- Home
- Business News
- Other Business
- বদলে গেল ফর্ম -১৬, আয়কর জমা দেওয়ার আগে এগুলি না জানলে আপনি সমস্যায় পড়বেন
বদলে গেল ফর্ম -১৬, আয়কর জমা দেওয়ার আগে এগুলি না জানলে আপনি সমস্যায় পড়বেন
New Form 16: প্রত্যেক বেতনভুক কর্মীর জন্য ফর্ম ১৬ একটি জরুরি নথি। এর মাধ্যমে নিয়োগকরী সংস্থা কর্মীদের বেতনের অংশ বা টিডিএস কেটে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়।

আয়কর জমা দেওয়ার সময়
আয়কর জমা দেওয়ার সময় এগিয়ে আসছে। আয়কর জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার।
ফর্ম-১৬ বদল
প্রত্যেক বেতনভুক কর্মীর জন্য ফর্ম ১৬ একটি জরুরি নথি। এর মাধ্যমে নিয়োগকরী সংস্থা কর্মীদের বেতনের অংশ বা টিডিএস কেটে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়।
ফর্ম ১৬-এর গুরুত্ব
এই ফর্ম ১৬-এ বেতন, বিভিন্ন ছাড় ও কর কাঠামো সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দেওয়া হয়। চলতি ফর্ম ১৬এ এবার একধিক পরিবর্তন করা হয়েছে। যা প্রত্যেক করদাতার কাছে জরুরি। রইল পরিবর্তিত তথ্য
ফর্ম ১৬এ পরিবর্তন
আয়কর বিভাগ করদাতাদের সুবিধার জন্য ফর্ম ১৬-কে আরও তথ্যবহুল এবং বিস্তারিত করেছে। নতুন এই ফর্মটিতে বেশ কিছু নতুন তথ্য যুক্ত করা হয়েছে, যা আগে ছিল না। এরজন্য রিটার্ন ফাইল করা আরও সহজ।
প্রথম পরিবর্তন
আগে কর্মচারীরা তাঁদের বেতন ছাড়া অন্যান্য আয়ের কথা নিয়োগকারীকে জানাতে পারতেন, কিন্তু সেই অতিরিক্ত আয়ের উপর টিডিএস কাটার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। নতুন নিয়মে, আপনার যদি অন্য কোনও উৎস থেকে আয় থাকে, যেমন বাড়ি ভাড়া, ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের সুদ, বা অন্য কিছু, তবে সেই তথ্য এখন ফর্ম ১৬-তে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ থাকবে। এর ফলে, আপনার মোট আয়ের উপর সঠিক কর গণনা করা সহজ হবে এবং কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা কমবে।
দ্বিতীয় পরিবর্তন
আয়কর জমা দেওয়ার জন্য বর্তমানে দুটি কর কাঠামো রয়েছে – নতুন এবং পুরনো। অনেক করদাতাই এই দুটি কাঠামোর মধ্যে কোনটি তাঁদের জন্য সুবিধাজনক, তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে ভোগেন। এই বিভ্রান্তি দূর করার জন্য নতুন ফর্ম ১৬-তে দুটি কর কাঠামোর মধ্যে পার্থক্যগুলি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা থাকবে। কোন কাঠামোতে কী কী ছাড় পাওয়া যাবে এবং কোনটিতে কী কী সুবিধা নেই, তা পরিষ্কারভাবে বলা থাকবে। এর ফলে করদাতারা সহজেই নিজেদের জন্য সঠিক কর কাঠামো বেছে নিতে পারবেন।
তৃতীয় পরিবর্তন
জতীয় পেনশন প্রকল্প-
নতুন ফর্ম ১৬-তে এনপিএস অ্যাকাউন্টে আপনার এবং আপনার নিয়োগকর্তার অবদানের বিস্তারিত বিবরণ থাকবে। এর ফলে আপনি সহজেই আয়কর আইনের ৮০সি এবং ৮০ডি ধারার অধীনে কর ছাড়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
গৃহঋণের ওপর কর ছাড়
নতুন নিয়মে গৃহঋণের ওপর ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তাই গৃহ ক্ষেত্রেচিন্তভাবনা করতে হবে কর প্রদানকারীদের।
ফর্ম ১৬এর দুটি অংশ
প্রথম অংশে থাকে নিয়োগকর্তার বা আপনার প্যান নম্বর, টিডিএস জমা দেওয়ার বিবরণ।
দ্বিতীয় অংশ
দ্বিতীয় অংশেথাকে বেতনের বিস্তারিত বিভাজন, বিভিন্ন ভাতা, ৮০সি ও ৮০ডি ধারার অধীনে প্রাপ্ত ছাড়ের বিবরণ

