সংক্ষিপ্ত
- করোনা আতঙ্কের মাঝেই চিকিৎসা বিভ্রাট
- মাশুল দিল বছর দেড়েকের শিশু
- চাপের মুখে ভুল স্বীকার চিকিৎসকের
- বর্ধমানের ঘটনা
ভুল নাকি দায়িত্বজ্ঞানহীনতা? করোনা আতঙ্কের মাঝে এবার চিকিৎসা বিভ্রাটের শিকার এক শিশু। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল বর্ধমান শহরে। শেষপর্যন্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের মাঝে দুই ভাইয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু, চাঞ্চল্য বালুরঘাটে
পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহির লোয়াই গ্রামে থাকেন টোটন বটব্যাল। তাঁর শিশুসন্তানের বয়স এক বছরের থেকে দুই মাস বেশি। বাড়ি খেলতে গিয়ে পড়ে যায় সে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, ডান হাতে গুরুতর আঘাত পায় একরত্তি শিশুটি। কিন্তু লকডাউনে বাজারে ডাক্তার কোথায় পাবেন! সন্তানটি নিয়ে সোজা বর্ধমান শহরে চলে আসেন টোটন। শিশুটিকে দেখেন চিকিৎসক সৌম্য় ঘোষ। এক্স রে করার পর হাতে প্লাস্টার করার পরামর্শ দেন তিনি। রাজি হওয়া ছাড়া বাড়ির লোকেরা কাছে আর কোনও উপায় ছিল না! আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।
আরও পড়ুন: হাবড়ায় মহিলাকে 'ধর্ষণ করে খুন', নলিকাটা দেহ মিলল জঙ্গলে
পরিবারের লোকেদের দাবি, শিশুটিকে যখন চেম্বারের বাইরে আনা হয়, তখন দেখা যায়, ডানহাতের বদলে বাঁ হাতে প্লাস্টার করে দিয়েছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক! এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ওই চিকিৎসককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভে দেখাতে শুরু করেন রোগীর বাড়ির লোকেরা। চাপের মুখে ভুল স্বীকারও করে নেন চিকিৎসক সৌম্য ঘোষ। কিন্তু কোনও কথা শুনতে রাজি ছিলেন না বিক্ষোভকারীরা। শেষপর্যন্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।