সংক্ষিপ্ত

  • কথা দেয় অনেকেই, কিন্তু কেউ কথা রাখে না
  •  আজও বেহাল অবস্থায়  স্বামীজির পৈতৃক ভিটে 
  •  ভক্তরা স্বামীজির পৈতৃক ভিটে দর্শন করতে এলেও হতাশ হন
  • বহুবার বিবেকানন্দের  সংগ্রহশালার বিষয়ে বলেছেন গ্রামবাসীরা

 


কথা দেয় অনেকেই, কিন্তু কেউ কথা রাখে না। প্রতি বছরই প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে যাই, কিন্তু কেউ খেয়াল করে না। সেকারণে আজও বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার দত্ত দারিয়াটন গ্রামে স্বামীজির পৈতৃক ভিটে। দেশ বিদেশ থেকে ভক্তরা স্বামীজির পৈতৃক ভিটে দর্শন করতে এলেও হতাশ হয়ে ফিরে যান। বহুবার স্বামী বিবেকানন্দের সাজানো মন্দির, সংগ্রহশালা ও গ্রামকে সাজিয়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু মৌখিক আশ্বাস পেলেও কাজের কাজ হয়নি কিছু।

এক সময় কালনার দত্ত দারিয়াটন গ্রামের এই জায়গায় দোতলা বাড়িতে বাস করতেন স্বামীজির পূর্ব পুরুষরা।তারপর দত্ত পরিবার নিয়ে কলকাতায় চলে যান পরিবারের প্রধান। দীর্ঘ দিন পড়ে থেকে প্রায় নষ্ট হচ্ছিল এই বাড়িটি। বেশ কয়েক বছর পর দাদা ভূপেন্দ্রনাথ দত্তের হাত ধরে তাদের  পৈতৃক ভিটে দেখতে আসেন স্বামীজি। এই পৈতৃক ভিটের জায়গার ওপর একটি স্কুল গড়ার কথা বলেন তিনি।স্কুল গড়তে অর্থ জোগাতে একটি নোটি বিনোদিনী যাত্রাপালা দেওয়া হয়।

যার জন্যে তার ভগ্ন দোতলা বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়। পরে স্বামীজির নামেই এই স্কুলের নাম দেওয়া হয়। এখন এই জায়গায় উঁকি ঝুঁকি মারছে ভিটে বাড়ির কিছু ইট। রাজ্য সরকারের উদ্য়োগে বেহাল রাস্তা নতুন করে নির্মাণ করলেও তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। এলাকাবাসীদের  দাবি, এখনই যদি উদ্য়োগ না নেওয়া হয় তাহলে আগামী দিনে হয়তো অল্প কিছু স্বামীজির পৈতৃক ভিটের স্মৃতি মাটিতে মিশে যাবে।