সংক্ষিপ্ত
- লকডাউনে লক্ষাধিক মানুষকে সাহায্য করেছেন সোনু সুদ
- কেবল ত্রাণে দান করেই নয়, নেমে এসেছেন রাস্তাতেও
- নিসর্গ সাইক্লোন আসার আগেই মুম্বইয়ের ২৮০০০ মানুষের সহায়তা করলেন অভিনেতা
- খাবার এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন
সোনু সুদের প্রশংসার রেশ থামতে না থামতেই ফের মহান কাজ করে বসেন অভিনেতা। নিসর্গ সাইক্লোন মুম্বইতে আসার আগে ২৮০০০ হাজার মানুষের সহায়তা করলেন অভিনেতা। খাবার এবং পুনর্বাসন দিয়ে ঘুর্ণিঝড়ের হাত থেকে রক্ষা করলেন গরীব মানুষদের। সমুদ্রের ধারে কাছেই থাকে এই সকল মানুষ। নিসর্গের আগে যেহেতু কড়া সতর্কবার্তা দেওয়া ছিল, সমুদ্রের ধারেকাছে থাকা বিপজ্জনক হতে পারে, তাই সোনু আগে সে সকল মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন যারা সমুদ্রের কাছে ঝুপড়ি বাড়িতে থাকে, যা ঝড়ে অনায়াসে হানি আনতে পারে তাদের বসতিতে।
আরও পড়ুনঃকরোনার জন্য ছাড়েননি দেশ, মুম্বই ফেরার অপেক্ষায় দিনগুণছেন সানি ও তাঁর পরিবার
যদিও মুম্বইতে ভারি বৃষ্টিপাত ছাড়া তেমন কোনও ক্ষতি দেখা যায়নি। সোনু জানান, "আজ আমরা অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। যথাসম্ভব আমরা চেষ্টা করছি যাতে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারি। আশা করব সবাই যেন সুস্থ এবং সুরক্ষিত থাকে। আমি ও আমার টিম ২৮০০০ মানুষ যারা সমুদ্রসৈকতের কাছেই থাকতেন তাদের সাহাযঅয করেছি খাবার দিয়ে। বিভিন্ন স্কুল এবং কলেজে তাদের থাকার ব্যবস্থা করেছি। তাদের সুরক্ষাই আমাদের প্রথম চিন্তা।" সোনুর এই উদ্যোগে ফের প্রশংসার পুল বেঁধেছে দেশবাসী।
আরও পড়ুনঃহাসপাতালে শেষ মুহূর্তে কী করেছিলেন ওয়াজিদ, ভিডিও শেয়ার করলেন সাজিদ
হাজার জনেরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিককে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছলেন সোনু। মহারাষ্ট্র সরকারের সাহায্য নিয়ে রবিবার রাতে মুম্বইয়ের থানে স্টেশনে এসে পৌঁছন তিনি। ট্রেনে কেবল তাদের বাড়ি পৌঁছনোর ব্যবস্থাই নয়, তাদের খাবার, স্যানিটাইজার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে সাহায্য করলেন অভিনেতা। স্টেশনে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে নিশ্চিত করেছেন সকলে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি গ্রহণ করেছেন কিনা। সে ছবিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। অভিনেতা এ বিষয় জানান, "রবিবার রাতে দু'টি ট্রেন উত্তর প্রদেশ এবং বিহার রওনা দিয়েছে। আমরা খাবার, স্যানিটাইজার প্রত্যেককে বিতরণ করেছি। আমি মহারাষ্ট্রের সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ওনাদের সমর্থন ছাডা় এই কাজ করা সম্ভব ছিল না আমাদের পক্ষে। আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করে চলেছি। যতক্ষণ না সকলে বাড়ি পৌঁছবে আমি ততদিন সাহায্য করেই যাব।"