প্রকাশ্যে কাকে 'আই লাভ ইউ ' বললেন ঋতাভরী, হু হু করে ভাইরাল হল ভিডিও

টলিউডের অন্যতম সাহসী অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। অভিনয়ের পাশাপাশি মডেলিং জগতেও বেশ জনপ্রিয় তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ অ্যাক্টিভ অভিনেত্রী। মাঝেমধ্যেই  ছবি -ভিডিও পোস্ট করে উষ্ণতার পারদ চড়ান  টলিপাড়ার সেক্সিয়েস্ট ঋতাভরী চক্রবর্তী। এবার  শীতের পারদ কমতেই নেটদুনিয়ায় পারদ চড়ালেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। বঙ্গতনয়ার হাইভোল্টেজে কাঁপছে সোশ্যাল মিডিয়া। 

টলিপাড়ার সেক্সিয়েস্ট ঋতাভরী যেন সর্বদাই ফ্য়াশন গোল দিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় রিল ভিডিও পোস্ট করেছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। নীল রঙের সালোয়ারা কামিজ, কানে ঝুমকে পরেই মজাদার রিল ভিডিও শেয়ার করলেন নায়িকা। চোখের হার্ট ফ্রেমের চশমা নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। এখানেই শেষ নয়, ভিডিওতে প্রকাশ্যে আই লাভ ইউ বলতে শোনা গেল ঋতাভরীকে। তবে ভিডিওর শেষেই বড় চমক দিয়েছেন টলি অভিনেত্রী। ভিডিও পোস্ট করা মাত্রই হু হু বাড়ছে কমেন্ট ও লাইকের সংখ্যা।

View post on Instagram

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ঋতাভরী কাউকে বলছেন আই লাভ ইউ। পাল্টা  নায়িকার কাছে সেই ব্যক্তি প্রশ্ন করছে যে আগে বলো তোমার কোনও বন্ধু আছে কিনা, তোমার কোনও এক্স বয়ফ্রেন্ড আছে কিনা। ঋতাভরী না বলতেই সে  বলে আই  লাভ ইউ টু। শেষে ঋতাভরী তাকে জানান, ওর একজন বর আছে। শেষের এই চমকেই ঘায়েল হয়েছেন ভক্তরা। ভিডিওতে ভালবাসা উজাড় করে দিয়েছেন ভক্তরা। পারদ কমতেই শরীরী উষ্ণতায় পারদ চড়ালেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। বঙ্গতনয়ার হাইভোল্টেজে কাঁপছে সোশ্যাল মিডিয়া। ঋতাভরীর এই কিলার লুক নিমেষে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে লাইকের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনই কমেন্টে ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। কখনও ছাপোষা বাঙালি তো কখনও গৃহবধু, আবার কখনও উষ্ণ আবেদনে নিজেকে সর্বদাই মাতিয়ে রাখেন অভিনেত্রী। দীর্ঘ অসুস্থতার পর নতুন ইনিংস শুরু করেছেন ঋতাভরী। 'এফআইআর' ছবিতে অঙ্কুশ হাজরার বিপরীতে দেখা গেছে অভিনেত্রী ঋতাভরীকে। ঋতাভরী চিকিৎসকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এছাড়াও বেশ কিছু বিজ্ঞাপনেও দেখা গিয়েছে ঋতাভরীকে। যেখানে ঋতাভরীর চেহারায় অনেকটায় পার্থক্য দেখা গিয়েছে। তবে আপাতত চেহারা নিয়ে নয়, নিজের কাজেই মন দিয়েছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী।  সোশ্যাল মিডিয়ায় কান পাতলেই ঋতাভরীর বিয়ের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। খুব শীঘ্রই নাকি সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন ঋতাভরী।  প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমে ঋতাভরী জানিয়েছেন,  যেই সময়টায় খুব খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে কাটিয়েছি, তখন আমার পাশে কাউকে দরকার ছিল। এবং আমার আগের বয়ফ্রেন্ড মুম্বইতে থাকত। ও পাশে থাকলেও শারীরিক ভাবে উপস্থিত ছিল না,যেটা সে সময়ে খুব প্রয়োজন ছিল। চলতি বছরের শুরুতেই ওর ক্লিনিক উদ্বোধনে গিয়েছিলাম। তখন ওরও বান্ধবী ছিল। আমরা প্রথম থেকেই খুব ভাল বন্ধু ছিলাম। তবে বাঙালি ছেলেকে ডেট করার আলাদা মজা আছে। কফি ডেট থেকে ডিনার ডেট এসব কিছুই হয়নি। তবে  যখন ওকে ভাল করে চিনতে শুরু করি, তখন আমি শয্যাশায়ী। দ্বিতীয় সার্জারির পর আমরা কাছাকাছি আসতে শুরু করি। ধীরে ধীরে  অনুভব করি, আমি কারোর উপরে নির্ভর করতে পারি, জানিয়েছেন ঋতাভরী। চলতি বছরের শেষে বাগদান পর্ব সেরেই নাকি আগামী বছরের শেষে ছাদনাতলায় পৌঁছবেন ঋতাভরী। ডাক্তার বন্ধু তথাগত চট্টোপাধ্যায়ের গলাতেই মালা দিতে চলেছেন ঋতাভরী।