সংক্ষিপ্ত
এক দিন ইমরানের মুখোমুখি ঋভু। এখানেই নতুন প্রশ্নের জন্ম। কার টানে ঘরে ফিরবেন ইশা? পরমব্রত না গৌরব?
উৎসব মানেই ঘরে ফেরার টান। উদযাপন মানেই ঘরে ফেরার গান। এমনটাই জেনে এসেছে বাঙালি। সামনেই আলোর উৎসব দীপাবলি। সেই টানে ক’জন ঘরে ফিরবেন? এই প্রশ্ন নিয়েই ধনতেরাসের আগের দিন প্রকাশ্যে অরিত্র সেনের প্রথম বাংলা ছবি ‘ঘরে ফেরার গান’-এর প্রথম ঝলক। যেখানে সম্পর্কের টানাপড়েনে আদৌ কি ঘরে ফেরা হবে? কিংবা কার টানে কে ফিরবে? এই চিরন্তন দ্বন্দ্বই গানে, নাটকীয় চিত্রনাট্যের বাঁধনে তুলে ধরতে চলেছেন পরিচালক। তাঁর হাত ধরে পর্দায় ফুটে উঠবে ইমরান-তোড়া-ঋভুর ত্রিকোণমিতি। ধর্মের বেড়া ডিঙিয়ে যেখানে গানে গানে ভালবাসার নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ।
নামঘোষণার দিন থেকেই অরিত্রর প্রথম ছবি সংবাদমাধ্যমের চর্চায়। এই ছবিতে প্রথম জুটি বাঁধছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়-ইশা সাহা। ত্রিকোণমিতির আর একটি বাহু গৌরব চট্টোপাধ্যায়। গৌরবের পর্দার ‘মা’ রেশমি সেন। ছবির শ্যুটিংয়ের সিংহভাগ লন্ডনে। ছবিতে সম্পর্কের টানাপড়েন কী ভাবে দেখাতে চলেছেন পরিচালক? গল্প অনুযায়ী, ‘তোড়া’ ওরফে ইশা কলকাতার মেয়ে। সাতপাক ঘুরে চিকিৎসক ‘ঋভু’ ওরফে গৌরবের ঘরণী। বসবাস লন্ডনে। সেখানে পরিবারে স্বামী আর শাশুড়ি। তাঁদের উচ্চমধ্যবিত্ত মানসিকতার সঙ্গে তোড়ার যেন মেলে না। তাই সে রোজ অন্তমিল খুঁজতে লন্ডনের পথে নামে। সেখান থেকেই বাঁচার রসদ সংগ্রহ করে। আর দিনের শেষে ক্লান্ত শরীর-মন নিয়ে ঘরে ফেরে।
এ ভাবেই হঠাৎ তার জীবনে আসে ‘ইমরান’ ওরফে পরমব্রত। ভীষণ ভাল গাইতে পারে। ইমরানের ব্যক্তিত্ব, তার গানের টানে ক্রমশ জড়িয়ে যায় তোড়া। তবু কিসের টানে সে দিনের শেষে ইমরানকে ফেলে ফিরে যায় অপছন্দের জায়গায়? তোড়ার কাছে এই কথা জানতেও চেয়েছে ইমরান। সদুত্তর মেলেনি। এক দিন ইমরানের মুখোমুখি ঋভু। এখানেই নতুন প্রশ্নের জন্ম। কার টানে ঘরে ফিরবেন ইশা? পরমব্রত না গৌরব? এখানেই ট্রেলার শেষ।
প্রথম ছবিতেই পরমব্রত-ইশার টাটকা জুটি। নিশ্চয়ই এর পিছনে বিশেষ ভাবনা ছিল? অরিত্রের মতে, ‘ঘরে ফেরার গান’ ‘মহীনের ঘোড়াগুলো’ ব্যান্ডের অন্যতম জনপ্রিয় গান। তাঁর ছবিতেও তাই গানের সংখ্যা অনেক। মূলত গানধর্মী এই ছবির মুখ্য চরিত্র ইমরান জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী। পরমব্রত নিজেও খুব ভাল গান করেন। তাই তাঁকে বাছা। অরিত্র জানেন, অভিনেতা এই ধরনের চরিত্রে নিজের ২০০ শতাংশ দেবেন। তাঁর একই মত ইশার ক্ষেত্রেও। অভিনেত্রীও গান জানেন। তা ছাড়া, ইশার চোখ কথা বলে। এবং অরিত্র এমন এক অভিনেত্রীকে চাইছিলেন যিনি প্রথমে মধ্যবিত্ত মানসিকতা এবং পরে আত্মবিশ্বাসের চুড়ায় বসে থাকা এক নারীকে অনায়াসে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন। পরিচালকের দাবি, ইশা সেই দিক থেকে নিখুঁত। ছবির সুরকার প্রবুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়। শীর্ষসঙ্গীত গেয়েছেন তিমির বিশ্বাস। এ ছাড়াও রয়েছেন এক ঝাঁক নামী-দামি শিল্পী।
ইতিমধ্যেই জুলাইয়ে পরমব্রত-ইশা-গৌরবের সম্পর্কের টানাপড়েনের সাক্ষী লন্ডনের প্রেক্ষাগৃহ, সেখানকার বাঙালি দর্শক। ছবি বিদেশে উচ্চপ্রশংসিত। অরিত্রর তাই আশা, নিজের শহরও তাঁকে খালি হাতে ফেরাবে না। কারণ, কলকাতা এখনও প্রতি মুহূর্ত বাঁচে গানে আর প্রেমে।
আরও পড়ুন-বডি হাগিং পোশাকে সুডৌল স্তনের একাংশই উন্মুক্ত, মনোক্রমে উষ্ণতার পারদ চড়ালেন জাহ্নবী
আরও পড়ুন-সেক্সি টোনড ফিগারে সিজলিং হট নুসরত, সাংসদ অভিনেত্রীর বুকের ট্যাটুতে চোখ আটকে ভক্তদের
আরও পড়ুন-চোখের পলকে কেটে গেল বলিউডে দশ বছর,বিশেষ দিনে আবেগঘন পোস্ট 'মম টু বি' আলিয়ার