সংক্ষিপ্ত
- লকডাউন কেমন কাটছে বিদ্যা বালনের
- 'শকুন্তলা দেবী'র শ্যুটিংয়ে সবচেয়ে স্মৃতিমধুর অভিজ্ঞতা
- বাঙালি দর্শকদের জন্যও দিলেন বিশেষ বার্তা
- সবের খোলসা করলেন এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে
বিদ্যা বালন মানেই ছবি জুড়ে কেবল তাঁর অভিনয় দেখে সেকেন্ডে সেকেন্ডে মুগ্ধ হওয়া। তিনি সেই অত্যন্ত কম সংখ্যক অভিনেত্রীদের মধ্যে পড়েন যিনি যেকোনও চরিত্রে নিজেকে ভেঙে গড়ে নিতে পারেন। 'পরিণীতা' থেকে 'শকুন্তলা দেবী' বিদ্যা যেন ক্রমশ নিজের ভিন্ন অবতার নিয়ে হাজির হচ্ছে সিনেপর্দায়। হিউমান ম্যাথামেটিকাল জিনিয়াস শকুন্তলা দেবীর বায়োপিকের হাত ধরে এই প্রথম ডিজিটালে আসতে চলেছেন তিনি। করোনার প্রকোপে গোটা বিশ্বের মানচিত্র বদলে গিয়েছে। বদলেছে বিদ্যার জীবনও। এশিয়ানেট নিউজের সম্পাদক, রিচা বড়ুয়া অধিকারীর সঙ্গে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে নানা বিষয় নিয়ে কথা বললেন অভিনেত্রী।
রিচাঃ প্রথমেই যে প্রশ্নটা না করলেই নয়। আপনার ভক্তরাও এই নিয়ে রীতিমত আগ্রহী। কেমন কাটছে এই লকডাউন জীবন?
বিদ্যাঃ সত্যি কথা বলতে আমি আসলে একটু ঘোরকুনো। বাড়িতেই আমি অনেকটা সময় কাটিয়ে ফেলতে পারি। অথচ হঠাৎ করে যেন গোটা বিশ্ব বদলে গিয়েছে। মনে হচ্ছে যেন রাতারাতি সব বদলে গেল। সবাই অত্যন্ত ওয়াকিবহল হয়ে গিয়েছে, যা অবশ্যই প্রশংসার বিষয়। তবে এই বিষয়গুলি দেখে মনে হচ্ছে আগে সবকিছুতে একটা ভিন্নতা ছিল। আপনজনদের সঙ্গে দেখা হলে হেসে জড়িয়ে ধরাটা খুব মিস করি। এখন কারও ধারে কাছে যাওয়া নয়, মাস্কের জন্য কারও হাসিও নজরে পড়ে না।
রিচাঃ লকডাউনে অনেকে রান্না শিখেছে, ছবি আঁকছে, আপনি নতুন কী শিখলেন?
বিদ্যাঃ আমি শিখেছি রান্না করাটা খুব একটা কঠিন নয় তবে ভাল রান্না করাটা বেশ কঠিন। তবে আমি চেষ্টা করেছি এই অনেক। আমাদের দেখা সাক্ষাৎ, ছবির প্রচার অবশ্যই বদলেছে। নতুন কিছু যদি এই পরিস্থিতি শিখিয়ে থাকে তা হল যেকোনও পরিস্থিতি আসুক না কেন জীবন চলতেই থাকে। আমাদের ছবি অনলাইনে মুক্তির সুযোগ পাচ্ছে এটাই অনেক। ভাগ্যিস আমাদের এই সুযোগটা রয়েছে।
রিচাঃ ছবির প্রচারের প্রসঙ্গ আসতেই যেটা প্রথমে জানতে চাইব, শকুন্তলা দেবীর চরিত্রে নিজেকে কীভাবে গড়লেন? কতখানি কঠোর প্রস্তুতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল?
বিদ্যাঃ ওনার বিষয় অনেক পড়েছি, ভিডিও দেখে গিয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি যা আমায় সাহায্য করেছে তা হল অনু মেননের (পরিচালক) অভিজ্ঞতা। অনু অস্বাভাবিকভাবে শকুন্তলা দেবীকে চিনে উঠতে পেরেছেন কেবলমাত্র ওনার মেয়ে এবং জামাইয়ের সঙ্গে সময় কাটিয়ে। তাঁদের সঙ্গে মাসের পর মাস কাটিয়েছেন অনু। সেসব শুনেই আমি নিজেকে এই চরিত্রের প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে হ্যাঁ, সেই দক্ষিণী একটা টান আনা, তাঁর আদবকায়দা শেখা। আমি অঙ্কে খুব ভাল ছিল। খুব সহজেই নম্বর মনে রাখতে পারি। তো সেটা আমায় সাহায্য করেছে।
আরও পড়ুনঃমা-এর শেখানো নামতার উপায় বাঁচলেন বিদ্যা, 'শকুন্তলা দেবী'-তে ছক্কা হাঁকালেন গানের মাধ্যমে
রিচাঃ 'শকুন্তলা দেবী'-তে যিশু সেনগুপ্তের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
বিদ্যাঃ এত সাধারণ একটা মানুষ, এত ভাল মানুষ, যত বলব ততই কম। আমরা একসঙ্গে সেটে বসে মজা ঠাট্টা করতাম। বাংলাতেই বেশি কথা বলতাম, কিন্তু কেউ বুঝতে পারত না শুধুমাত্র আমাদের প্রথম সহ পরিচালক ছাড়া। তিনি বাঙালি ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ'এই বছর পুজোতে কম খরচা করার প্রচেষ্টায় রয়েছি, পাঁচদিন সকলকে খাওয়ানোর ইচ্ছা আছে'
রিচাঃ ওটিটি-তে এখন ঝুঁকেছেন সকলে, আপনার কী মনে ওটিটি কি ধীরে ধীরে প্রেক্ষাগৃহের জায়গা নিতে চলেছে?
বিদ্যাঃ না। আমার মনে থিয়েটার আজীবনই হয়তো চলবে। সবকিছু স্বাভাবিক হলেই আবারও থিয়েটারে গিয়ে মানুষ ছবি দেখবে। তবে ওটিটি আমাদের নানা সুবিধা এনে দিয়েছে। যখন সবকিছু স্বাভাবিক ছিল তখনও এই ওটিটির প্রতি সকলে আকর্ষিত হত। কারণ আমরা বিশ্বের কোণায় কোণায় তৈরি হওয়া কাজ আমরা দেখতে পারি।
রিচাঃ আপনার আগামী বড় প্রজেক্ট কী?
বিদ্যাঃ আমি 'শেরনি' নামক একটি ছবি করছি অমিত মসুরকর। প্রযোজনায় 'শকুন্তলা দেবী'র প্রযোজক বিক্রম মালহোত্রাই রয়েছেন। লকডাউনের ঘোষণার আগেই শ্যুটিং শুরু করেছিলাম ছবিটার। তবে হঠাৎই আমাদের এই পরিস্থিতিতে মুম্বই ফিরে আসতে হয়। সব কিছু স্বাভাবিক হলেই আবার যেন আমরা শ্যুট শুরু করতে পারি। আশা করা যাচ্ছে অক্টোবর নাগাদ পুরনো ছন্দে ফিরতে পারব।