সংক্ষিপ্ত

  • এই বছরেই নভেম্বরে বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল সুশান্ত-রিয়ার
  • জানা যায়, পুলিশি জেরায় তেমনই খবর প্রকাশ্যে এসেছে
  • সুশান্ত তিনটি কোম্পানিও তৈরি করেছিলেন
  • যার মধ্যে একটি রিয়ার নামে করে দিয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেতা

এই বছর নভেম্বর নাগাদ বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল সুশান্ত সিং রাজপুত এবং রিয়া চক্রবর্তী। সম্পর্ককে তাঁরা দু'জনেই গোপন রেখেছিলেন ঠিকই। তবে সম্প্রতি পুলিশি জেরায় বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন রিয়া, বলে জানা গিয়েছে। তোড়জোর চলছিল বিয়ের প্রস্তুতি। তার আগেই সুশান্তের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া পরিবারে। অন্যদিকে রিয়া চক্রবর্তীকে নিয়ে নানা জল্পনা। তিনি নাকি মহেশ ভাটের কথাতেই সুশান্তকে মানসিক অবসাদের মধ্যেই ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন রিয়া। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে তিনি নাকি সুশান্তের দুরাবস্থাতেই তাঁকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলেন। 

আরও পড়ুনঃসুশান্তকে একা ছেড়ে দেওয়ার পিছনে মহেশ ভাটের সঙ্গে রিয়ার গোপন সম্পর্কই কি কারণ, সত্যতা কতখানি

এদিকে সুশান্ত নাকি তিনটি কোম্পানি দাঁড় করাবার চেষ্টা করেন যার মধ্যে একটি রিয়ার নামে লিখেছিলেন। ৩৪ বছর বয়সেই অসামান্য জ্ঞান, দক্ষতা নিয়ে তিনি মুগ্ধ করে চলেছেন মৃত্যুর পরও। প্রযুক্তির প্রতি ভালবাসা থেকেই ২০১৮ সালে ভারচ্যুয়াল রিয়ালিটি সম্বন্ধীয় একটি কোম্পানি খুলেছিলেন সুশান্ত। আরও দুটি কোম্পানিও প্রযুক্তি বিজ্ঞান নিয়েই। এর মধ্যে একটি রিয়ার নামে করা। এর মধ্যে একটি কোম্পানি গরিবদের সাহায্যের জন্য তৈরি করেছিলেন সুশান্ত। প্রসঙ্গত, সূত্রের অনুযায়ী, বহুদিন ধরে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীকে ডেট করছিলেন সুশান্ত। বহু জায়গায় তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে কখনই কোনও মন্তব্য করেননি তাঁরা। 

আরও পড়ুনঃলেজবিয়ান পার্টনার ফাতিমা-সানিয়া, গুঞ্জনে ভরে গিয়েছে বিনোদন মহল

 

আত্মহত্যায় সুশান্তের মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন বাবা কৃষ্ণকুমার রাজপুত। সাংঘাতিক অসুস্থও হয়ে পড়েছিলেন তিনি। অন্যান্য আত্মীয় পরিজন এবং প্রতিবেশীরাই সামলেছেন তাঁকে। ইরফান খান, ঋষি কাপুর, সাজিদ খান এবার সুশান্ত সিং রাজপুত। একের পর এক বলিউড শিল্পী, অভিনেতাদের মৃত্যুর খবরে ভরে চলেছে সংবাদমাধ্যম। আত্মহত্যার কারণে মৃত্যু হয় সুশান্তের। এ কথা মানতে নারাজ গোটা দেশ। এমনকি বেশ কিছু সেলেব্রিটিও মানছেন না এই আত্মহত্যার বিষয়টি। সুশান্ত সিং রাজপুতের হাসিমুখটাই চিরজীবন চোখের সামনে থেকে যাক। ওই হাসিমুখ দেখলে কেউ ধরতেও পারবে না যে তার পিছনেই লুকিয়ে আছে মন ভরা অবসাদ। কথা বলার একটি লোকও ছিল না পাশে। মা-কে হারিয়েছেন সেই পাটনা থেকে দিল্লি আসার সময়। তারপর মায়ের মত বোধহয় আর কাউকে কাছে টেনে নিতে পারেননি। একাকিত্ব এমনভাবে এক প্রাণোচ্ছল ছেলেকে গ্রাস করবে তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি কেউ।