সংক্ষিপ্ত

প্রায় ত্রিশ বছর আগের কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুর্দশার কাহিনী প্রস্ফুটিত হয়েছে 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' ছবিতে। ছবির মুক্তির আগে থেকেই নানা ধরণের বিতর্ক তৈরী হয়েছে এই ছবির প্রেক্ষাপট নিয়ে। এবার ছবির মূল কাহিনী কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দেশত্যাগের কাহিনী নিয়ে তৈরী নয়া জল্পনা। ঐতিহাসিক এই ঘটনার জন্য বিজেপিকে দায়ী করল কেরালা কংগ্রেস। 
 

কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandits) সঙ্গে ঠিক হয়েছিল এই নিয়ে এখন তৈরী হয়েছে নতুন জল্পনা। প্রায় ৩০ বছর আগের কথা, কাশ্মীরের পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandits) সেই অভিশপ্ত ইতিহাস যেন আজও তারা করে বেড়ায় কাশ্মীরের পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandits)। কাশ্মীরের মসজিদ থেকে ঘোষণা করা হয় যে, 'হয় কাশ্মীরি পণ্ডিতরা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হবেন নয় তাঁদের কাশ্মীর ছাড়তে হবে। আর তারা যদি এই শর্তে রাজি না থাকেন তবে কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবারের পুরুষ সদস্যদের ঘরে ঢুকে হত্যা করা হবে।' ভিটে- মাটি হারা হয়েছিলেন হাজার হাজার কাশ্মীরি পণ্ডিতের পরিবার (Kashmiri Pandit's Family)। এই ঘটনাকেই দর্শকের সামনে তুলে ধরছেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী তাঁর 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'(The Kashmir Files)  ছবির মাধ্যমে। তবে এই ছবির কাহিনী নিয়ে নয়া বিতর্কের ইঙ্গিত দিয়েছে কেরালা কংগ্রেস (Kerala Congress)। 

কেরালার কংগ্রেস  #KashmirFiles vs truth হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ইস্যু সম্পর্কে কিছু 'তথ্য' টুইট করতে শুরু করেছে, যা একটি নতুন বিতর্কের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। কেরালার বিজেপি সাংসদ কেজে আলফোনস (Kerala BJP MP K J Alphones) বলেছেন, কংগ্রেস ইতিহাস বোঝে না, তারা এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছিল যেখানে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandits) বেঁচে থাকাই অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। এরপর একের পর এক টুইট বার্তায়, কেরালা কংগ্রেস কাশ্মীরি পণ্ডিত ইস্যু (Kashmiri Pandits Issue) সম্পর্কে লিখেছে 'সন্ত্রাসী হামলার পর, পণ্ডিতদের নিরাপত্তা দেওয়ার পরিবর্তে, বিজেপির নিজস্ব রাজ্যপাল জগমোহন তাদের জম্মুতে স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য বলেছিলেন। এর ফলে পণ্ডিত পরিবাররা নিরাপদ বোধ করেনি এবং ভয়ে উপত্যকা ছেড়ে চলে গেছিলেন।'

 

 

আরও পড়ুন- দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে কনিকা কাপুর, বাঁধা পড়তে চলেছেন প্রেমিকের সঙ্গে

আরও পড়ুন- গুজরাত-হরিয়ানার পর মধ্যপ্রদেশেও কর মুক্ত 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস', টুইট শিবরাজের

আরও পড়ুন- কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুর্দশার কাহিনী, ৩ দিনে ১৫ কোটির গণ্ডি টপকালো 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'- এর বক্স অফিস কালেকশন

কংগ্রেস টুইট করে আরও বলেছে যে, 'সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম হয় না। কিছু মানুষ এখানে চক্রান্তের শিকার।' পাশাপাশি বিজেপিকে কটাক্ষ করে কংগ্রেসের দাবি 'জগমোহনের শাসনের আমলেই পণ্ডিতরা উপত্যকা ছেড়েছেন যিনি একজন আরএসএসের সদস্য ছিলেন। অযোধ্যায় রামমন্দির ইস্যুতে বিজেপি দেশে হিন্দু-মুসলিম বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা করেছিল।' কংগ্রেস জানিয়েছে যে, ভিপি সিং সরকার ক্ষমতায় আসার এক মাস পর, ১৯৯০ সালের জানুয়ারি মাসে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের অভিবাসন শুরু হয়েছিল। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য বিজেপির সহানুভূতিকে 'কুমিরের কান্না'- র সঙ্গে তুলনা করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস দাবি  তুলেছে যে, বিজেপির জন্য, কাশ্মীর একটি হিন্দু-মুসলিম সমস্যা। কংগ্রেসের জন্য এটি  বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং দেশের পাশে থাকা মানুষদের মধ্যে চলা একটি দীর্ঘ যুদ্ধ। 

সন্ত্রাসের কারণে যে কাশ্মীরি হিন্দুরা (Kashmiri Hindus) নিহত হয়েছেন সেই ঘটনাকে সন্ত্রাসবাদের ফলে গত ৩ দশকে উপত্যকায়  থাকা মুসলমানদের মৃত্যুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। তবে এই একগুচ্ছ টুইটের মাঝে কংগ্রেস শুধুমাত্র যে বিষয়টি তুলে ধরে নি তা হল পাকিস্তান ভিত্তিক যে সকল সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, জেকেএলএফ, হিজবুল এবং স্থানীয় মিলিশিয়া নামক জঙ্গি ক্যাডার যারা গণহত্যা চালিয়েছিল তাঁদের কথা।