সংক্ষিপ্ত
- একসময় উত্তম কুমারের সঙ্গে করেছিলেন কাজ
- বর্তমানে হাতে কাজের ভাটা
- চরম অর্থ সংকটে ভুগছেন শংকর ঘোষাল
- সাহায্য চেয়ে দীর্ঘ পোস্ট সব্যসাচীর
একে তো সিনে জগতেকাজের ভাটা, তারওপর চেপে বসল লকডাউন। এই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করা সিনে স্টার বা শিল্পীদের জন্য যে ঠিক কতটা কঠিন, তার উহাদরণ হয়ে থেকে গিয়এছে ২০২০ সাল। কেউ নেমেছেন পথে, কেউ আবার বেছে নিয়েছিলেন অন্যপথ, সব্জি বিক্রি করতেও দেখা গিয়েছে অভিনেতাকে। সেই চিত্রই এবার ফুঁটে উঠল টলিউডে। বিখ্যাত অভিনেতা শংকর ঘোষাল অর্থের অভাবে এবার হাত পাততে বাধ্য হচ্ছেন।
পরিস্থিতির কথা জানতে পেরেই সাধ্যমত সাহায্য করেছেন পর্দার বামাক্ষ্যাপা অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। সঙ্গে পাশে থেকেছেন তাঁর বান্ধবী ঐন্দ্রিলা। বর্তমানে অসুস্থ ঐন্দ্রিলা, ক্যান্সারের সঙ্গে করছেন লড়াই, তারই মাঝে বর্ষীয়ান এই অভিনেতার পাশে দাঁড়াতে পিছু পা হননি। এক সময় উত্তম কুমার-সলিল চৌধুরীর সঙ্গে কাজ করা কিংবদন্তি শিল্পীর হাত এখন ফাঁকা। শেষ কাজ করেছিলেন সৌদামিনীর সংসারে।
এই দুর্দিনে কঠিন পরিস্থিতির কথা জানিয়ে সোশ্যা মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ পোস্ট করে সব্যসাচী। যেখানে তিনি লেখেন- অভিনেতার অনুমতী নিয়েই এই পোস্ট, দ্রুত সাহায্যের। -
'মানুষটির অনুমতি নিয়েই কথাগুলো লিখছি, অনুমতি চাওয়াতে বললেন “আমি বহুদিন আগেই লজ্জা পাওয়া ছেড়ে দিয়েছি ভাই, তবে নিজেকে মাঝেমধ্যে ছোট লাগে, তবু ভাবি অন্যায় তো করছিনা, চেয়ে খাচ্ছি এই যা”।
মানুষটি শঙ্কর ঘোষাল, প্রায় ৫০ বছর অভিনয়ের সাথে যুক্ত, নিজের বয়স ৭০। দেখা হলেই এখনো পুরোনো দিনের গল্প বলেন, উত্তম কুমার, সলিল চৌধুরী আরো কতজনের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা বলেন। দুঃখ করে বললেন “বাংলার থিয়েটারটা শেষ হয়ে গেলো, এক কালে মাস মাইনা ছিল, বোনাস ছিল। দিল্লী ও বোম্বে থেকে নাম করা অভিনেতারা আসতেন, আর এখন হল গুলো দেখলে কষ্ট হয়”।
তিনি আরাও লেখেন- ঐন্দ্রিলা শর্মা এবং আমি চেষ্টা করেছি যৎসামান্য খাদ্যদ্রব্য তাকে পৌঁছে দেওয়ার। আমি জানি অনেকেই আমার প্রোফাইলে আছেন, আমার পোস্টটি যদি পড়েন এবং যদি সম্ভবপর হয় সামান্য সাহায্য করবেন মানুষটিকে, আমায় ইনবক্স জানাবেন যদি সম্ভব হয়। মুহূর্তে এই পোস্ট ভাইরাল হয়ে ওঠে নেট মহলে।