সংক্ষিপ্ত
সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক, গ্রামীণ ব্যাঙ্ক এবং সমবায় সমিতি থেকে কেসিসি-র জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদন প্রক্রিয়া সাধারণত সহজ এবং দ্রুত হয়। এটি কৃষকদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক হাতিয়ার।
বাজেটে কৃষকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের (কেসিসি) মাধ্যমে কৃষকদের জন্য ঋণের সীমা ৩ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। এই উদ্যোগটি দেশের বহু কৃষককে উপকৃত করবে।
কিষাণ ক্রেডিট কার্ড কি?
কিষাণ ক্রেডিট কার্ড (কেসিসি) হল একটি বিশেষ ঋণ সুবিধা, যা কৃষকদের মেটাতে সাহায্য করে কৃষি সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রয়োজন । এই ঋণের মাধ্যমে কৃষকরা বীজ, সার, কীটনাশক এবং অন্যান্য কৃষি সরঞ্জাম কেনাকাটা করতে পারবেন।
কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা
কম সুদের হার: কেসিসি-র সুদের হার সাধারণত ৭ শতাংশ। তবে সরকার কৃষকদের জন্য সুদের উপর ভর্তুকি প্রদান করে। সময়মতো ঋণ পরিশোধ করলে কৃষকরা মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পেতে পারেন।
ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি: আগে কৃষকরা কেসিসি-র মাধ্যমে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতেন। এখন এই সীমা বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছে।
সহজ আবেদন প্রক্রিয়া: কৃষকরা সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক, গ্রামীণ ব্যাঙ্ক এবং সমবায় সমিতি থেকে কেসিসি-র জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদন প্রক্রিয়া সাধারণত সহজ এবং দ্রুত হয়।
কিভাবে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করবেন?
কৃষকরা কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের জন্য অনলাইনে বা অফলাইনে আবেদন করতে পারেন।
কারা কিষাণ ক্রেডিট কার্ড পেতে পারেন?
কৃষিকাজের পাশাপাশি, মৎস্য, দুগ্ধ খামার, পশুপালন এবং উদ্যানপালনে নিযুক্ত কৃষকরাও কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পেতে পারেন। এর জন্য কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হয়,
ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
কৃষকের বয়স ১৮ থেকে ৭৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
অনলাইন আবেদন:
প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার ওয়েবসাইটে যান অথবা আপনার নিকটস্থ ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটে যান।
কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদনপত্র পূরণ করুন।
প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করুন এবং আবেদন জমা দিন।
অফলাইন আবেদন:
আপনার নিকটস্থ ব্যাঙ্ক শাখায় যান।
কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ করুন।
আবেদনপত্র পূরণ করুন এবং প্রয়োজনীয় নথি (আধার কার্ড, প্যান কার্ড, জমির কাগজপত্র, পাসপোর্ট সাইজের ছবি) সহ জমা দিন।
কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের গুরুত্ব
কিষাণ ক্রেডিট কার্ড কৃষকদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক হাতিয়ার। এটি তাদের সময়মতো প্রয়োজনীয় ঋণ পেতে এবং তাদের কৃষিকাজকে আরও উন্নত করতে সাহায্য করে। ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি হওয়ার কারণে এখন কৃষকরা আরও বেশি সুবিধা পাবেন এবং তাদের আর্থিক সমস্যা কমবে । এই প্রকল্পটি কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে এবং কৃষিকাজকে লাভজনক করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। সরকার কর্তৃক এই উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে কৃষকদের জন্য একটি বড় উপহার।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।