সংক্ষিপ্ত

 নিত্যযাত্রীদের একাংশের মতে, শিয়ালদা লাইনের ট্রেনে অফিস টাইমে যে ভিড় হয় তা এড়াতে অনেকেই কলকাতায় গিয়ে ভাড়া থেকে কর্মস্থলে যান।এসি লোকাল ট্রেন এলে যাতায়াতের এই আরামদায়ক পরিষেবার টানে অনেকেই ফের বাড়ি থেকে যাতায়াত করবেন।

কলকাতা ও শহরতলির নিত্যযাত্রীদের জন্য সুখবর! পূর্ব রেলের তরফে শিয়ালদা মেইন শাখায় খুব শীঘ্রই চালু হতে চলেছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) লোকাল ট্রেন। এই পরিষেবা চালু হলে যাত্রীদের আরামদায়ক যাতায়াতের পাশাপাশি, শহরের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

এসি লোকালের সুবিধা:

আরামদায়ক যাত্রা: তীব্র গরমের হাত থেকে রেহাই দিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে স্বস্তিদায়ক যাত্রা।

সময় সাশ্রয়: ভিড় কম থাকায় দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

অর্থনীতির বিকাশ: উচ্চ আয়ের যাত্রীরা শহরতলিতে ফিরে এলে স্থানীয় অর্থনীতিতে গতি আসবে।

ভাড়ার তালিকা কি হবে? রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার সোশ্যাল মিডিয়ায় শিয়ালদা থেকে কৃষ্ণনগরের এসি লোকাল ট্রেনের ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করেছেন। শিয়ালদা থেকে কৃষ্ণনগরের ভাড়া ২৮০ টাকা (যাতায়াত) অর্থ্যাৎ একদিকের ভাড়া পড়বে ১৪০ টাকা। আর এই লাইনে মাসিক টিকিটের দাম ২৮১৫ টাকা। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, এসি লোকাল ট্রেনের রেক চেন্নাইয়ের ICF থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই নারকেলডাঙা কারশেডে এসে পৌঁছবে। এরপর শুরু হবে ট্রায়াল রান।

কলকাতা ও শহরতলিতে এসি লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হলে এই এলাকার অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। নিত্যযাত্রীদের একাংশের মতে, শিয়ালদা লাইনের ট্রেনে অফিস টাইমে যে ভিড় হয় তা এড়াতে অনেকেই কলকাতায় গিয়ে ভাড়া থেকে কর্মস্থলে যান। যাতায়াতের এই আরামদায়ক ট্রেন চালু হলেই অনেকেই ফের বাড়ি থেকে যাতায়াত করবেন। ফলে তাদের কাছে বাড়ির ভাড়ার টাকাটা সাশ্রয় হবে। উচ্চ আয়ের এই সব ব্যক্তিদের খরচ করার ক্ষমতাও বেশি হওয়ায় এবং তারা ফের এলাকায় ফিরে এলে উপকৃত হবে গ্রামীণ ও মফস্বলের অর্থনীতি। এসি লোকাল ট্রেন চালু হলে যাত্রীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হওয়ার পাশাপাশি, শহরের অর্থনীতিতেও নতুন গতি আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। কবে আসবে এই ট্রেন তারই অপেক্ষায় রয়েছেন যাত্রীরা।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।