সংক্ষিপ্ত

নতুন বছরের দ্বিতীয় সপ্তাহেও কাটল না শেয়ার বাজারের বেহাল দশা। 

নিফটি ৫০-এর সূচক নেমে গেছে প্রায় ৪০০ পয়েন্ট। ফলে, আবারও বিরাট অঙ্কের লোকসানের মুখে পড়লেন লগ্নিকারীরা। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই নিয়ে টানা দুদিন নিম্নমুখী রইল শেয়ারের সূচক। শুধু তাই নয়, চলতি সপ্তাহে বাজার কতটা উঠবে, তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দিহান বিশ্লেষকরা।

ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এদিন মাত্র ৬২৯টি স্টকের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, দাম কমেছে আবার ৩,৩২৯টি শেয়ারের। ১০৯টি স্টক দিনভর অপরিবর্তিত থেকেছে। তাছাড়া নিফটিতে সর্বাধিক লোকসান হয়েছে টাটা স্টিল, ট্রেন্ট, কোল ইন্ডিয়া, এনটিপিসি এবং বিপিসিএলের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের।

তবে এই খারাপ দিনেও অ্যাপোলো হাসপাতাল, টাটা কনজ়ুমার, টাইটান এবং এইচসিএল টেকনোলজ়িসের লগ্নিকারীরা বেশ ভালোই লাভবান হয়েছেন।

এদিন অধিকাংশ সংস্থার স্টকের সূচকই রেড জোনে ছিল। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির শেয়ারের দাম কমেছে প্রায় চার শতাংশ। অন্যদিকে সংকর ধাতু, রিয়্যাল এস্টেট, শক্তি, অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, বিদ্যুৎ এবং তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলির স্টকে তিন শতাংশ পতন হয়েছে।

বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে (বিএসই) মাঝারি এবং ছোট পুঁজির সংস্থাগুলির শেয়ারের সূচক নেমে গেছে যথাক্রমে ২.৪ এবং ৩ শতাংশ। সোমবার, বিএসই বন্ধ হয়েছে ৭৭,৯৬৪.৯৯ পয়েন্টে। সকালে বাজার খোলার সময়ে ৭৯,২৮১.৬৫ পয়েন্ট থেকে যাত্রা শুরু করে সেনসেক্স।

অর্থাৎ, দিনের শেষে বাজারের সূচক নেমেছে ১,২৫৮.১২ পয়েন্ট বা ১.৫৯ শতাংশ। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৯,৫৩২.৬৭ পয়েন্টে উঠেছিল গ্রাফ। অপরদিকে আবার ২৩,৬২৮ পয়েন্টে গিয়ে থেমেছে নিফটি। সকালে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই) খুলেছিল ২৪,০৪৫.৮০ পয়েন্ট।

এই বাজারে ৩৭৬.৭৫ পয়েন্টের পতন দেখা গেছে। শতাংশের নিরিখে এটি ১.৫৭। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪,০৮৯.৯৫ পয়েন্টে উঠেছিল নিফটি-৫০।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।