সংক্ষিপ্ত

গায়ক দুর্নিবারের ব্যক্তিগত সম্পর্কে এবার নতুন ঢেউ। মাস কয়েক ধরেই দুর্নিবার সাহার সম্পর্ক নিয়ে নানা কথা প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকি দুর্নিবারের প্রথম স্ত্রী মীণাক্ষি ঘরও ছেড়েছেন। এই সব ঘটনার প্রায় মাস খানেক বাদে সামনে এল দুর্নিবারের নতুন সম্পর্ক। 
 

সঙ্গীতশিল্পী দুর্নিবার সাহার জীবনে নতুন নারী। আর এই নতুন সম্পর্কের কথা স্বীকারও করে নিলেন দুজনে। রবিবার অর্থাৎ ১৭ জুলাই ২০২২-এ ঐন্দ্রিলা সেন নামে এক তরুণী ফেসবুকে জানালেন দুর্নিবারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা। আর এই রিলেশনশিপ স্টেটাসে আই লাভ ইউ মার্কা মন্তব্য করে দুর্নিবার সাহাও বুঝিয়ে দিলেন যে মীণাক্ষি এখন অতিত। ঐন্দ্রিলা সেন তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, তুমি যখন আমার চারপাশে থাক তখন জীবনটা সুন্দর মনে হয়। ঐন্দ্রিলা তাঁর পোস্টে শেষে আবার মিডিয়ার উদ্দেশেও বার্তা দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন এখন আসল কাহিনিটা লিখুন। ঐন্দ্রিলা দীর্ঘদিন ধরেই বাংলা চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে জড়িত। ছোটখাটো কিছু মডেলিং অ্যাসাইমেন্টও তিনি অংশ নিয়েছিলেন একটা সময়ে। এমনকী কিছু শর্ট ফিল্মস-এও অভিনয় করেছেন। বর্তমানে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত পিআর টিমের অংশ তিনি।  

জি বাংলার সা রে গা মা পা-এর মাধ্যমে বাংলা সঙ্গীত জগতের কেন্দ্রে আবির্ভাব ঘটেছিল দুর্নিবার সাহার। তাঁর হেমন্তর মতো কন্ঠ সকলকে রাতারাতি দুর্নিবারের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছিল। সেই থেকে এক বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়ে এসেছেন দুর্নিবার সাহা। এমনকী, বর্তমান সময়ের তরুণ-তরুণীদের কাছেও তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয়। বিশেষ করে দুর্নিবারের অ্যাপিয়ারেন্স তাঁকে আরও বেশি করে জনপ্রিয় করে তুলেছে।  


এহেন দুর্নিবারের সঙ্গে তাঁর প্রথম স্ত্রী মীণাক্ষির সম্পর্ক এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। বিয়ে প্রায় ভেঙেই গিয়েছে বলে খবর। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা রুজু হয়নি এখনও। তবে, এক বিশ্বস্ত সূত্রে খবর যে দুর্নিবার বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য তৈরি থাকলেও মীণাক্ষি এখনও তাতে সায় দেননি। ঐন্দ্রিলা সেন এদিন তাঁর এবং দুর্নিবারের যে সম্পর্কের কথা ফেসবুকে ঘোষণা করেছেন, সেখানে দুর্নিবার আবার কমেন্টও করেছেন। দুর্নিবার লিখেছেন, 'এটাই ডেস্টিনি পিরিয়ড, আমি তোমায় ভালোবাসি, আরও বেশি করে তোমায় ভালোবাসব ঐন্দ্রিলা'।  

ঐন্দ্রিলা সেন তাঁর পোস্টে ইংরাজিতে যা লিখেছেন তার বাংলা তর্জমা করলে এমনটা দাড়ায়- 'যখন তুমি পাশে থাক তখন জীবনটাকে ভারি সুন্দর মনে হয়। আমার জীবনে আসার জন্য এবং আমার জগতটাকে একটা অসাধারণত্বে ভরিয়ে তোলার জন্য তোমায় ধন্যবাদ। হ্যাঁ, আমি তোমায় ভালোবাসি। অ্যানাউসমেন্ট অ্যালার্ট, সব মিডিয়ার লোকেদের এখাম থেকে খবর পাওয়ার রয়েছে। হ্যাঁ, সারাজীবনের জন্য সে আমার হয়ে গিয়েছে। এখন সত্যিকারের কাহিনিটা লিখুন।' 


সা রে গা মা-র ফাইনালে পৌঁছেছিলেন দুর্নিবার। সকলেই ভেবেছিলেন তিনি হয়তো ছিনিয়ে নিয়ে যাবেন সেরার সেরা শিরোপা। তা হয়নি। কিন্তু তাতে তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। এই সময়ই মীণাক্ষির সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপ হয়েছিল দুর্নিবারের। সেই সম্পর্ক গড়ায় ঘনিষ্ঠতায়। মীণাক্ষি এবং দুর্নিবার ২০২১ সালে বিয়ে করার আগে প্রায় ৭ বছর লিভ-ইন সম্পর্কেও ছিলেন। শাশুড়িকে নিয়ে একবার দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চেও এসেছিলেন দুর্নিবার। 

কিন্তু বিয়ের ৬ মাসের মধ্যে মীণাক্ষি ও দুর্নিবারের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে বলে সূত্রের খবর। বিশ্বস্ত সূত্রে দাবি করা হয়েছিল যে কয়েক মাস আগে রাতে বাড়ি ফিরে মীণাক্ষিকে সম্পর্ক শেষ করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন দুর্নিবার। সেই যাত্রায় কোনওভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন মীণাক্ষি। কিন্তু, এরপর দুর্নিবারের সঙ্গে এক যুবতীর ঘনিষ্ঠতার খবর পেয়েছিলেন মীণাক্ষি। এর জেরে হওয়া সাংসারিক ঝামেলায় মাঝরাতে মীণাক্ষিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে হয়েছিল। বাংলা সঙ্গীত জগতের এক মহিলা সঙ্গীতশিল্পী তখন মীণাক্ষি প্রায় মাস খানেকের উপর নিজের কাছে রেখেছিলেন বলে খবর। মীণাক্ষি তখনও নাকি আশা করছিলেন যে দুর্নিবার ও তাঁর সংসার হয়তো টিকে যাবে। অভিযোগ, এই সময় ওই যুবতীর সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন দুর্নিবার। বিশ্বস্ত সূত্রে আরও দাবি করা হয়েছিল যে দুর্নিবারের এই সম্পর্ক মাত্র ১ মাস স্থায়ী হয়েছিল। এরপরই দুর্নিবারের জীবনে প্রবেশ ঘটেছিল ঐন্দ্রিলা। আর এসব দেখে সেই মহিলা সঙ্গীতশিল্পীর আশ্রয় ছেড়ে মীণাক্ষি বাবা-মা-এর কাছে ফিরে যান। যদিও দুর্নিবার একবারের জন্যও মীণাক্ষি এবং তাঁর সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। মীণাক্ষিও মিডিয়ার সামনে এই নিয়ে মুখ খোলেননি।