- Home
- Business News
- Other Business
- Digital Gold Investment: সহজে সোনা কেনার সেরা উপায় জানেন? অল্প টাকা থেকেই বিনিয়োগ, কোনও GST লাগবে না
Digital Gold Investment: সহজে সোনা কেনার সেরা উপায় জানেন? অল্প টাকা থেকেই বিনিয়োগ, কোনও GST লাগবে না
Digital Gold Investment: ডিজিটাল গোল্ড কীভাবে কম খরচে, নিরাপদে এবং সহজে বিনিয়োগ করতে সাহায্য করে? জেনে নিন বিস্তারিত।

কীভাবে সহজে এবং ক্ষতি ছাড়াই সোনায় বিনিয়োগ করা যায়?
বিয়ে, উৎসব বা বিনিয়োগ, যে উদ্দেশ্যেই হোক, সোনা কেনার প্রথা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আমাদের মধ্যে চলে আসছে। কিন্তু আজ সময় অনেকটাই বদলে গেছে। মুদ্রাস্ফীতি, নিরাপত্তাজনিত সমস্যা এবং ক্রমবর্ধমান মজুরি চার্জের কারণে, অনেকেই ভাবছেন কীভাবে সহজে এবং ক্ষতি ছাড়াই সোনায় বিনিয়োগ করা যায়।
সোনা বন্ধক রাখতে বা বিক্রি করতে হয়
সোনায় বিনিয়োগের দুটি প্রধান উপায় রয়েছে। ভৌত সোনা। অর্থাৎ, গয়না বা মুদ্রা কেনা। গয়না কেনার সময়, মেকিং চার্জ বেশি হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের সরাসরি ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। কিন্তু মুদ্রা কিনলে শুধুমাত্র স্ট্যাম্পিং চার্জ হিসেবে প্রায় ৫০০ টাকা দিতে হয়। তাই এটি কিছুটা ভালো বিকল্প। তবে, ভৌত সোনা নিরাপদে রাখার জন্য ব্যাঙ্কের লকার বা বাড়িতে সেফ জায়গার মতো সুবিধার প্রয়োজন হয়। জরুরি প্রয়োজনে টাকার দরকার হলে, সোনা বন্ধক রাখতে বা বিক্রি করতে হয়।
ডিজিটাল সোনা কেনার সময় জিএসটি (GST) দিতে হয় না
দ্বিতীয় এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হল, ডিজিটাল গোল্ড অর্থাৎ, গোল্ড বিজ (Gold BeES)-এর মাধ্যমে বিনিয়োগ করা। এটি ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (NSE) বা বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (BSE) থেকে সহজেই অনলাইনে কেনা যায়। এর জন্য শুধু একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থাকলেই চলবে। খুব অল্প পরিমাণে, এমনকি ১০ মিলিগ্রাম পর্যন্তও কেনা যায়, তাই হাতে থাকা অল্প টাকা দিয়েই সোনায় বিনিয়োগ করা সম্ভব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ডিজিটাল সোনা কেনার সময় জিএসটি (GST) দিতে হয় না। তবে এটিকে গয়নায় রূপান্তরিত করার সময় জিএসটি এবং মেকিং চার্জ দিতে হবে। এই কারণে, গোল্ড বিজ একটি নিরাপদ, স্বচ্ছ এবং স্বল্প খরচের বিনিয়োগের সুযোগ হিসেবে উঠে এসেছে।
ডিজিটাল সোনার আরেকটি বিশেষত্ব হল, এটি সম্পূর্ণ অনলাইন হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা অনেকটা কম থাকে। ভৌত সোনার মতো চুরি বা নষ্ট হওয়ার কোনওরকম ঝুঁকি নেই। এছাড়াও টাকার প্রয়োজন হলে ইউনিটগুলি বাজারে বিক্রি করলেই যথেষ্ট। বিক্রির টাকা দ্বিতীয় দিনের মধ্যেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে আসে। তবে একটি অসুবিধা হল যে, ডিজিটাল সোনা বন্ধক রাখা যায় না। এটিকে নগদে পরিণত করতে চাইলে বিক্রি করাই একমাত্র উপায়।
ধারণা বদলানোর সময় এসেছে?
সবমিলিয়ে, ভৌত সোনা সৌন্দর্য এবং ঐতিহ্যের বিনিয়োগ হলেও, ডিজিটাল সোনা নিরাপত্তা, সুবিধা, স্বল্প বিনিয়োগ এবং কর ছাড়ের মতো অনেক সুবিধা প্রদান করে থাকে। আনন্দ শ্রীনিবাসনের মতে, আজকের প্রজন্মের জন্য ডিজিটাল সোনাই হলো বুদ্ধিমান বিনিয়োগ! এতে কোনো সন্দেহ নেই। যদি অল্প টাকাতেও সোনা কেনা যায়, তাহলে এখন বেশি টাকা থাকলেই সোনা কেনা যাবে। এই ধারণা বদলানোর সময় এসেছে।
Disclaimer: বাজারে বিনিয়োগ একটি ঝুঁকিসাপেক্ষ বিষয়। তাই বিনিয়োগ করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

