জল্পনা তুঙ্গে। ইন্টারনেট পরিষেবায় (Internet Service) কার্যত বিপ্লব আসতে চলেছে ভারতবর্ষে।
Starlink Internet: ঐতিহাসিক এক মুহূর্তের সামনে দাঁড়িয়ে ভারত (India)। কারণ, দেশের বাজারে পা রাখতে চলেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trumph) ক্যাবিনেট সদস্য ইলন মাস্কের (Elon Musk) সংস্থা স্পেসএক্সের স্টারলিঙ্ক (Starlink)। ইতিমধ্যেই ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোন পরিষেবা প্রদানকারী দুটি সংস্থার সঙ্গে বিরাট অঙ্কের চুক্তি সেরে ফেলেছে তাঁর এই কোম্পানি। ভারতীয় সংস্থা দুটি হল ভারতী এয়ারটেল এবং জিও।
কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন যে, তাহলে কি ইন্টারনেটের খরচ বেড়ে যাবে? মাস্কের সংস্থা এই দেশে পরিষেবা প্রদানের অনুমতি পেলে ভারতে ইন্টারনেটের গতি যে নিঃসন্দেহে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে স্টারলিঙ্ক সেই সুযোগ আদৌ পাবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ, এই বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকারের টেলিকম মন্ত্রক।
স্টারলিঙ্কের তরফ থেকে এখনও অবশ্য এই ব্যাপারে কোনও সরকারি ঘোষণা করা হয়নি। তবে প্রতিবেশী দেশ ভুটানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করেছে মাস্কের এই সংস্থা। ফলে, সেখান থেকে একটা খরচ সংক্রান্ত বিষয়ে আন্দাজ় করা যেতে পারে।
সেই দেশের মূলত স্টারলিঙ্কের মূলত দুটি প্রোজেক্ট চালু করেছে। সেগুলি হল, আবাসিক লাইট প্ল্যান এবং স্ট্যান্ডার্ড আবাসিক পরিকল্পনা। তার মধ্যে প্রথম মডেলটি পছন্দ করলে একজন গ্রাহকের প্রতি মাসে ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য খরচ দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৩০০০ টাকা।
এক্ষেত্রে ২৩ থেকে ১০০ এমবিপিএস ইন্টারনেট স্পিড পাচ্ছেন তারা। রেগুলার ব্রাউজ়িং, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার এবং ভিডিও স্ট্রিমিং-এর ক্ষেত্রে এই প্ল্যানটি বেশ লাভজনক হবে বলে প্রচারে জানিয়েছে স্টারলিঙ্ক। এছাড়া স্ট্যান্ডার্ড আবাসিক পরিকল্পনার খরচ আরও কিছুটা বেশি। এক্ষেত্রে গ্রাহককে প্রতি মাসে দিতে হচ্ছে ৪,২০০ টাকা করে।
তার বিনিময়ে ২৫ থেকে ১১০ এমবিপিএস পর্যন্ত ইন্টারনেট স্পিড দিচ্ছে স্টারলিঙ্ক। শুধু তাই নয়, এই প্ল্যানটিতে আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারছেন গ্রাহকরা। সেইসঙ্গে, নিরবিচ্ছিন্নভাবে চলবে গেমিং, এইচডি ভিডিও স্ট্রিমিং এবং ভিডিও কনফারেন্স।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


