সংক্ষিপ্ত


বেশ কয়েক বছর বিয়ে হয়েছে

স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চান সন্তান

কিন্তু তাঁরা নাকি জানতেনই না এর জন্য দরকার ষৌনমিলন

এমনটাই জানালেন ব্রিটেনের এক নার্স

বেশ কয়েক বছর তাদের বিয়ে হয়েছে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চান সত্নান। কিন্তু, বেশ কয়েক বছর কেটে যাওয়ার পরও সন্তান হচ্ছে না। ডাক্তারের কাছে গিয়ে সমস্য়া খুলে বলাতে একদিকে যেমন ডাক্তারও অবাক, অন্যদিকে বিস্মিত ওই দম্পতিও। তাঁরা নাকি জানতেনই না যে বাচ্চা পেতে গেলে তাঁদের যৌনমিলনে লিপ্ত হতে হবে। এমনই অদ্ভূত ঘটনার কথা জানালেন ইউনাইটেড কিংডম ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস)-এ চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করা এক নার্স।

কয়েক দশক ধরে মিডওয়াইফ অর্থাৎ দাই  মা এবং নার্স হিসাবে কাজ করছেন র‌্যাচেল হিয়ারসন। সম্প্রতি 'হ্যান্ডেল উইথ কেয়ার: কনফেশনস অব এনএইচএস অ্যান এনএইচএস হেল্থ ভিসিটর' নামে স্মৃতিকথা প্রকাশ করেছেন তিনি। সেখানেই হিয়ারসন এই অদ্ভূত দম্পতির কথা লিখেছেন।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন বিবাহের পরও সন্তান না হওয়ায় ওই দম্পতি এক জেনারেল ফিজিশিয়ান-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ওই ডাক্তার বুঝতে পারেন, কীভাবে শিশুর জন্ম হয়, তা সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না ওই দম্পতির। এরপরই তিনি ডেরে পাঠিয়েছিলেন নার্স হিয়ারসনকে। তাঁকেই ওই দম্পতিকে সন্তান প্রসবের বিজ্ঞান বোঝানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।  

হিয়ারসন জানিয়েছেন, বিষয়টা অত্যন্ত অস্বস্তিকর হলেও, তিনি ওই দম্পতির যৌনতা নিয়ে একেবারে খোলাখুলি কথা বলেছিলেন। যৌনতার মাধ্যমেই কীভাবে শিশুভ্রুণ বিকশিত হয় তা পরিষ্কার করে ব্যাখ্যা করেছিলেন। হিয়ারসন আরও জানিয়েছেন, ওই দম্পতি ভেবেছিলেন যে একসঙ্গে থাকা শুরু করলে বোধহয় এমনি এমনিই গর্ভে সন্তান আসে। কাজেই বিয়ে করে একসঙ্গে থাকা শুরু করলেই তাঁরা সন্তানের বাবা-মা হতে পারবেন।

হিয়ারসনের বইয়ে অবশ্য শুধু এই একটি ঘটনা নয়, এইরকম আরও নানান মজার মজার ঘটনার বর্ণনা রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, অনেক সময়ই এমমন পরিস্থিতি তৈরি হত, যেখানে কোনও সমস্য়া নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অস্বস্তিতে ভুগেছেন অনেকেই। কিন্তু তাঁকেই দোর করে সেই বিষয়গুলির কথা তুলতে হত। সেইসব মানুষদের অস্বস্তি দূর করে সমস্যার গভীরে পৌঁছতে হত।