সংক্ষিপ্ত

  • তাঁর অগনিত ভক্ত ভেবেছিলেন তিঁনিও পারবেন
  • যেভাবে আরও অনেকে মারন ব্যধি কে হেলায় হারিয়েছে
  • আপামর সিনেমাপ্রেমী ভেবেছিলেন পান সিং তোমর ঠিক জিতবেন
  • সামনে যেই থাকুক নিজের প্রতিভায় সবাইকে ফিকে করে দিতেন

রেশমি  বাগচি- তাঁর অগনিত ভক্ত ভেবেছিলেন তিঁনিও পারবেন। যেভাবে আরও অনেকে মারন ব্যধি কে হেলায় হারিয়েছে। তাছাড়া তিঁনি তো যে সে নন, তাঁর ক্ষমতা সম্পর্কে আমরা খুব ভালো করে জানি। তিঁনি বাঘের সঙ্গে দিনযাপনকারি, সেই 'লাইফ অফ পাই' এর ছেলেটা। যার চোখের দিকে তাকালে মকবুলের সেই দৃশ্য মনে পড়ে, হাড় হিম হয়ে আসে। তার হিন্দি মিডিয়াম, আংরেজি মিডিয়াম দেখলে খুঁজে পাই আমাদেরই মত ছাপোষা মানুষকে, যারা সন্তানের ভালোর জন্য কিই না করেন।

আরও পড়ুন- 'ইরফান খান চিরকাল বেঁচে থাকবেন তাঁর কাজের মধ্য়ে দিয়ে', জানালেন ঋতুপর্ণা

আসলে পিকুর সেই গাড়িচালকও তো আমাদের চেনা জানা একজন,যাকে খুঁজে চলি জীবনের পথের বাঁকে । তিনি যদি হঠাৎ এই দুর্দিনে আমাদের ছেড়ে চলে যান, তাহলে কি করে হয় । আমরা তো ছোট থেকে জেনেছি, হিরোরা সব সময় জেতেন। তাই আপামর সিনেমাপ্রেমী ভেবেছিলেন পান সিং তোমর ঠিক জিতবেন। পারলেন না ইরফান। শরীর যে সঙ্গ দিচ্ছে না ভালোই বুঝেছিলেন। 

আরও পড়ুন- 'বাবার ইচ্ছে ছিল কিছু হাতের কাজ শিখুক ইরফান', অভাব আসবে না কোনও দিন

শেষ ফিল্ম, ইংলিশ মিডিয়াম, আবার মাস্টারস্ট্রোক। সেই ইরফান, সেই কথা বলার ভঙ্গি, রসবোধ। এই ফিল্ম ও খুব কষ্ট করে শেষ করেছিলেন। কিছুদিন আগে নিজের অবস্থার কথা নিজেই জানিয়েছিলেন। ছুটন্ত ট্রেন থেকে তাকে আচমকা কেউ নেমে যেতে বলেছে, তিনি নামতে চান না। তবুও তাকে বার বার বলা হচ্ছে যাত্রা শেষ করতে। কত কষ্ট থেকে একজন মানুষ নিজের মৃত্যু বর্ণনা করতে পারেন। আজ সত্যি সত্যিই তাকে নেমে যেতে হল। আর কোনও কল টাইম এর তাড়া নেই, ডাক্তারের কাছে দৌড়ানো নেই, লকডাউন চলছিল, তাই কয়েকটা সাপ্তাহিক রুটিন চেকআপ হয়নি, তাতেই কত কি হয়ে গেল। ভালো থাকবেন ইরফান। আপনি গোটা ইন্ড্রাস্ট্রির কাছে ছিলেন..." বিল্লু ভয়ংকর"...। সামনে যেই থাকুন আপনি নিজের প্রতিভায় সবাইকে ফিকে করে দিতেন। 

ভেঙে পড়েছেন পরিচিতরা। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বিশ্বাস করতে পারছেন না, যে মানুষটার শেষ প্রকাশিত ছবি দেখলেন সবে, সেটাই তার জীবনের শেষ ফিল্ম হয়ে রইল। এমন অনেক কিছুই আমরা ভাবি না, তাও হয়। ওই যে কখন কার যাত্রা শেষ করতে হবে বলা খুব মুশকিল, আপনি ভাগ্যবান ইরফান, নিজেই নিজের শেষ শ্রদ্ধার সুর বেঁধে রেখে গেলেন।

রেশমি  বাগচি- দেড় দশকের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত। বাংলা গণমাধ্যমের একাধিক প্রথমসারি সংবাদসংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্তের সঙ্গে শূন্য নামে এথনিক বুটিক ফ্যাশন স্টোর খুলেছেন। একজন আন্তেপ্রঁণে হিসাবে এই মুহূর্তে কাজ করছেন রেশমি। এছাড়াও নৃত্যশিল্পী ও আবৃত্তিকার হিসাবেও স্বনামে উজ্জ্বল  তিনি।