সংক্ষিপ্ত
- ভরদুপুরে বর্ধমানে শুটআউট
- থানার অদূরে যুবককে লক্ষ্য করে গুলি দুষ্কৃতীদের
- আক্রান্ত যুবক ভর্তি হাসপাতালে
- তদন্তে নেমেছে পুলিশ
পত্রলেখা বসু চন্দ্র, বর্ধমান: দিনেদুপুরে এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য। থানা থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে শুটআউট। এক যুবককে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে চম্পট দিল তিন দুষ্কৃতী। ঘটনাস্থল, বর্ধমান শহর।
আরও পড়ুন: ভাটপাড়ায় তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, বিপাকে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং
আক্রান্ত যুবকের নাম হীরাময় মণ্ডল। পেশায় তিনি টোটোচালক। শুক্রবার দুপুরে থানা থেকে মাত্র তিনশো মিটার দূরে বর্ধমান শহরের বড়বাজার এলাকায় একটি বেসরকারি ঋণপ্রদানকারী সংস্থার অফিসে যান হীরাময়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ব্যাগ নিয়ে অফিস থেকে বেরোনোর সময় তাঁর দিকে এগিয়ে আসে তিনজন দুষ্কৃতী। ব্যাগটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ঘটনাটি নজরে পড়ে যায় এক প্রৌঢ়ের। তিনি যখন হীরাময়কে বাঁচানোর চেষ্টা করেন, তখন ওই যুবককে লক্ষ করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। দুটি গুলি লাগে শরীরে, রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন আক্রান্ত যুবক। এদিকে ততক্ষণে বাইকে চেপে চম্পট দিয়েছে হামলাকারীরা।
আরও পড়ুন: করোনার আতঙ্ক, সদ্যোজাতকে হাসপাতালে রেখে উধাও মহিলা
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বর্ধমান থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। আক্রান্ত যুবককে পুলিশই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এলাকা পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার ও ডিএসপি(সদর) সৌভিক পাত্র। আক্রান্ত যুবকের দাবি, বেসরকারি ঋণ প্রদানকারী সংস্থার অফিসে ঢোকার সময়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রটি দেখেছিলেন তিনি। এই নিয়ে সামান্য কথা কাটাকাটিও হয়। পুলিশের অনুমান, বেসরকারি ঋণপ্রদানকারী সংস্থার অফিসে লুঠ করার জন্য় জড়ো হয়েছিল তিন দুষ্কৃতী। তাহলে হীরাময় মণ্ডলের উপর হামলা হল কেন? তদন্তকারীদের ধারণা, তিনি আগেই আগেয়াস্ত্রটি দেখে ফেলায় হামলার মুখে পড়েছেন। অভিযুক্তদের ধরতে সমস্ত থানার ওসি-দের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার।