সংক্ষিপ্ত

  • জোর করে স্ত্রীকে নিয়ে চলে গিয়েছেন শ্বশুর
  • প্রেমদিবসে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় যুবক
  • হাতে পোস্টার ও ছবি
  • ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বর্ধমান শহরে 
     

'আমার বিবাহিত স্ত্রীকে ফিরিয়ে দাও।' 'ছয় বছর নষ্ট করলে কেন?' প্রেমদিবসে এমনই পোস্টার ও ছবি নিয়ে ধর্না বসলেন এক যুবক। তবে ধরনা অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। পুলিশকে আসতে দেখেই পাততাড়ি গোটালেন তিনি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরের সরাইটিকরের এলাকার দক্ষিণপাড়ায়।

ঘটনাটি ঠিক কী? যিনি ধরনায় বসেছিলেন, তাঁর নাম শেখ রেজাউল। বর্ধমান শহরের সরাইটিকর এলাকার চ্যান্ডেলপাড়ায় পাড়ায় থাকেন তিনি। রেজাউল পেশায় টোটোচালক। দক্ষিণপাড়ায় তাঁর প্রেমিকার বাড়ি। জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর সঙ্গে প্রায় ছয় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল রেজাউলের। জানুয়ারিতে তাঁরা দুজন রেজিস্ট্রি করে বিয়েও করেছেন। কিন্তু হলে কী হবে! সেই বিয়ে মেনে নেননি ওই তরুণীর পরিবারে লোকেরা। তেমনই দাবি করেছেন শেখ রেজাউল। তিনি জানিয়েছেন,  স্ত্রীকে অন্যত্র নিয়ে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই তরুণীর দিদি এখনও বিয়ে হয়নি। সেই কারণে রেজাউলের স্ত্রীকে বাড়ি ফিরে আসতে বলেন ওই তরুণীর বাবা। শ্বশুরের কথা বিশ্বাস করেই ঠকেছেন রেজাউল!

আরও পড়ুন: প্রশাসনিক ব্যস্ততার মাঝে ভালোবাসার ডাক, প্রেম দিবসে চারহাত এক নবজ্যোৎ-তুষারের

কেন? রেজাউল শেখের দাবি, স্ত্রীর সঙ্গে এখন আর কোনও যোগাযোগই নেই তাঁর। পরিবারের সকলকে নিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছেন শ্বশুর। কোথাও গিয়েছেন, কেউ জানে না, বাড়ির দরজায় তালা ঝুলছে। বাধ্য হয়েই স্ত্রীকে ফিরে পেতে শুক্রবার, প্রেমদিবসের সকালে শ্বশুরবাড়ির সামনে ছবি ও পোস্টার নিয়ে ধরনায় বসে পড়েন রেজাউল। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন পরিচিত ও বন্ধুরাও। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পর ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তখন এলাকা ছাড়েন ওই যুবক ও তাঁর সঙ্গীরা। শ্বশুরবাড়ি তালাবন্ধ থাকায় ওই তরুণী বা তাঁদের পরিবারের কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করা যায়নি। তবে রেজাউলের সঙ্গে ওই তরুণীর সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন এলাকার অনেকেই।