সংক্ষিপ্ত
- অর্জুন সিংয়ের বাড়ির কাছে বোমাবাজি
- তৃণমূলকে ঘটনার জন্য দায়ী করলেন সাংসদ
- তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাকে মারার চক্রান্ত করছে
- এমনই অভিযোগ করলেন অর্জুন সিং
ফের বিজেপি এমপি অর্জুন সিংয়ের বাড়ির কাছে বোমাবাজি। তৃণমূলকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করলেন অর্জুন সিং।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে লাগাতার বোমাবাজি হয় সাংসদের বাড়ির সমানে। পরপর প্রায় দশটি বোমা এলাকায়। আতঙ্কে সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা। অর্জুন সিং দাবি করেন,তার বাড়ির ঢিলছোঁড়া দূরত্বে জগদ্দল বি এল নম্বর ১৮ গলিতে বোমাবাজি হয়েছে। নিজের বাড়ি মজদুর ভবনের উল্টো দিকেই এই এলাকা। শাসক দলই এই বোমাবাজির কারিগর। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনা করে তার বাড়ির পাশে বোমাবাজি করেছে। কারণ ওই পথ দিয়েই তিনি যাতাযাত করেন। যদিও সাংসদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। তাঁদের মতে এই বোমাবাজির সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক যোগাযোগ নেই।
কদিন আগেই বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল হালিশহর। বিজেপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে হামলার অভিযোগ ওঠে। ভাঙচুর করা হয় অর্জুন সিংয়ের গাড়ি। রবিবার উত্তর ২৪ পরগণার এই ঘটনার খবর পৌঁছে গিয়েছে দিল্লি পর্যন্ত। সাংসদদের খবর নিয়েছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
সূত্রের খবর, হালি শহরে বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূলেরও একটি কর্মসূচি ছিল। বিজেপির অভিযোগ, দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গেলে অর্জুন সিংয়ের গাড়ি ভাঙচুর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এ বিষয়ে সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, দলীয় কর্মীর বাড়িতে মিটিং করছিলাম তখন আমার গাড়িতে তৃণমূল নেতা সুবোধ অধিকারী ও তার গুন্ডা বাহিনী হামলা করে। ভাঙচুর করা হয় আমার গাড়ি।
বাদ যায়নি দলীয় কর্মীদের বাইক। বোমা ছোড়া হয় সেই বাইকগুলিতে। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সেই বাইকগুলি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। সাংসদের অভিযোগ, তাকে এবং দলীয় কর্মীদেরও লক্ষ্য় করে বোমা ছোড়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে। অন্যদিকে, বোলদেঘাটায় তৃণমূলের কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
এদিকে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও পরে তৃণমূল নেতা সুবোধ অধিকারী অভিযোগ করেন, রবিবার বিজেপি থেকে আসা বহু কর্মী দলে দলে তৃণমূলে যোগদান করছিলেন। সেই খবর পেয়েই হামলা চালায় অর্জুন সিংয়ের লোকজন। সাধারণ মানুষ এর প্রতিবাদ করে ও বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বাধা দেয়। তাতেই সংঘর্ষ বাধে।