সংক্ষিপ্ত
সুদের হার বেসিস পয়েন্ট ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৫.৪ শতাংশ হারে কার্যকর করল রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতের ‘রুপি’-র মান বৃদ্ধি করার দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
দেশের ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতিতে লাগাম টানতে এবার সুদের হার বেসিস পয়েন্ট ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৫.৪ শতাংশ হারে কার্যকর করল রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। এর মাধ্যমে, সুদ বৃদ্ধির হার পুনরায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা হল করোনার পূর্ববর্তী সময়কালের সুদের হারের মতো। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৭.২ শতাংশতে ধরে রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক । ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য মুদ্রাস্ফীতি ৬.৭ শতাংশে অনুমান করা হচ্ছে।
মুদ্রানীতি কমিটির সিদ্ধান্তগুলি ঘোষণা করে, আরবিআই (RBI) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছেন যে, বিশ্ব অর্থনীতিতে ক্রমাগত ধাক্কা চলছে। রিসার্ভ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তে ভারত বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির দেশগুলির মধ্যে অন্যতম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, মধ্যবর্তী কিছু সংশোধন সত্ত্বেও আর্থিক বাজারে কিছুটা অস্বস্তি এখনও রয়েই গেছে।
ভারতে সুদের হার বৃদ্ধি প্রত্যাশিত ছিল। প্রথমবার রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া সুদের হার বাড়িয়েছিল মে মাসে। তার অফ-সাইকেল আর্থিক নীতি পর্যালোচনার সময়, যখন পলিসি রেপো রেট ৪০ বেসিস পয়েন্ট অর্থাৎ ০.৪০ শতাংশ বেড়েছিল। উল্লেখ্য, এই ‘রেপো রেট’ বিষয়টি হল সেই সুদের হার, যেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকগুলিকে স্বল্পমেয়াদী তহবিলে ধার দেয়।
আরবিআই গত জুন মাসে তার দ্বি-মাসিক নীতি পর্যালোচনার ক্ষেত্রে আবারও পলিসি রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৪.৯০ শতাংশ করেছে।
মুদ্রাস্ফীতির পাশাপাশি, আরবিআই মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতের ‘রুপি’-র মান বৃদ্ধি করার দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে। জুলাই মাসে বিশ্ববাজারে প্রতি ডলারে রুপির দাম ছিল সর্বকালের সর্বনিম্ন। ডলার প্রতি ভারতীয় মুদ্রার দাম হয়ে গিয়েছিল ৮০ টাকা (যা বর্তমানে প্রায় ১ টাকা কমে হয়েছে ৭৯ টাকার কাছাকাছি), যা আরও বেশি ক্ষতি এড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিদেশী ব্যাংকের সাহায্য নিতে বাধ্য করেছে।
এখন প্রশ্ন হল, এই সুদের হার বৃদ্ধি আপনাকে কীভাবে প্রভাবিত করবে?
রেপো রেট বৃদ্ধির অর্থ হল আগামি দিনে হোম লোন, অটো লোন এবং অন্যান্য ব্যাংকিং লোন আরও ব্যয়বহুল হবে। ২০২২ সালের মে মাসে, যখন রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া রেপো রেট ৪০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছিল, অনেক ব্যাংক তখন তাড়াহুড়ো করে নিজেদের ঋণের হার বাড়িয়েছিল। এখনও ব্যাংকগুলো আমানতের হার বাড়াতে পারে এমন সম্ভাবনা রয়েছে। ফলস্বরূপ, এতে স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগকারী ব্যক্তিরা উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুন-
আগস্টের কোন ১৩ দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে জেনে নিন
আপনার কাছে এই ধরণের ৫০০ টাকার নোট থাকলে সাবধান, বাতিল হতে পারে টাকা
নয়া অর্থবর্ষ জিডিপি গ্রোথের গ্রাফ হবে নিম্নমুখী, ঘোষণা আরবিআই গভর্নরের