সংক্ষিপ্ত

সাম্প্রতিক বাংলা মেগা সিরিয়ালগুলির মধ্যে এই মুহূর্তে খুবই জনপ্রিয় সিরিয়াল 'গাঁটছড়া'। টিআরপি লিস্টে কিন্তু প্রথম থেকেই নিজের জায়গা করে নিয়েছে গাঁটছড়া,গাঁটছড়ার ঋদ্ধি-খড়ি যেন দর্শকদের নিজের ঘরের লোক, শুরু থেকেই এই জুটি দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি কুনাল ও বনির বিয়েকে কেন্দ্র করে ভাঙনের মুখে ঋদ্ধি খড়ির সম্পর্ক,কিন্তু কেন? সত্যি কি ভেঙে যাবে তাঁদের সম্পর্ক?

সাম্প্রতিক বাংলা মেগা সিরিয়ালগুলির মধ্যে এই মুহূর্তে খুবই জনপ্রিয় সিরিয়াল 'গাঁটছড়া'। টিআরপি লিস্টে কিন্তু প্রথম থেকেই নিজের জায়গা করে নিয়েছে গাঁটছড়া, প্রথমে মিঠাই এর সঙ্গে প্রতিযোগিতা প্রায় সমানে-সমানে চলছিল, কিন্তু ইতিমধ্যেই মিঠাইকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেছে গাঁটছড়া। গাঁটছড়ার ঋদ্ধি-খড়ি যেন দর্শকদের নিজের ঘরের লোক, শুরু থেকেই এই জুটি দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি কুনাল ও বনির বিয়েকে কেন্দ্র করে ভাঙনের মুখে ঋদ্ধি খড়ির সম্পর্ক,কিন্তু কেন? সত্যি কি ভেঙে যাবে তাঁদের সম্পর্ক?

ধারাবাহিকের শুরু থেকেই তাঁদের মধ্যে নানারকম ঝগড়া-বিবাদ চললেও অনেক ঝড় সামলে শেষে দুটি মানুষ কাছাকাছি এসেছে, কিন্তু বিপদ তাঁদের পিছু ছাড়েনা। বনি ও কুণালের বিয়েকে কেন্দ্র করে ঋদ্ধি ও খড়ির মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। একে অপরের বিরুদ্ধে চলে গেছে তারা।  প্রথম থেকেই খড়ি ও ঋদ্ধির মধ্যে সম্পর্ক ছিল সাপে-নেউলের মতন, কোটিপতি হিরে ব্যবসায়ী ঋদ্ধি এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের এক সাধারণ মেয়ে খড়ি যে দশকর্মার দোকান চালায়, দুজনের মধ্যে প্রথম থেকেই আত্মমর্যাদার লড়াই শুরু হয়,ঋদ্ধি নানাভাবে খড়িকে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করে, কিন্তু খড়িও দমবার পাত্রী নয়। সেও তাঁর প্রবল ইচ্ছা শক্তি দিয়ে একের পর এক বাধা পার করে যেতে থাকে, এমনকি ঋদ্ধির বিপদেওবখড়ি তাঁকে অনেকবার সাহায্য করে শেষে খড়ির প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে ঋদ্ধি, দুজন কাছাকাছি আসে। কিন্তু সম্প্রতি বনি-কুণালের বিয়েকে কেন্দ্র করে আবার বিপত্তি বাধে, দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ফের তিক্ত হয়ে ওঠে  ঋদ্ধির ছোট ভাই কুনাল এবং খড়ির ছোট বোন বনি, শুরু থেকে তাঁদের মধ্যে প্রেম না থাকলেও একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দেখানো হয়।  তবে সকলেই অপেক্ষা করছিল যে কবে এই জুটির মধ্যে প্রেম প্রীতির সম্পর্ক দেখতে পাবেন।, কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে কুনালের বিয়ে ঠিক হয় অন্য পাত্রীর সাথে, এবং সেই বিয়েতে খুশি খুশি মতও দেয় সে। বনি এই গোটা ঘটনায় অবাক এবং হতাস হয়। সে মুহূর্তে কুনাল বনিকে জানায় তারা দুজন খুব ভালো বন্ধু শুধুমাত্র, আর যার সাথে তাঁর বিয়ে ঠিক হয় সেই তাঁর মনের মানুষ, যাকে সে হৃদয়ে জায়গা দিয়েছে।। এই কথায় কষ্ট পেলেও  নিজের মনের কথাটা মনে চেপেই কুনালের বিয়ের আসর থেকে সরে যায় বনি। 

