সংক্ষিপ্ত
- মৃত্যুর আগে পর্যন্ত কাউকে টের পেতে দিলেন না নিজের দুঃখ
- রোজকারের মত ঘুম থেকে ভোরবেলা উঠে সাধারণ রুটিনেই ছিলেন
- সকাল ৯:৩০ নাগাদ সেই যে ঘরে ঢুকলেন আর কোনও আওয়াজ নেই
- রাধুনি যদি একটু আগে ওয়াকিবহল হত, তাহলে কি আজ এই পরিস্থিতি থাকত
ইনস্যান্ট বলিউডের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রকাশ্যে এল নানা তথ্য। তাঁদের এক ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে সুশান্ত সিং রাজপুত সকাল থেকে নিজের স্বাভাবিক রুটিনেই ছিলেন। তাঁর মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা ছিল না। বরং আর পাঁচটা দিনের মতই রবিবার ভোর ৬:৩০-এ উঠেছিলেন। সকাল ৯:৩০ নাগাদ সেই যে বেদানার জ্যুস খেয়ে নিজের ঘরে ঢুকলেন আর বেরলেন না। পুলিশের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সকালে জ্যুস নিয়ে নিজের ঘরে ঢুকতেই ঘটল বিপত্তি। আর পাঁচটা দিনের মতই সকাল এক ঘন্টা পর রাধুনি খাবারের জন্য জিজ্ঞেস করতে যায়।
আরও পড়ুনঃবিকৃত মানসিকতার পরিচয় দিয়ে সুশান্ত মরদেহের ছবির মিম, নেওয়া হচ্ছে আইনি পদক্ষেপ
তখন কোনও উত্তর না পেলে ১২ নাগাদ ফের দরজায় কড়া নাড়ে সে। ফের কোনও উত্তর না পেয়ে সন্দেহ হতেই সুশান্তের বোন মিতু সিংকে ফোন করে রাধুনিষ তৎক্ষণাৎ নিজের গুরগাঁওয়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভাইয়ের বাড়ির দিকে রওনা দেন তিনি। দুপুর দেড়টা নাগাদ চাবি তৈরির লোককে খবর দেওয়া হয়। তারপরই দরজা খুলতেই চোখের সামনে সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ। পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী সবুজ রঙের কুর্তার সাহায্যে আত্মহত্যা করেন তিনি।
সেই কুর্তা কেটে সুশান্তের দেহ নামানো হয়। প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবার সহ গোটা দেশে শোকের ছায়া। পাটনা থেকে তড়িঘড়ি মুম্বইয়ে এসে গিয়েছে তাঁর গোটা পরিবার। কলিনা বিমানবন্দরে দেখা গিয়েছিল সুশান্তের পরিবারকে। বলিউডের এ লিস্টেড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার খবরে শোকস্তব্ধ বলিউড। বাড়ির পরিচারিকাই প্রথম খবর দেয় পুলিশকে। জানা গিয়েছে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অভিনেতা। নিজের বান্দ্রার ফ্ল্যাটেই আত্মহত্যায় মৃত্যু হয় সুশান্তের।