সংক্ষিপ্ত

  • দুপুর ২টো নাগাদ বেলেভিউ হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে
  • হাসপাতাল থেকেই সোজা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের গলফ গ্রিনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে অভিনেতাকে
  • দুপুর ৩.৩০-এর মধ্যে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের দেহ নিয়ে আসা হবে রবীন্দ্র সদনে
  • ৬.৩০ টার মধ্যেও গান স্যালুট দিয়ে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের

ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে  নক্ষত্রপতন। একটানা দীর্ঘ ৪০ দিনের লড়াই শেষ। ফেলুদা আর নেই। যত সময় এগোচ্ছিল ততই যেন পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক হচ্ছিল ফেলুদার। টানা ৪০ দিন ধরে চলছিল জীবন-মৃত্যুর লড়াই। অদম্য ফাইটিং স্পিরিট নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন বাঙালির ফেলুদা। অবশেষে আর পারলেন না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি এগোচ্ছিল খারাপের দিকে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, তাদের সব রকম চেষ্টা সত্বেও কোনও কিছুই কাজ হচ্ছে না। কিন্তু  লড়াকু মানুষটির থেকে আরও একবার কামব্যাকের আশা করেছিলেন সকলে। কিন্তু শেষরক্ষা আর হল না। মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই বেলভিউ হাসপাতালে পৌঁছালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর ,পরিবার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে  আলোচনা শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা পৌলমী বসু। আজ দুপুর ২টো নাগাদ বেলেভিউ হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। হাসপাতাল থেকেই সোজা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের গলফ গ্রিনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে অভিনেতাকে,তারপরই টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে নিয়ে যাওয়া হবে কিংবদন্তীর মরদেহ। সৌমিত্রর দীর্ঘদিনের সহকর্মী, ,টেকনিশিয়ানরা সেখানেই অভিনেতাকে  শ্রদ্ধার্ঘ জানানোর সুযোগ পাবেন। তারপরই দুপুর ৩.৩০-এর মধ্যে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের দেহ নিয়ে আসা হবে রবীন্দ্র সদনে।  অভিনেতার অনুরাগী,শুভাকাঙ্খী, ঘনিষ্ঠারা সেখানেই  সৌমিত্রবাবুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। রবীন্দ্রসদনে ২ ঘন্টা সেখানে রাখা হবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মরদেহ, জানালেন পৌলমী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, ৫.৩০ নাগাদ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের দেহ নিয়ে যাওয়া হবে কেওড়াতলা মহাশ্মশানের উদ্দেশ্যে। সন্ধ্যা ৬.৩০ টার মধ্যেও গান স্যালুট দিয়ে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। 

শেষ সময়ে সকলেরই একবার  মনে হয়েছিল এবারও তিনিই জয়ী হবেন। ক্যান্সারকে হারিয়ে, করোনাকে ঠেলে ফেলে তিনি যেভাবে জীবন-মৃত্যুর লড়াই লড়ছিলেন  তাতে  চিকিৎসকেরাও আশা করেছিলেন এই লড়াই তিনিজিতবেনই । দীর্ঘ ৪০ দিন লড়াইয়ে অবশেষে হেরে গেলেন সৌমিত্র বাবু। তবে অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন তিনি। শেষ হয়ে গেল একটা অধ্যায়। তার এই প্রয়াণে বাংলা সিনেমার এর যুগের অবসান ঘটল। বাঙালির মনে তিনি অবিনশ্বর। কয়েকদিন চিকিৎসায় সাড়া দিলও গত শনিবার রাতের পর থেকেই তার শরীর আরও খারাপ হতে শুরু করে। তারপরেই আজ বেলাতেই ঘোষণা করা হয় তার মৃত্যুসংবাদ। চিকিৎসক সহ গোটা টিম তার কামব্যাকের অপেক্ষায় থাকলেও সকলকে চিরতরে বিদায় জানালেন বাঙালির ফেলুদা। প্রতিদিনই যেই মানুষটার শারীরিক অবস্থা জানার জন্য মুখিয়ে রয়েছে আপামর বাঙালি, সেই সকলের প্রিয় ফেলুদা আর নেই।  দীর্ঘ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। চিকিৎসকেরা আশার আলো দেখছিলেন শেষ মুহূর্তে। কিন্তু সেই আশা আর পূরণ হল না। রবিবার  ১২ টা ২০ নাগাদ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের  মৃত্যুর খবর ঘোষণা করে বেলভিউ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃত্যুকালে অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।