সংক্ষিপ্ত

ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছিল সিনে জগত। এরই মাঝে করোনার কোপে আবারও আংশিক লকডাউন ঘোষনা, প্রেক্ষাগৃহের আসন সংখ্যা কমিয়ে ৫০ শতাংশ করা হল। 

একুশ সালে প্রায় অধিকাংশ শহরবাসীরই কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গিয়েছে। তারপরেও লাগামছাড়া সংক্রমণ লেগেছে কলকাতায়। একের পর এক শিল্পী আক্রান্ত হয়েছেন কোভিডে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। নতুনবছরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোভিড আক্রান্তের খবর নিজেই শেয়ার করেছেন পরিচালক। ইতিমধ্যেই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ঋতাভরী চক্রবর্তীর দিদি, অভিনেত্রী চিত্রাঙ্গদা, এবং মা শতরূপা স্যানাল। বাড়িতেই বড়দিনের পার্টি দিয়েছিলেন শতরূপা। সেখান থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে বলে অনুমান। কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ঋতাভরীর সহকারী মধুজাও। 

কোভিড আক্রান্ত ( Covid Positive) সুরকার জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ( Music Composer Jeet Ganguly)। নতুন বছরের শুরুতেই নিজেই জানালেন টলিউডের এই বিখ্যাত সুরকার। রাত পোহাতেই খবর মেলে আক্রান্ত হয়েছেন পার্নো মিত্র। শহরে গত কয়েকদিনে আচমকাই লাগামছাড়া সংক্রমণ শুরু হয়েছে। আর এবার সেই সংক্রমণের লিস্ট থেকে বাদ যায়নি টলিউডও (Tollywood)। উল্টো দিকে টলিউডের বক্স অফিসকে ছন্দে ফিরিয়ে রাজ করছেন দেব, এমনই সময় কমিয়ে দেওয়া হল প্রেক্ষাগৃহের আসন সংখ্যা, যেহারে বাড়ছে সংক্রমণ, তাতে আবারও ফিরছে আতঙ্ক, ফিরছে, সমস্তটাই বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়। 

যার জেরে দীর্ঘদিন পাইপলাইনে থাকা ছবিগুলি মুক্তির দিন ঘোষণা চিল স্থগিত, সদ্য আশার আলো দেখতে পাওয়া টলিপাড়া আবারও পেল অশনিসংকেত, মুক্তির অপেক্ষায়, বছর কুড়ি পর, বাবা বেবি ও, কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তণ, কুলের আঁচার, অন্তর্ধান-এর মত ছবি। নতুন বছরেই য়া একে একে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা, কিন্তু ৩ জানুয়ারি থেকে জাডি হওয়া একাধিক নিষেধাজ্ঞা এবার চিন্তার ভাঁজ ফেলল পরিচালক তথা সিনে দুনিয়ার কপালে। ফলে আবারও এক ধাক্কায় এই ছবির মুক্তির দিন পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। অন্য়দিকে দীর্ঘ দিন ধরে সমস্যার মধ্যে ছিলেন প্রেক্ষাগৃহের মালিকেরা, সদ্য দর্শকেরা প্রেক্ষাগৃহে পা বাড়িয়েছিলেন, আবারও হাউসফুল বোর্ড ঝুলেছিল দরজায় দরজায়, তাঁদেরও বচরের শুরুতই মাথায় হাত। 

আরও পড়ুন- Happy New Year 2022 : বর্ষবরণের শুভেচ্ছা মিমির, নতুন বছর শুরু করার নয়া ট্রিকস

আরও পড়ুন- Happy New Year 2022 : 'আর কিছুক্ষণের মধ্যেই মাতাল হয়ে যাব', মেয়ের সঙ্গে চিয়ার্স মুডে

গত ৪ দিনে রাজ্যে ৪ গুন বেড়ে গিয়েছে করোনা সংক্রমণের(Coronavirus infection) পরিমান। এদিকে বর্ষশেষের সময় থেকেই বাড়ছিল উদ্বেগ। এমনকী বর্ষবরণের(New Year Eve) মুখেও ক্রমাগত বাড়ছিল আতঙ্ক। এমতাবস্থায় এবার আতঙ্কের আবহেই ফের গোটা রাজ্যে শুরু হয় গেল আংশিক লকডাউন(Partial lockdown)। ৩ জানুয়ারি থেকেই লাঘু হয়ে যাচ্ছে নতুন বিধিনিষেধ। রবিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে নতুন কড়াকড়ির বিষয়ে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ জারি করেন রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী(Chief Secretary of the State Harikrishna Dwivedi)। যা নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।