সংক্ষিপ্ত
- পুলিশ পরিচয়ে 'প্রতারণার কারবার'
- কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন
- লক্ষাধিক টাকা হাতি নেওয়ার অভিযোগ
- পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত-সহ ৪
পত্রলেখা বসু চন্দ্র, বর্ধমান: লকডাউনের বাজারে যখন কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ, তখন রাজ্য পুলিশের চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস বর্ধমানে। চক্রের মূল পাণ্ডা-সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের কাছে বেশ কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে। আটক করা হয়েছে একটি গাড়িও। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের রায়নায়।
আরও পড়ুন: করোনা নেগেটিভ আসতেই অসুস্থতা নিয়ে বাড়ি, দ্বিতীয়বার পজিটিভের পর মৃত্যু সাব ইন্সপেক্টরের
পুলিশ সূত্রে খবর, এই প্রতারণা চক্রের মূল পাণ্ডা রাজেন হাজরা। নিজেকে পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে প্রতারণা কারবার ফেঁদে বসেছিল সে। রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি লোভ দেখিয়ে ৫ জনের কাছ থেকে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রাজেন। যাঁরা টাকা দিয়েছিলেন, তাঁদের ভুয়ো নিয়োগপত্র, আইডি কার্ডও দেওয়া হয়েছিল। বছর দুয়েক ব্যারাকপুর পুলিশের প্রশিক্ষণও নিয়েছেন প্রতারিতরা! কিন্তু চাকরি আর পাননি কেউই।
আরও পড়ুন: মাঝরাতে অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনে বোমা হামলা, কী বললেন বিজেপি সাংসদ
এই প্রতারণা চক্রের হদিশ মিলল কী করে? জানা গিয়েছে, সম্প্রতি 'প্রতারিত'দের বর্ধমানের বড়শুল এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে রাখা হয়। তাঁদের বলা হয়, বর্ধমান পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ হবে। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা নিজেরাই রায়না থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান। অভিযোগ পাওয়া পরই তৎপর হয় পুলিশ। জানা যায়, মূল অভিযুক্ত রাজেন হাজরা বাড়িতে রায়নাতেই। এরপর চাকরি জন্য টাকা দেওয়ার টোপ দিয়ে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন রায়না থানার পুলিশ আধিকারিকরা। একে একে ধরা পড়ে আরও তিনজন।