তবে বিপদ তাঁদের পিছু ছাড়ে না কিছুতেই। সিংহরায় বাড়ির জামাই তাঁদের থেকে পুরোন প্রতিশোধ স্পৃহায় অপহরন করে বনিকে আটকে রাখে। আর ষড়যন্ত্র করে কুনালের কাছে বনিকে আটকে রাখার ভিডিও পাঠায় সে। এরপরই নিজের বিয়ের আসর ছেড়ে প্রিয় বন্ধুকে উদ্ধার করতে বিয়ের মন্ডপ থেকেই রীতিমত ছুটে যায় কুনাল। আর সেখানে তাঁকে উদ্ধার করার পর নিজের গায়ের জামা দিয়ে বনিকে ঢেকে সুরক্ষিত ভাবে এই পোড়ো গুদাম থেকে বের করে আনে সে। তবে তাঁদের এক সঙ্গে ওই অবস্থায় দেখে চড়াও হয়, স্থানিয়রা। বনি-কুনালকে চরিত্রহীন বলে আঙ্গুল তোলেন তাঁরা।। আর সেই সময়ই বনি ও কুণালকে খুঁজতে খুজতে সেখানে গিয়ে পৌছায় খড়ি। স্থানিয়দের সবটা বোঝানোর চেষ্টা করলেও কোনও ভাবেই তাদের আয়ত্তে আনা  যায় না। এরপর বনি কুনালের প্রান শংসয় দেখে বাধ্য হয়েই তাদের বিয়ে দেয় খড়ি। আর এই সব ঘটনা আড়াল থেকে  ভিডিও করে সিংহরায় বাড়ির জামাই। সময় বুঝে খড়িকে বিপদে ফেলতে সিংহরায় ম্যানসানে হাজিরও হয় সে। বনি কুনালকে বিয়ে দিয়ে সিংহ রায় ম্যানশনে আনার সঙ্গে সঙ্গে খড়়ির কথা আর কেউই শুনতে না রাজ, তাকেই কাঠগড়ায় তোলে গোটা সিংহরায় পরিবার। শেষ ভর্ষা ছিল ঋদ্ধি, খড়ি আশা করেছিল ঋদ্ধি তাঁকে ভূল বুঝবে না। কিন্তু তেমনটা হয়না। ঋদ্ধিও তাঁকে কাঠগড়ায় তোলে। এতদিন ধরে গড়ে তোলা তাঁদের সম্পর্কের ভিত্তি নিয়ে নিয়ে প্রশ্ন জাগে খড়ির মনে। এই একটি ঘটনাই ফের ভাঙনের মুখে দাঁড করিয়ে দেয় খড়ি-ঋদ্ধির সম্পর্ককে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো ভবিষ্যতে খড়ির কথা কি আর বিশ্বাস করে নিজের ভূল স্বীকার করবে ঋদ্ধি। নাকি তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যাবে? এখন সেই উত্তর দেখার জন্যই অপেক্ষা করতে হবে।

আরও পড়ুন,দ্বিতীয়বার মা হতে চলেছেন ঐশর্য? ঢিলেঢালা পোশাকে আড়াল করছেন 'বেবি বাম্প'?

আরও পড়ুন,২৮ অগাস্ট শেষ হতে চলেছে মিঠাই? কি বললেন পরিচালক?