেঁয়েমি জীবন থেকে সবাই বেরতে চায়। একই রাস্তা , একই মানুষের মুখ, একই ঝগড়া-অশান্তি সব কিছুকে টেনে ছুড়ে ফেলে দিতে যে পারে তার নামই হয়তো ছুটি। আর সেই  ছুটি নিয়েই এবার ছবি তৈরি হবে। সম্প্রতি শহরে 'ছুটি' ছবির পোস্টার রিলিজ হল। ছবিতে মুখ্য় ভূমিকায় অভিনয় করছেন, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং শাশ্বত চট্টোপাধ্য়ায়। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করছেন,প্রদীপ মুখোপাধ্য়ায়।  'ছুটি' ছবির পরিচালক হলেন মুরারি এম রক্ষিত। এই ছবির গল্পটিও ভীষনই সহজ ও সাধারন পরিবারের গল্প। কিন্তু বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সেই পরিবারটারই কীভাবে  'ছুটি'-র সঙ্গে একটা গভীর সম্পর্ক খুজে পাবে, সেটাই প্রকাশ পাবে।

আরও পড়ুন, সানি ও ব্রাভোর ভাইরাল নাচ, মজেছে গোটা নেট দুনিয়া

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত জানালেন, ছুটি সবার জীবন থেকেই হারিয়ে যাচ্ছে। ছুটি প্রয়োজন সবার, সেটা বাবা-মা-র ক্ষেত্রেই হোক কিংবা বাচ্চার ক্ষেত্রেই হোক। বিশেষ করে শুটিং-এর এত চাপ, তার মধ্য়ে সেই অর্থে ছুটি মেলেই না। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এই ছবিটা নামকরনের দিক থেকে একটা 'ছুটি' দেবে। শাশ্বত চট্টোপাধ্য়ায় জানালেন, বয়েস বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে 'ছুটি' কথাটার অর্থ বদলেছে। স্কুলজীবনে ছিল শনিবারের অপেক্ষা, যে তাহলেই ছুটি পাওয়া যাবে। আবার এখন তা পুরোপুরি অন্য় মাত্রা পেয়েছে। তবে হ্য়াঁ কাজের সূত্রে বাইরে শুটিং থাকলে ঘুরতে যাওয়ার মধ্য় দিয়েই ঘুরতে যাওয়া হয়ে যায়। বিশেষ করে মনে পড়ছে, 'ছুটি' পড়লেই ছোটবেলায় ছুটে যেতেন বেলতলার দাদু বাড়িতে। আর সে জন্য়  'ছুটি' ছবির গল্পটা যখন তিনি শুনলেন, তখন যেনও ছোটবেলার কথাই মনে পড়ে গেল। 

আরও পড়ুন, এ কোন ভাষায় গানের চর্চা করছেন সুদীপ্তা, ভিডিও দেখে মুগ্ধ হলেন পরম

প্রদীপ মুখোপাধ্য়ায় জানালেন, এখন বেশিরভাগ কর্পোরেট লাইফে বাবা-মা উভয়ই চাকরী জীবনে ব্য়স্ত। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সন্তানকে পরিচারিকার কাছে রেখে তারা কাজে বেরিয়ে যান। তাই কোনও বাবা-মা-রই অধিকার নেই সন্তানের জন্ম দিয়ে, তার জন্য় যখন সময় দিতে পারবে না। এই ছবির পরিচালক আদতে একজন ব্য়বসায়ী। সিঙ্গাপুরে তিনি, ঋতুপর্ণার প্রতিবেশী। জানালেন, কাজ করতে করতে যখন হাফিয়ে যান তখন ফেরেন ছবি তৈরি করতে। 'ছুটি' ছবির সঙ্গীত পরিচালক জয় সরকার। তিনি জানালেন, কাজের মাঝেই  'ছুটি' -র প্ল্য়ান করাটা সবচেয়ে ভাল। ভোরবেলা হাটতে বেরিয়েও একটা  'ছুটি'-র স্বাদ পাই। ওই সময়টা আমার কাছে একটা ফ্রী-জোন।