অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে চলতি বছরে কিছুটা হলেও দাম কমেছে দৈনন্দিন ব্যবহৃত মশলার। তবে সবচেয়ে বেশি দাম কমেছে ডিমের (EGG)। যেমন দুটিরই যথাক্রমে দাম কমেছে ৫.৮৫ শতাংশ ও ৩.০১ শতাংশ।
নয়াদিল্লি: মশলাপাতি থেকে শুরু করে ডিমের চড়া দামে বেশ কিছুদিন ধরে নাভিশ্বাস ওঠার যোগার হয়েছিলো আমজনতার । নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যেভাবে হুহু করে বেড়েই চলেছিলো তাতে বাজারে গেলে রীতিমতো পকেট ফাঁকা হওয়ার যোগার হয়েছিল সাধারণ মানুষের। তবে মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিতে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) জেরে কিছুটা কমল মশলাপাতি-ডিমের দাম (Spice price soar)। মুদ্রাস্ফীতির হার ৩.৬১ শতাংশ নেমে আসায় গত সাত মাসের তুলনায় কিছুটা হলেও কমেছে ডিমের দাম (Today Egg Price)। বিভিন্ন মশলার দামও কমেছে কিছুটা। যা স্বাভাবিক ভাবে সাময়িক স্বস্তি দিয়েছে সাধারণ মানুষকে। শুধু তাই নয়, সূচক ৬৫ বেসিস পয়েন্ট কম হওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আরও সস্তা হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
জানা গিয়েছে, বুধবার মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রক (Buisness News)। সেখানেই উঠে এসেছে মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত এই তথ্য। এবং মশলাপাতির ও ডিমের দাম যে কিছুটা কমছে মিলেছে সেই বিষয়ের ইঙ্গিত। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিলো ৪.২৬ শতাংশ। ফেব্রুয়ারি মাসে সেই সূচক কিছুটা নামায় স্বস্তি পেয়েছে আমজনতা। তবে ২০২৪-এর ফেব্রুয়ারি মাসে এই সূচক অবশ্য দাঁড়িয়েছিলো ৫.০৯ শতাংশে। যারফলে স্বাভাবিক ভাবেই ঊর্ধ্বমুখি ছিলো জিনিসপত্রের দাম (Vegetables Price Hike)।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে চলতি বছরে কিছুটা হলেও দাম কমেছে দৈনন্দিন ব্যবহৃত মশলার। তবে সবচেয়ে বেশি দাম কমেছে ডিমের (EGG)। যেমন দুটিরই যথাক্রমে দাম কমেছে ৫.৮৫ শতাংশ ও ৩.০১ শতাংশ। যদিও তুলনামূলক ভাবে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে তেল-চর্বিজাত পণ্যের। প্রায় ১৬.৩৬ শতাংশ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলের দাম বেড়েছে ১৪.৮২ শতাংশ। প্রসাধন সামগ্রীর দাম বেড়েছে ১৩.৫৮ শতাংশ।
২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫-এ দাম বেড়েছে মাছ, মাংস, দুধ, স্ন্যাকস, মিষ্টি, অ্যালকোহল জাতীয় জিনিসের। দাম বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে জামাকাপড়, জুতো। স্বাস্থ্-শিক্ষা, পরিবহণ খাতেও বেড়েছে খরচ (Education)। তবে সবথেকে বেশি মুদ্রাস্ফীতির হার বেশি কেরল রাজ্যে। দক্ষিণের এই রাজ্যে ফেব্রুয়ারি মাসে মুদ্রাস্ফীতি ছিলো ৭.৩১ শতাংশ। যা সারা দেশের মধ্যে দ্বিগুন বলে জানিয়েছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ছত্তিশগড়। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কর্নাটক। এই দুই রাজ্যে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার- ৪.৮৯ শতাংশ ও ৪.৪৯ শতাংশ।


