সংক্ষিপ্ত
টলি অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সাতসকালেই বড়সড় বিপাকে পরলেন। মঙ্গলবার সকাল বেলা বিমান ধরতে গিয়েই সমস্যায় পড়লেন টলিপাড়ার অভিনেত্রী। কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বোর্ডিংয়ের সময় ছিল ভোর ৪.৫৫ মিনিট। অভিনেত্রী পৌঁছেছিলেন ৫.১২ মিনিটে। মাত্র কিছুক্ষণের দেরির জন্যই বিমানে উঠতে পারলেন না ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। একটানা ৪০ মিনিট ধরে অনুরোধ, কাকুতি মিনতি, এমনকী কান্নাকাটি করার পরও বিমানে উঠতে দিল না প্রথমসারির বিমান সংস্থা। আমদাবাদের উদ্দেশেই নায়িকার এই যাত্রা। দিন-রাতের শ্যুটের সমস্তটাই বিফলে গেল।
টলি অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সাতসকালেই বড়সড় বিপাকে পরলেন। মঙ্গলবার সকাল বেলা বিমান ধরতে গিয়েই সমস্যায় পড়লেন টলিপাড়ার অভিনেত্রী। কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বোর্ডিংয়ের সময় ছিল ভোর ৪.৫৫ মিনিট। অভিনেত্রী পৌঁছেছিলেন ৫.১২ মিনিটে। মাত্র কিছুক্ষণের দেরির জন্যই বিমানে উঠতে পারলেন না ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। একটানা ৪০ মিনিট ধরে অনুরোধ, কাকুতি মিনতি, এমনকী কান্নাকাটি করার পরও বিমানে উঠতে দিল না প্রথমসারির বিমান সংস্থা। আমদাবাদের উদ্দেশেই নায়িকার এই যাত্রা। দিন-রাতের শ্যুটের সমস্তটাই বিফলে গেল।
সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তিনি জানিয়েছেন, ভোরবেলা তিনি বিমান বন্দরে পৌঁছান। আমদাবাদের বিমান ধরার জন্য যাত্রীদের গেট নং ১৯-এ বোর্ডিংয়ের সময় ভোর ৪.৫৫ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অভিনেত্রীর পৌঁছতে সামান্য দেরি হতেই তাকে জানানো হয় বোর্ডিং হয়ে গিয়েছে। তাকে দেখতে না পেয়ে নির্দিষ্ট সময়ে নাকি তার নাম ধরে ঘোষণা করেছেন কর্তৃপক্ষ। ফোনেও নাকি যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু ঋতুপর্ণার দাবি, তার কাছে কোনও ফোন আসেনি, তার কাছে বোর্ডিং পাসও ছিল। তিনি অনেক অনুরোধ করেন। শেষমেষ কোনও কিছু না হওয়ায় কেঁদে ফেলেন ঋতুপর্ণা, তাতেও কোনও কাজ হয়নি। অন্যদিকে সময় মতো শ্যুটিং সেটে না গেলে সমস্যায় পড়বেন পরিচালক-প্রযোজক, এমনকী ছবির শুটিংও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই কথাও বিমানবন্দরের কর্মীদের কাছে ক্রমাগত বলতে থাকেন ঋতুপর্ণা। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে অনুরোধ করেও কোনও কাজ হয়নি।
সাতসকালে বিমান ধরতে গিয়ে বিপাকে পড়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ঋতুপর্ণা আরও জানান, গত কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি সাত থেকে আটবার এই সংস্থার বিমানে যাতায়াত করেছেন। শুধু তাই নয়, ঝামেলার সময়ে ঋতুপর্ণা দেখেন মাত্র ৫০ পা দূরেই দাঁড়িয়ে রয়েছে বিমান। বিমানে ওঠবার সিঁড়িও খুলে নেওয়া হয়নি। তারপরেও তাকে চড়তে দেওয়া হল না। ফ্লাইট ছাড়ার ২৫ মিনিট আগে পৌঁছেও কেন তাকে বিমানে উঠতে দেওয়া হল না, এই প্রশ্নও তুলেছেন ঋতুপর্ণা। কখনও কখনও একটু দেরি হতেই পারে, তাহলে সেটা কি কনসিডার করা যায় না। তার শুটিং শিডিউল যে পুরো নষ্ট হয়ে গেল, তা নিয়েও মুখ খুলেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। উল্লেখ্য, টলি সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে গাটছড়া বাঁধতে চলেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। 'প্রাক্তন' ছবি দিয়েই প্রায় দেড় দশক বাদে বড়পর্দায় কামব্যাক করেছিল টলিপাড়ার এই হিট জুটি।