সংক্ষিপ্ত
দুর্গা পূজা আসতে হাতে কয়েকটি দিন মাত্র। চারিদিকে চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি। এরই মধ্যে জি বাংলার পর্দায় সিংহ বাহিনী রূপে আসতে চলেছে শুভশ্রী গাঙ্গুলী। আসুন অভিনেত্রীর দুর্গা চরিত্রের কিছু অভিজ্ঞতার কথা জেনে নেওয়া যাক।
"আয়রে ছুটে আয় পুজোর গন্ধ এসেছে" একদমই তাই, পুজো পুজো গন্ধ কিন্তু ছড়িয়ে পড়েছে।বাঙালি মানেই বারো মাসে তেরো পার্বণ। তেরো পার্বণেই শ্রেষ্ঠ দুর্গা পূজা, বাঙালিদের দুর্গাপূজা। তবে এখন শুধু বাংলার মধ্যে সীমিত নেই দুর্গার আরাধনা, ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের কোণায় কোণায়।
পুজো আসার আগে ঠিক এই সময়েই গোটা বাংলা মায়ের আগমনের দিন গুনতে থাকে। এরই মধ্যে দুর্গা ষষ্ঠীর ঠিক সাতদিন আগে থেকেই শুরু হয় দেবীপক্ষের অর্থাৎ শুরু হয় মহালয়ার পূর্নলগ্ন। মহালয়ার আগের দিন থেকেই প্রবল উত্তেজনা থাকে বাঙালিদের মনে। পরের দিন ভোরে উঠে বীরেন্দ্র কিশোর ভদ্রের অপূর্ব চন্ডীপাঠের মধ্যে দিয়েই শুরু হয় দেবীপক্ষের। তবে আধুনিকতার এই যুগে, বীরেন্দ্র কিশোর ভদ্রের মহালয়ার পাশাপাশি টিভিতে অভিনীত হয় মহিষাসুরমর্দিনীর কাহিনি।
দক্ষ অভিনেতা অভিনেত্রীরা অভিনয় করে থাকেন নানা দেব-দেবীর চরিত্রে। চোখের সামনে তুলে ধরেন মা দুর্গার মহিষাসুর বধের ঘটনা। টিভিতে দেখানো মহালয়ার মধ্যে জি বাংলা সর্বদাই অন্যতম। এবছরে জি বাংলায় মহালয়ার অভিনবত্বের ছোঁয়া দিতে আসতে চলেছে "সিংহ বাহিনী ত্রিনয়নী" ঠিক ভোর ৫ টায়। চলতি বছরে মহালয়ায় দেবী দুর্গা রূপে অভিনয় করছেন শুভশ্রী গাঙ্গুলী। জি বাংলা চ্যানেল প্রকাশিত একটি ভিডিওটে অভিনেত্রীকে তার দুর্গা চরিত্রের কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে দেখা যাচ্ছে। এর আগেও একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন তার কাছে সবথেকে কঠিন চরিত্র দেবী দুর্গার চরিত্রে অভিনয় করা। ঠিক সকাল ৮.৩০ টায় অভিনেত্রী পৌঁছে গিয়েছিলেন মেকাপ স্টুডিওতে। একের পর এক কারুকার্যের শেষে মেকাপ আর্টিস্টদের দক্ষতায় তৈরী করা হয় দেবী দুর্গার আদল। এরপরেই অভিনেত্রী পৌঁছে গিয়েছিলেন শুটিং এর স্টুডিওতে। ভারী পোষাক ও গয়নার সাথে তান্ডব নৃত্য, মহিষাসুর বধ যথেষ্ট কষ্টকর বলে জানিয়েছেন শুভশ্রী। এমনকি তিনি প্রতিবছরই দুর্গার চরিত্র অভিনয় করতে উৎসাহী থাকেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি আরো বলেন," এবছরে গান গুলো খুব ভালো হয়েছে, আমি সিউর প্রত্যেক বছরের মতো এবছরও সবাই জি বাংলার মহিষাসুরমর্দিনী পছন্দ করবে"।